সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কেমন - সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স এর কাজ কি জানুন বিস্তারিত
যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলি তাহলে বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ইন্সুরেন্স কোম্পানি হলো সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি। তবে এটি নিয়ে অনেকের মতভেদ থাকতেই পারে। এটি স্বাভাবিক। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করবো সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কেমন, সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স এর কাজ কি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
ভূমিকা
মানুষের জীবন চলমান। এই চলমান জীবনে কখন কার আপদ-বিপদ বা মৃত্যু হবে এটি কিন্তু আমরা কেউ জানিনা। আর মৃত্যু যে হবে এটি আমরা নিশ্চিত। মৃত্যু একদিন হবেই। জন্মগ্রহণ যখন করেছি তখন মরতে হবেই। কিন্তু সেই মৃত্যু যদি হয় অপ্রাপ্ত বয়সে। বা ধরুন আপনি বিয়ে করেছেন। আপনার দুটি সন্তান হয়েছে। এখন আপনার সন্তানদেরকে মানুষ করার সময়। কিন্তু এই সময় যদি আপনার মৃত্যু হয়, তাহলে কি হবে। কি হবে আপনার সন্তান, আপনার স্ত্রীর ভবিষ্যৎ।
বা আপনার স্ত্রী যদি মারা যায় তাহলে আপনার বা আপনার সন্তানের কি হবে। এটি কি কখনো ভেবে দেখেছেন। এইজন্য আপনিসহ আপনার পরিবারের প্রত্যেকের লাইফ ইন্সুরেন্স করে রাখুন। তাহলে আপনার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। এখন লাইফ ইন্সুরেন্স কোন কোম্পানিতে করবেন। বর্তমানে লাইফ ইন্সুরেন্স করার জন্য বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি একটি।
আরো পড়ুনঃ অগ্রণী ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম
আপনি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে আপনার পরিবারের সবার জীবন বীমা করতে
পারেন। কিন্তু এখানে প্রশ্ন থেকে যায় যে। আপনি কি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কেমন,
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর কাজ কি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন। না জেনে
থাকলে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জেনে নিন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স
সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কেমন
লাইফ ইন্সুরেন্স নিয়ে যদি কথা বলি তাহলে সাধারণ মানুষ প্রথমে যে কথাটি বলে যে-
আমি ইন্সুরেন্স কেন করবো? হ্যাঁ ইন্সুরেন্স কেন করবো এটি জানা দরকার। লাইফ
ইন্সুরেন্স করা হয় মূলত নিরাপত্তার জন্য। যখন আমি বা আপনি থাকবো না তখন আমার
ফ্যামিলি যেন ঠিক থাকে। তাদের উপর যেন কোন অভাব অনটন নেমে না আসে বা তাদের উপর
যেন কোন বিপর্যয় নেমে না আসে অথবা আমি বা আপনি যদি থাকি তখন যেন লাভ সহ আমি আমার
অর্থ বুঝে পাই তার জন্যই মূলত লাইফ ইন্সুরেন্স করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সোনালি
লাইফ ইন্সুরেন্সই কেন করবেন বা সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কেমন।
সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুল লক্ষ্য যেটি সেটি
হলো গ্রাহকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান এবং চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের জন্য
প্রয়োজনীয় আয়ের সমাধান দেওয়া, গ্রাহকদের বিনিয়োগ করতে সাহায্য করা এবং সেই
বিনিয়োগকৃত অর্থের সুরক্ষা প্রদান করা। বর্তমানে এই কোম্পানিটির অসংখ্য শাখা
প্রশাখা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যদিও এই
কোম্পানিটির মূল শাখা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি জীবন বীমার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির
ব্যবহার, স্বচ্ছতা ও গ্রাহকদের জবাবদিহিতা পরিপূর্ণভাবে পালন করে বলেই সম্প্রতি
তারা ৫০০ কোটি টাকার প্রিমিয়াম সংগ্রহের গৌরবময় সাফল্যের মাইলফলক অতিক্রম করল
বলে মনে করে এই কোম্পানিটি। যেটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় এটিএন বাংলার একটি রিপোর্টে
প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড তার
গ্রাহকদের কে দিয়ে থাকে নানান ধরনের সুবিধা। যেই সুবিধাগুলো নিয়ে আমরা এই
পোস্টটির নিচের অংশটি আলোচনা করবো। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর মালিক কে?
