জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম জেনে নিন (অর্থসহ)
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তিনি মুসলিম অমুসলিম সবার চোখে ছিল এক অনুপম আদর্শ। আর মুসলমানদের ছিল হৃদয়ের স্পন্দন। কথিত আছে রাসূল (সাঃ) এর জীবদ্দশায় যারা ইসলাম গ্রহণ করে, অল্প সময়ের জন্য হলেও রাসূল (সাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তারাই সাহাবী। আর এই সাহাবীদের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মতান্তরে ২ লক্ষ। যাদের মধ্য অনেক সাহাবীগণ জীবিত থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সাহাবীদের নাম জানি’না। তবে একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা উচিত। আর তাই আজকের এই পোস্টটিতে আমরা জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম (অর্থসহ) এবং আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
রাসুল (সাঃ) এর খাদেম কে ছিলেন?
রাসূল (সাঃ) এর জীবদ্দশায় যারা তার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তাদেরকে মূলত খাদেম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন এমন অনেক সাহাবী রয়েছে। আর সাহাবীরা নবীজির খেদমত করার সুযোগ পেলে সেটিকে সৌভাগ্য মনে করতেন। কারণ তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। আমাদের শেষ নবী। নবীজির খাদেম হিসেবে যদিও কেউ পার্মানেন্ট ভাবে নিয়োজিত ছিল না। তবে এমন অনেক সাহাবী ছিল যারা সার্বক্ষণিক নবীজির খেদমতে নিয়োজিত থাকার চেষ্টা করেছিলেন। নবীজির খেদমতে ছিলেন এমন কিছু সাহাবীর নাম নিচে তুলে তালিকা আকারে তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক
- হযরত আলী (রা.)।
- হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (নবীজির সেবা মূলক সব কাজের দেখাশোনা করতেন)।
- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (যার কাছে নবীজির জুতা ও মিসওয়াক থাকতো)।
- উকবা ইবনে আমের জুহানী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (নবীজির খচ্চরের লাগাম ধরতেন)।
- আসলা ইবনে শরীক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (রাসূল সাঃ এর সফরে সহচর হিসেবে থাকতেন)।
- হজরত যায়েদ ইবনে হারেসা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (খাদেম ছিলেন যাকে নবীজি আজাদ করে দিয়েছিলেন)।
- হজরত বিলাল ইবনে রিবাহ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (নবীজির মুয়াজ্জিন ছিলেন)।
- হজরত সাদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
- হজরত আবু জর গিফারি রাদিয়াল্লাহু তায়অলা আনহু।
- আয়মান ইবনে আবিদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
- আয়মান ইবনে আবিদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
- হযরত রাবিআ ইবনে কা’ব আল আসলামি (রা.)।
- আবুস সামহ (রা.)।
- বুকাইর বিন সুদাখ (রা.)।
এছাড়াও হজরত আসলাম, সালেহ, আবু রাফে, আবু কাবশা, সাওবান, সাফিনাহ ইবনে ফারুক, উনায়সা নামে আরও অনেক সাহাবি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাদেম ছিলেন।
জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম
মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে যুগে যুগে হাজার হাজার নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন। যাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল বানিয়েছেন একজনকে। তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। মুসলিম অমুসলিম সবার চোখে তিনি এক অনুপম আদর্শ। এই মহামানবের অনুপম ব্যক্তিত্বের পরশে যে সকল সাহাবীগণ ছিলেন তারা একে একটা তারকা, এক একটা হীরক খণ্ডক আদর্শে অনুকরণীয়, ঈমানে অটল, চরিত্রে উজ্জ্বল, শৌর্যে অতুলনীয়। এই সাহাবীগণ এতটাই চরিত্রবান ছিলেন যে তাদের সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যেঃ
والسا بقون الا ولون من المها جرين والا نصار والذين تبعوهم باحسان رض الله عنهم ورضوا عنه واعد لهم جنت تجرى من تحتها الانها رخالدين فيها ابدا ذلك القوز لعظيم
“(ইসলামের) অগ্রগামী মুহাজির (প্রথম স্বদেশ পরিত্যাগকারী) ও আনসার (সাহায্যকারী) এবং সৎ কর্মে অনুসরণকারীদের উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট, এবং তারাও তাঁর (আল্লাহর) দ্বারা পরিতৃপ্ত (যেহেতু) তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নাত (উদ্যান) যার নিচে প্রবাহিত নদীর ধারা যেখানে তারা বাস করবে অনন্তকাল, এবং এটাই হলো তাদের পরম প্রাপ্তি।” (আত-তাওবাহ-১০০)
এছাড়াও এই সাহাবীদের উৎকর্ষতার বর্ণনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
