জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম জেনে নিন

 

কোন দেশে বসবাস করা প্রত্যেকটি নাগরিকের পরিচয় পত্র হিসেবে জন্ম নিবন্ধন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রত্যেকের জন্যই তার নিজের জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে নেওয়া জরুরী। কিন্তু প্রশ্ন হল জন্ম নিবন্ধনের তথ্যের সত্যতা কিভাবে যাচাই করবেন? এক্ষেত্রে আপনি আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন, আবার আপনার নাম দিয়েও জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করার জন্য আরও বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেগুলো নিয়েই মূলত আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে।

জন্ম-তারিখ-দিয়ে-জন্ম-নিবন্ধন-যাচাই-করার-নিয়ম
আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন, তাহলে আশা করি আপনি আপনার মনে থাকা জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টটিতে পেয়ে যাবেন।  সেই সাথে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার বিভিন্ন উপায় গুলো সহজেই রপ্ত করতে পারবেন।

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম 

বাংলাদেশে বসবাস করা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস। বিশেষ করে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের জন্য। কেননা, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেতে জন্ম নিবন্ধনের বিকল্প নেই। এছাড়াও, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতেও জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজন। আবার, জন্ম নিবন্ধনে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত সকল তথ্য উল্লেখ করা থাকে যেমনঃ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা ইত্যাদি। 

সুতরাং বলায় যায়, জন্ম নিবন্ধন প্রত্যেকের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস এবং জন্ম নিবন্ধনের তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নেওয়াও আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। এখন প্রশ্ন হলো জন্ম নিবন্ধন কিভাবে যাচাই করব? এ পর্যায়ে আমরা জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়মটি নিয়ে আলোচনা করব এবং এই পোষ্টের পরবর্তী প্যারা গুলোতে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার আরো অন্যান্য উপায় গুলো নিয়েও আলোচনা করব। 

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে

বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। এই প্রযুক্তির যুগে অফিশিয়াল যত কাজ রয়েছে সবগুলোই যেমন অনলাইনে সম্পূর্ণ করা হয় তেমনি জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিও সম্পূর্ণ অনলাইনকরণ করা হয়েছে। এর ফলে আপনারা এখন ঘরে বসেই আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধনের তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারবেন। চলুন এ পর্যায়ে আমরা অনলাইনে জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়মটি ধাপে ধাপে দেখে নেই।

ধাপ-১ঃ জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে প্রথমে এই everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে আপনার সামনে নিচের মত একটি ইন্টারফেস আসবে।

জন্ম-তারিখ-দিয়ে-জন্ম-নিবন্ধন-যাচাই-করার-নিয়ম

ধাপ-২ঃ এরপর লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা বক্সটিতে Birth Registration Number এর জায়গায় আপনার ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি টাইপ করুন।

জন্ম-তারিখ-দিয়ে-জন্ম-নিবন্ধন-যাচাই-করার-নিয়ম

ধাপ-৩ঃ এরপর লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা বক্সটিতে আবার আপনার Date of Birth (YYYY-MM-DD) বা জন্ম তারিখ টাইপ করুন।

জন্ম-তারিখ-দিয়ে-জন্ম-নিবন্ধন-যাচাই-করার-নিয়ম

ধাপ-৪ঃ এরপর লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা বক্সটিতে ক্যাপটা কোডটি দেখে দেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন।

জন্ম-তারিখ-দিয়ে-জন্ম-নিবন্ধন-যাচাই-করার-নিয়ম

ধাপ-৫ঃ সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে এবার Search or Submit or Continue বাটনে ক্লিক করুন।

আরো পড়ুনঃ বি আর এস খতিয়ান যাচাই যেভাবে করবেন

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম

ধাপ-৬ঃ Search or Submit or Continue বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে নিচের মত একটি ইন্টারফেস আসবে।

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম

ব্যাস, এভাবে খুব সহজেই আপনি আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিতে পারবেন। পাশাপাশি পরবর্তীতে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপির পিডিএফ ও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই নিয়ম 

আপনাদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যারা নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম সম্পর্কে গুগল সহ আরো অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মে সার্চ করে জানতে চাই। আসলে জন্ম তারিখ ও নিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা গেলেও নাম দিয়ে কিন্তু আপনি অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে আপনার নিজস্ব ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিল কার্যালয়ে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে কর্মরত ব্যক্তিদেরকে আপনার নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাইয়ের জন্য অনুরোধ করলেই, 