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। যদিও এই কোম্পানিটির ভিত্তি গড়ে উঠেছিল ৩০ বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানের একটি বোর্ডরুমে। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নিয়ে প্রথম যে ব্যক্তি স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি হলেন মোস্তফা কামাল কুদ্দুস (স্বপ্নদ্রষ্টা ও অভিভাবক)। এই ব্যক্তি প্রথম সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরপর মীর রাশেদ বিন আমান এর মত আরো অনেকের হাত ধরে আজকের এই সফলতম প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
২০১৩ সালের পহেলা আগস্ট প্রথম ফিতা কেটে সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর ই হাফসা। এছাড়াও এই সময় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের আরো অনেক সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। স্বল্প পরিসর নিয়ে শুরু হওয়া এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে যুক্ত হয়েছিল শ্রমে, মেধা ও মনোনয়নে ভরপুর মীর রাশেদ বিন আমানের মত অসংখ্য আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নবাজ মানুষ। বাংলাদেশের প্রথম যে ইন্সুরেন্স জগতে মোবাইল অ্যাপসটি নিয়ে আসে সেটিও ছিল সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
আরো পড়ুনঃ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ কবে
এই কোম্পানিটি প্রথম বাংলাদেশের ইন্সুরেন্স জগতে তথ্যপ্রযুক্তির দিকে ধাবিত হয়। তারপর এই কোম্পানির সবার পরিশ্রম, মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে এই কোম্পানিটি সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই কোম্পানিটি গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা ও নির্ভরতার জায়গাটি অর্জন করে নিয়েছে।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর বর্তমান চেয়ারম্যান কে
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হাজারো আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নবাজ মানুষদের নিয়ে। এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি প্রথম নিজেদের শক্তি এবং সুযোগগুলো ব্যবহার করে দেশের সেরা জীবন বীমা সংস্থা তৈরি করার জন্য সাহসী ও স্বচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছিল। মাত্র তিন মাস বা এরও কম সময়ের মধ্যে এই কোম্পানিটি ২৮৫ মিলিয়ন টাকা পরিশোধিত মূলধন সহ সারাদেশে প্রায় ৮৬ টিরও বেশি শাখা-প্রশাখা এবং পরিষেবা কেন্দ্র চালু করেছে।
বর্তমানে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছেন নুর-ই হাফসা এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফৌজিয়া
কামরুন তানিয়া। এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তাদের যাত্রা শুরু বীমা
শিল্পের সনাতন ঐতিহ্যের পদ্ধতিটি অনুসরণ করেনি। বরং তারা সর্বদাই বিমা শিল্পের
ডিজিটাল পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেছে। আর এই গুলো সম্ভব করেছে সোনালী লাইফ
ইন্সুরেন্স কোম্পানির বর্তমান CEO মীর রাশেদ বিন আমান। এছাড়াও এই কোম্পানিতে
বর্তমানে আরো অনেক দায়িত্ববান মানুষ কাজ করছেন। যাদের স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার
মতো।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কাজ কি?