خير الناس قرنى ثم الذين يلو نهم ثم لذين بلهم “আমার যুগের মানুষেরা হলো উত্তম, তারপরে ভলো যারা এদের পরে আসবে, তারপরে যারা পরে আসবে, (তারা তাদের পূর্ব বর্তীদের থেকে কম ভালো)” (বুখারী ও মুসলিম)
সাহাবীদের সংজ্ঞা নির্ণয়ে যদিও অনেক শ্রেণীবিভাগে সামান্য মতভেদ রয়েছে তারপরেও বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত হলোঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবদ্দশায় যারা ইসলাম গ্রহণ করে, স্বল্প সময়ের জন্য হলেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তাদেরকেই সাহাবী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর এরকম সাহাবীর সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ৪৪ হাজার মতান্তরে ২ লক্ষ।
আরো পড়ুনঃ ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি
যাদের মধ্যে অনেক সাহাবীগণ দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সাহাবী গুলোর নাম জানিনা। তবে একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম জানা উচিত। আর তাই এ পর্যায়ে আমরা এই পোস্টটির এই অংশে জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম নিচে তালিকা আকারে তুলে ধরেছি।
১। আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)।
২। হযরত উমর (রাঃ)।
৩। হযরত উসমান (রাঃ)।
৪। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)।
৫। আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)।
৬। ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ)।
৭। ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ)।
৮। তালহা ইবনে উবাই বিল্লা (রাঃ)।
৯। উমায়ের ইবনে ওয়াহাব (রাঃ)।
১০। বাশার হাবিব বিনতে মাসলামা (রাঃ)।
১১। সালমান আল ফার্সি (রাঃ)।
১২। হাসান ইবনে সাবিত (রাঃ)।
১৩। হোসাইন ইবনে আলী (রাঃ)।
১৪। আবু উবাইদা ইবনুল জাররা (রাঃ)।
১৫। হারিছা ইবনে নুমান (রাঃ)।
১৬। যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ)।
১৭। হযরত সা'দ (রাঃ)।
১৮। হযরত হামজা (রাঃ)।
১৯। হযরত আব্দুর রহমান (রাঃ)।
২০। হযরত জিয়াদ বিন হারিদ (রাঃ)।
আশারায়ে মুবাশশারা কত জন সাহাবী ও তাদের নাম
আরবি আশারা শব্দের অর্থ হলো "দশ" আর মুবাশশারা শব্দের অর্থ হলো "সুসংবাদপ্রাপ্ত"। অতএব, আশারায়ে মুবাশশারা শব্দের অর্থ হলো সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন। তাহলে আপনাদের যাদের প্রশ্ন ছিল আশারায়ে মুবাশশারা কতজন সাহাবী? তারা হয়তো ইতিমধ্যে উত্তর জেনে গেছেন। অর্থাৎ আশারায়ে মুবাশশারা সাহাবী হলেন দশজন। এখন প্রশ্ন হল আশারায়ে মুবাশশারা বলতে কি বুঝায়? ইসলামী পরিভাষায়, আশারায়ে মুবাশশারা বলতে বোঝায় হরযত মোহাম্মদ সাঃ এর ১০ জন সাহাবীকে যারা হাদিস অনুযায়ী জীবদ্দশায় জান্নাতের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন। নিচে এই দশজন সাহাবীর নাম তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুনঃ মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়
১। উসমান ইবনে আফফান (রাঃ)
২। উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
৩। আবু বকর (রাঃ)
৪। আলি ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
৫। জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ)
৬। তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহ (রাঃ)
৭। আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ)
৮। আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
৯। সাঈদ ইবনে যায়িদ (রাঃ)
১০। সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ)
পুরুষ সাহাবীদের নামের তালিকা অর্থসহ
সাহাবী মূলত তাদেরকে বলা হয় যে সকল ব্যক্তিবর্গ জীবিত থাকা অবস্থায় আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে সরাসরি দেখেছেন এবং সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং তার হাত ধরে ইসলাম গ্রহণ করেছেন, অতঃপর ইসলামের প্রতি বিশ্বাস থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে সাধারণত ইসলামী পরিভাষায় নবীর সাহাবী বলা হয়। আর এরকম অসংখ্য সাহাবী রয়েছে যার মধ্য পুরুষ ও নারী উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে আমরা এই প্রশ্নের এই অংশতে শুধুমাত্র পুরুষ সাহাবীদের বাংলা বর্ণমালা ক্রমানুসারে নামের একটি তালিকা নিচে তুলে ধরব। যেন আপনারা পুরুষ সাহাবীদের নাম সম্পর্কে জানতে পারেন।
আ দিয়ে পুরুষ সাহাবীর নাম
- আইয ইবনে আমর
- আইয ইবনে মাইস
- আইয ইবনে সাঈদ
- আওন ইবনে মালিক
- আওস ইবনে খালিদ
- আইযুল্লাহ ইবনে উবাইদুল্লাহ
- আওস ইবনে আস সামিত
- আউস ইবনে খাওলা