আরো পড়ুনঃ খতিয়ান ও দাগের তথ্য অনুসন্ধান করবেন যেভাবে

তারা সার্ভারে সংরক্ষিত ডাটাবেজ থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধন চেক করে দেবে। আর জন্ম নিবন্ধন যেহেতু খুবই সেনসিটিভ একটি জিনিস সেহেতু কর্তৃপক্ষ এখনো নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার অনুমতি কাউকে দেয়নি। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিল কার্যালয় নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবে। আর সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র জন্ম তারিখ এবং নিবন্ধন কোড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবে।

অনলাইনে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম 

অনলাইনে ১৭ ডিজিটের কোড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য প্রথমত আপনাকে everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর এর জায়গায় সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে। এরপর Date of Birth এর জায়গায় আপনার জন্ম তারিখটি সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে। এরপর একটি ক্যাপচা কোড থাকবে সেটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এরপর সার্চ বা সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনটি পেয়ে যাবেন।

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম 

আপনার জন্ম নিবন্ধন কোডটি যদি ১৬ ডিজিটের হয় সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ১৬ ডিজিটের এই নিবন্ধন কোডটি দিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যাচাই করেন। তাহলে সবকিছু সঠিকভাবে দেওয়ার পরেও আপনার ফলাফল No Record Found দেখাবে। কারণ আগে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন গুলো ১৩/১৬ ডিজিটের ছিল যা বর্তমানে আপডেট করে ১৭ ডিজিটে রূপান্তর করা হয়েছে। আপনার ১৬ ডিজিটের নিবন্ধন কোডটি দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য প্রথমে এটিকে ১৭ ডিজিটে রূপান্তর করে নিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ দলিল তল্লাশি অনলাইনে করবেন যেভাবে

এক্ষেত্রে আপনার ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন কোডটি ১৭ ডিজিটে রূপান্তর করার জন্য আপনার ১৬ ডিজিট এর জন্ম নিবন্ধন কোডের শেষের ৫ ডিজিট এর পূর্বে একটি ০ যুক্ত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ- ধরুন আপনার ১৬ ডিজিটের নিবন্ধন কোডটি হল ১৯৯৭১৯১৭৫৭১১২৮১৬, এখন এটিকে ১৭ ডিজিটে রূপান্তর করার জন্য শেষের ৫ ডিজিট পূর্বে অর্থাৎ ১২৮১৬ এর পূর্বে একটি ০ যুক্ত করুন। তাহলে আপনার ১৭ ডিজিটাল কোডটি দাঁড়াবে   ১৯৯৭১৯১৭৫৭১০১২৮১৬। এখন এই কোডটি দিয়ে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা

জন্ম নিবন্ধন যাচাই কেন করবেন? এটি যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা কি? এমন প্রশ্ন হরহামেশাই অনেকেই করে থাকেন। যেহেতু জন্ম নিবন্ধন খুবই প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্টস যেহেতু এটি যাচাই বাছাই করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত কোন শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে ওই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। তবে এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ জন্ম নিবন্ধন করতে না পারে তাহলে ১৮ বছরের মধ্যে যেকোনো সময় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে পারবেন। কিন্তু ১৮ বছর পার হলে ৫০ টাকা ফি দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। এখন আসি জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা কি সে সম্পর্কে। বাস্তব জীবনের চলাফেরায় হর হামেশাই অনেক কারণে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রয়োজন পড়ে। নিম্নে পয়েন্ট আকারে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা। 

জন্ম নিবন্ধন সনদটি আসল কি নাঃ বর্তমান সময় এমন একটি সময় যেখানে যে কেউ চাইলেই খুব সহজেই একটি নকল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে পারে। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি আসল কিনা তা যাচাই-বাছাই করে রাখা উচিত। 

আইনগত প্রমাণঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ একজন ব্যক্তির আইনগত প্রমাণপত্র যা ওই ব্যক্তির জন্ম তারিখ, জন্মস্থান এবং পিতা মাতার নাম নিশ্চিত করে। এটি একজন ব্যক্তির আইনগত সত্তার প্রমাণপত্র হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রেঃ বর্তমান সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে বাধ্যতামূলকভাবে জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আসল জন্ম সনদ চেনার জন্য এটিকে যাচাই করে নেওয়া উচিত। 