এতক্ষণ আমরা সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড কেমন, এখানকার বর্তমান চেয়ারম্যান কে, এই কোম্পানির মালিক কে ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানলাম। এইগুলো জানার পর আপনার মনে হয় তো এই প্রশ্নটি কাজ করছে যে তাহলে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কাজ কি? চলুন তাহলে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর কাজ গুলো জেনে নেই।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স জগতের গ্রাহকদের
কাছে সবচেয়ে বিশ্বস্ততা ও নির্ভরতার প্রতীক। গ্রাহকরা নির্দ্বিধায় সোনালী লাইফ
ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে জীবন বীমা করে থাকে। কারণ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি
জীবন বীমার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকদেরকে
নানান ধরনের সুবিধা প্রদান করে। এছাড়াও গ্রাহকদের সকল ধরনের জবাবদিহি করে থাকেন।
এগুলোর পাশাপাশি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে।
যেমন-
আরো পড়ুনঃ নৌবাহিনীর সিম্যান এর কাজ কি জেনে নিন
ফ্লেক্সিবল বেনিফিটস বা লাভ
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের জীবন বীমার জন্য ভিন্ন ভিন্ন
স্কিম প্রদান করে থাকে। এখানে গ্রাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী জীবন বীমার জন্য যে
কোন স্কিম পছন্দ করতে পারে। এখানে গ্রাহকরা তাদের মূল্যবান বিনিয়োগ থেকে অর্থ
উপার্জন করতে পারবে পাশাপাশি গ্রাহকের অনুপস্থিতে মূল টাকার সাথে বোনাস টাকাও
দাবি করতে পারবে।
বিপর্যয়ের জন্য পরিকল্পনা প্রদান
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি গ্রাহকদের বিপর্যয়ের সময় বিভিন্ন ধরনের বীমা
প্রদান করে থাকে। যেগুলোর মধ্য রয়েছে সুরক্ষিত দেনমোহর বীমা, হজ বীমা, শিক্ষা
ব্যয় বীমা, পেনশন বীমা, শিশু সুরক্ষা স্কিম, মানি ব্যাক ট্রার্ম প্ল্যান ইত্যাদি
সব বীমা গ্রাহকদেরকে সরবরাহ করে থাকে এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স
কোম্পানিটি। এই বীমা গুলো ব্যবহার করে একজন গ্রাহক তার বিপর্যয়ের সময়
সেখান থেকে মুক্তি পেতে পারবে। এই সুবিধাটি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি
দিচ্ছে।
বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মী
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে যে সকল কর্মীরা কাজ করে তারা সবাই গ্রাহকদের
সাথে খুবই বন্ধুসুলভ আচরণ করে। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করে একদল
সুদক্ষ কর্মী বাহিনী যাদের বৈশিষ্ট্য হলো ব্যতিক্রমী চিন্তাশৈলী এবং কাজের
অভিজ্ঞতা। এই কোম্পানির যতগুলো শাখা বাংলাদেশের ছড়িয়ে আছে সবগুলো শাখার
কর্মীদের কাছ থেকে একজন গ্রাহক পাবে দক্ষ সেবা, ভবিষ্যতের সুরক্ষিত বিনিয়োগ এবং
ঝুঁকি কভারেজ করতে সহায়তা।
আর্থিক নিরাপত্তা
সোনালীর লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থের সুনিশ্চিত
নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। এই কোম্পানিটি গ্রাহকদের অর্থের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে
এবং গ্রাহকের সমস্ত ডেটা যাচাইয়ের এক্সেস সরবরাহ করে থাকে। যার ফলে বর্তমানে
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে গ্রাহকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ
আপনি যদি আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থের উচ্চতর লাভ পেতে চান তাহলে সোনালী লাইফ
ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি আপনার জন্য হতে পারে নির্ভরযোগ্য সংস্থা। সোনালী লাইফ
ইন্সুরেন্স কোম্পানি তার গ্রাহকদেরকে এমন সব স্কিম সরবরাহ করে যার বোনাস নিশ্চিত।
যার ফলে গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে এই কোম্পানিটিতে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করতে পারে। আর
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি গ্রাহকদের এই সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করা অর্থের
সুরক্ষার জন্য সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে।
ব্যবসায়িক লক্ষ্য
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তার গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক
লক্ষ্য পূরণের জন্য সহায়তা করে থাকে। এই কোম্পানিটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো
গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা। আর যেটি ইতিমধ্যে এই কোম্পানিটি অর্জন করে ফেলেছে। এই
কোম্পানিটি গ্রাহকের বিভিন্ন কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে থাকে ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত কাজগুলোর সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি গ্রাহকদের সকল ধরনের
পলিসি সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। আর এই কাজগুলো করার জন্য এই
কোম্পানিটি সম্পন্ন ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে আপনি কেন জীবন বীমা করবেন? কি কি সুবিধা
পাচ্ছেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি থেকে। চলুন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স
কোম্পানি লিমিটেড এর সুবিধাগুলো জেনে নেই।
- গ্রাহকদের অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করে।
- এই কোম্পানিতে আপনি পাবেন অর্থের দ্রুততম প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা।
- অর্থের সহজ উদ্ধৃতি এবং সর্বদা অনলাইন উপস্থিতি এই সুবিধাটি পাবেন।
- সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সর্বদা গ্রাহকদের সেবায় নিয়োজিত থাকে।
- প্রবাসীদের অর্থ বিনিয়োগ করার উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে।
- গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থের উপরে অধিক পরিমাণে বোনাস প্রদান করে থাকে ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ নৌবাহিনীর স্টোরম্যান এর কাজ কি জেনে নিন
এছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গ্রাহকদেরকে আরো অসংখ্য সুযোগ
সুবিধা পূরণ করে থাকে।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর অসুবিধা
প্রত্যেক মুদ্রার যেমন এপিঠ ওপিঠ থাকে তেমনি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিরও রয়েছে কিছু অসুবিধা। তবে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির মূল অসুবিধা হলো এই কোম্পানির ব্রাঞ্চ শাখা। বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় মোট ৪৯৫ টি উপজেলা রয়েছে। যেখানে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির শাখা রয়েছে মাত্র ৮৬ টি। তবে আশা করছি আগামীতে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তাদের শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি করবে। এই কোম্পানিটির আরেকটি অসুবিধা হলো-গ্রাহকের জটিল দাবি গুলো পূরণের ক্ষেত্রে সময় বেশি নেওয়া।
এই কোম্পানীতে অনেক সময় গ্রাহকের জটিল দাবি গুলো যেগুলো বড় অ্যামাউন্ট এর বীমা
সেগুলোর ক্ষেত্রে দাবি প্রক্রিয়া করার জন্য একটু বেশি সময় নিয়ে। এছাড়া সোনালী
লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির আর কোন অসুবিধা আছে বলে আমাদের মনে হয় না। তবে সবাই
তো আর এক না। যার কাছে যেটা ভালো লাগে সেটা সুবিধা অনেক বেশি ও অসুবিধা অনেক কম
থাকে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষকথা
মানুষ মাত্রই মরণশীল। কখন কার বিপদ হবে এটি কখনোই বলা যায় না। তাই পরিবারের প্রত্যেকের জীবন বীমা করা অত্যন্ত জরুরী। এই অনিশ্চিত জীবনের প্রত্যেকটি মানুষই চায় তার পরিবারের সকলে যেন স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন কাটাতে পারে। তার পরিবার যেন তার অনুপস্থিত ও ভালো একটি লাইফ বিলং করতে পারে। আর সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি যেহেতু বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে জীবন বীমা সুবিধাটি প্রদান করে আসছে। এবং বর্তমানে এই কোম্পানিটি তাদের গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ পুলিশ সার্জেন্ট এর কাজ কি
সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার পরিবারের প্রত্যেকের জীবন বীমা এই কোম্পানিতে করতে
পারেন। আর বর্তমানে বাংলাদেশে যতগুলো ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও সুনামধন্য বলে
বিবেচিত হয়েছে। আর এই কোম্পানিটির ইতিমধ্যে অনেকগুলো অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছে। আশা
করছি এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে যদি আপনি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে
থাকেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url