- আওস ইবনে খালিদ ইবনে কুরত
- আওস ইবনে সাবিত
- আকিল ইবনে আবি তালিব
- আনাস ইবনে মালিক
- আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর
- আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর
- আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আওফা
- আবদুর রহমান ইবনে শিবল
- আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই
- আদি ইবনে হাতিম
- আত্তাব ইবন আসাইদ
- আওস ইবনে জুবায়ের
- আসিম ইবনে আদি
- আসিম ইবনে সাবিত
- আহনাফ ইবনে কায়িস
- আহসান ইবনে সাবিত
- আমর ইবনুল আস
- আমর ইবনে আবাসা
- আমর ইবনে উমাইয়া
- আমর ইবনে হাযম
- আমর ইবনে মুয়াজ
- আমর ইবনে সাঈদ ইবনুল আস
- আমের ইবনে আবুল বুকায়র
- আমির ইবনে ইয়াযিদ
- আবু যার আল-গিফারী
- আবু মাসুদ আল-আনসারী
- আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব
- আবদুল্লাহ ইবনে সালাম
- আবদুল্লাহ ইবনে যায়িদ ইত্যাদি।
ই দিয়ে পুরুষ সাহাবীর নাম
- ইয়াযিদ ইবনে আস সাকান
- ইয়াজিদ ইবনে আবি সুফিয়ান
- ইয়াজিদ ইবনে কায়স
- ইকরিমা ইবনে আবি জাহল
- ইয়াস ইবনে আবুল বুকায়র
- ইয়াসির ইবনে আমির
- ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মাদ
- ইয়াযিদ ইবনে সালাবা
- ইয়াযিদ ইবনে মুয়াবিয়া
উ দিয়ে পুরুষ সাহাবীর নাম
- উকবা ইবনে আমির
- উতবা ইবন ফারকাদ
- উকাশা ইবনে মিহসান
- উতবা ইবনে গাযওয়ান
- উসমান ইবনে তালহা
- উসমান ইবনে আফ্ফান
- উকবা ইবনে ওহাব
- উসামা ইবনে যায়িদ
- উবাইদাহ ইবনুল হারিস
- উবাদা ইবনে আস সামিত
- উমর ইবনুল খাত্তাব
- উসমান ইবনে মাজউন
- উমাইর ইবনে আবু ওয়াক্কাস
- উমাইর ইবনে আবি আমর
- উমাইর ইবনে ওয়াহাব ইত্যাদি
সর্ব শেষ সাহাবীর নাম কি?
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে সর্বশেষ সাহাবীর নাম কি ছিল? উত্তর হল আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বশেষ সাহাবী ছিলেন আবুত তুফাইল আমের বিন ওয়াসিলাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। আবুত তুফাইল আমের বিন ওয়াসিলাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু যে বছর উহুদ যুদ্ধ হয় সেই বছর জন্মগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া শক্ত হলে করণীয় ও স্বস্তির উপায়
এবং তিনি ১১০ হিজরী সনে মৃত্যুবরণ করেন। তারপরে কোন সাহাবী ইন্তেকাল করেছেন এমনটি ইতিহাসে এখনো পাওয়া যায়নি। আর এই ব্যাপারে ঐতিহাসিকরাও একমত পোষণ করেছেন। আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গেছেন।
শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নামের তালিকা
সাহাবী মূলত তাদেরকেই বলা হয় যারা আল্লাহ তাআলার রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন এবং তার হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং ইসলামের প্রতি বিশ্বাস রেখে মৃত্যুবরণ করেছিলেন তাদেরকে। আর আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর জীবদ্দশায় এমন অনেক সাহাবী রয়েছে। যারা শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ঈমানের উপর অটল ছিলেন। তবে সেই সকল সাহাবীদের মধ্য শ্রেষ্ঠ ও প্রধান সাহাবী ছিলেন চারজন। তারা হলেনঃ
- হযরত আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) (প্রথম খলিফা)।
- হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) (দ্বিতীয় খলিফা)।
- হযরত উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) (তৃতীয় খলিফা)।
- হযরত আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) (চতুর্থ খলিফা)।
এই চারজন সাহাবীকে ইসলামের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ খলিফা বলা হয়।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আমরা জান্নাতি ২০ সাহাবীর নামসহ সাহাবীদের সম্পর্কে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা সর্বদা চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জানানোর জন্য। তারপর আমাদের কোন ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকলে আশা করছি আপনারা আমাদের সেই ভুলগুলোকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর হ্যাঁ ইসলাম পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি ধর্ম। যেটি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে প্রদান করেছেন। আর একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই সাহাবীদের নাম জেনে রাখা উচিত। যেগুলো আমরা এই সম্পূর্ণ পোস্টটিকে তুলে ধরেছি। পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আশা করছি আপনারা এই পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url