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার ক্ষেত্রেঃ আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই একটি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে এটি যাচাই-বাছাই করে নতুন করে ভোটার হতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশি ফ্রি টাকা ইনকাম apps 2024

পাসপোর্ট এবং ভিসাঃ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট এবং ভিসার আবেদন করতে আসল অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হয়। যা আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতির জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রেও একটি যাচাই করে নেওয়া উচিত। 

উপরে উল্লেখিত কাজগুলো ছাড়াও একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ আরও বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয়। যে সকল কাজের জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হয় সেই সকল কাজের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু
  • জমি রেজিষ্ট্রেশন
  • ব্যাংক হিসাব খোলা
  • বিবাহ নিবন্ধন
  • আমদানি ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি
  • ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি
  • গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন
  • বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ
  • জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি
  • বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রাপ্তি
  • শিশু শ্রম প্রতিরোধ
  • গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি
  • ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি
  • সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান ইত্যাদি

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪?

সাধারণত কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ করতে বাড়ির কল রশিদ/হাসপাতাল এর ছাড়পত্র/টিকা কার্ড এবং পিতা-মাতার মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন হয়। তবে বর্তমান সময়ে আবেদনকারীর বয়স বেদে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই নিম্নে আবেদনকারীর বয়স ভেদে জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর একটি তালিকা তুলে ধরা হলো।

আবেদনকারীর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন হলে যেসকল ডকুমেন্টস লাগবেঃ

  • বাড়ির ট্যাক্স বা কর পরিষদ রশিদ।
  • ইপিআই টিকা কার্ড / হাসপাতাল এর ছাড়পত্র।
  • আবেদনকারীর পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সচল মোবাইল নাম্বার।
  • পিতা-মাতা বা অভিভাবক এর জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) কার্ড (বাধ্যতামূলক নয়)।
  • পিতা-মাতা বা অভিভাবক এর অনলাইন জন্ম নিবন্দন সনদ (বাধ্যতামূলক নয়)।

আবেদনকারীর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে যেসকল ডকুমেন্টস লাগবেঃ

  • বাড়ির ট্যাক্স বা কর পরিষদ রশিদ।
  • ইপিআই টিকা কার্ড / হাসপাতাল এর ছাড়পত্র।
  • আবেদননকারীর ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • নিবন্ধনকারী শিশুর পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কপি (বাধ্যতামূলক)।
  • নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী শিশুর পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • আবেদনকারীর পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সচল মোবাইল নাম্বার।
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সহ প্রত্যয়ন পত্র।

আবেদনকারীর বয়স ৫ বছরের বেশি হলে যেসকল ডকুমেন্টস লাগবেঃ

  • চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র।
  • জমি /  বাড়ি  ক্রয়ের দলিল বা কর প্রদানের রশিদ।
  • পিতা-মাতা বা অভিভাবকের স্থায়ী ঠিকানার কর পরিষদ রশিদ
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)।
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)।
  • প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট।
  • বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)।

FAQ

জন্ম নিবন্ধন করতে কত দিন লাগে?

জন্ম নিবন্ধন করতে কতদিন লাগে এই বিষয়টি সাধারণত স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম এবং তাদের কার্যদক্ষতার উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করার পর থেকে একটি জন্ম নিবন্ধন সম্পূর্ণ হতে ৭ থেকে ১৫ কর্ম দিবস সময় লাগতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে, বিশ্বাস করে যদি প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সঠিকভাবে জমা দেয়া হয় এবং ডকুমেন্টে কোন অসুবিধা না থাকে তাহলে এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যেও জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হতে পারে।

জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা?

সাধারণত ০ থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন বিনামূল্যে করা হয়। দেশে অবস্থানরত ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য ২৫ টাকা ফি দিতে হয় এবং দেশের বাইরে জন্ম নিবন্ধনের জন্য ১ মার্কিন ডলার ফি দিতে হয়। এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে ৫০ টাকা ফি এবং দেশের বাইরে হলে ১ মার্কিন ডলার ফি দিতে হয়।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url