সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি ডিটেলস, শাখাগুলোর নাম জেনে নিন
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি কোম্পানি লিমিটেড বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে বীমার জন্য বিশ্বস্ততা ও নির্ভরতার প্রতিক। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তাদের কার্যক্রম সফলতার সাথে পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পলিসি ডিটেলস জানি না। যার কারণে, আজকের এই পোস্টটিতে আমরা সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির পলিসি ডিটেলস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি? সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স মূলত একটি কোম্পানি বা
ব্যাংক। যাদের মূল লক্ষ্য হলো গ্রাহকের বিনিয়োগকৃত অর্থের সর্বোচ্চ সুরক্ষা
প্রদান, অবসর গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় আয়ের সমাধান এবং গ্রাহকের
বিনিয়োগ করা অর্থের সুরক্ষা পরিকল্পনার প্রিমিয়াম পরিসেবা প্রদান করা।
এছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের জীবন বীমা করার সময়
সঞ্চয়ীকরণ এবং গ্রাহকের আর্থিক প্রয়োজনের সহায়তা করার জন্য বোনাস মূল্য তৈরি
করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করতে কি কি লাগবে?
এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির স্লোগান হলো A Leader knows the way, goes
the way and shows the way। এই কোম্পানিতে কাজ করা প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারী
দক্ষতার সাথে তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের পরিসেবা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে
এই সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সাধারণ মানুষদের কাছে বীমার জন্য
নির্ভরতা ও আস্থার প্রতীক। এছাড়াও ইতিমধ্যে এই কোম্পানিটি ইন্সুরেন্স জগতে
সেরা কোম্পানি হিসেবে অনেক অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন। যেগুলো সত্যি অতুলনীয়।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পহেলা আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর এই দিনটিতে ফিতা কেটে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান নুর-ই হাফসা। যদিও এই কোম্পানিটির ভিত্তি গঠিত করা হয়েছিল ৩০ বছর আগে একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ডরুমে। আর সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এই কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রথম মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। যাকে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির স্বপ্নদ্রষ্টা ও অভিভাবক বলা হয়।
বর্তমানে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সিইও এর দায়িত্ব পালন করছেন অন্যতম
বিচক্ষণ ব্যক্তি মীর রাশেদ বিন আমান। এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিই
প্রথম বাংলাদেশে জীবন বীমার ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে। যা এই কোম্পানিটি
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানি করে। যার কারণে সোনালী লাইফ
ইন্সুরেন্স কোম্পানি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শাখা সমূহ
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২৮৫ মিলিয়ন টাকা পরিশোধ মূলধন সহ
সারা দেশের প্রায় ৮৬ টিরও বেশি শাখা এবং পরিসেবা কেন্দ্র চালু রেখেছে। নিচে
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিভাগ অনুযায়ী এই কোম্পানির শাখা
গুলোর নাম তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশের সবগুলো বিভাগেই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির শাখা রয়েছে। নিচে
ঢাকা বিভাগের মধ্যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের যে সকল শাখা
রয়েছে তার নাম তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুনঃ ডাচ বাংলা একাউন্ট করতে কত টাকা লাগে?
১। ঢাকা বিভাগের মধ্যে জেলা রয়েছে মোট ১০ টি। সেগুলো হলো- ঢাকা, গাজীপুর,
কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল এবং
ফরিদপুর।
ঢাকা জেলায় অবস্থিত সোনালী লাইসেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর শাখা গুলো হলো-
- মতিঝিল
- মালিবাগ
- উত্তরা (মেট্রো)
- মেট্রো হেড অফিস
- মিরপুর (মেট্রো)
- যাত্রাবাড়ী (মেট্রো)
- সাভার (মেট্রো)
- গুলশান (মেট্রো)
- কদমতলী (মেট্রো)
- নবীনগর সাভার (মেট্রো)
- কেরানীগঞ্জ (মেট্রো)
- মিরপুর এজেন্সি (মেট্রো)
- আশুলিয়া (মেট্রো)
- বান্দুরা (মেট্রো)
- মোহাম্মদপুর (মেট্রো)
গাজীপুর জেলায় অবস্থিত সোনালী লাইসেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর শাখা গুলো হলো-
- কাশিমপুর (মেট্রো)
- গাজীপুর (মেট্রো)
- চান্দুরা চৌরাস্তা (মেট্রো)
- কালিয়াকৈর (মেট্রো)
কিশোরগঞ্জ জেলায় এই কোম্পানির ১টি শাখা অবস্থিত। সেটি হলো ভৈরব (মেট্রো)। মানিকগঞ্জ জেলায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের দুইটি শাখা অবস্থিত। শাখা দুটি হলো বাইরা (মেট্রো) এবং মানিকগঞ্জ (মেট্রো)। মুন্সিগঞ্জ জেলায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর একটি শাখা অবস্থিত। শাখাটি হলো মুন্সিগঞ্জ (মেট্রো)। নারায়ণগঞ্জ জেলায় এই কোম্পানির চারটি শাখা অবস্থিত। সেগুলো হলো আদমজী ইপিজেড (মেট্রো), সিদ্ধিরগঞ্জ (মেট্রো), সোনারগাঁও (মেট্রো) এবং নারায়ণগঞ্জ (মেট্রো)। নরসিংদী (মেট্রো) এবং আড়িয়াল খান (মেট্রো) তে এই কোম্পানির দুটি শাখা অবস্থিত। ফরিদপুর জেলায় এই কোম্পানির ১টি শাখা অবস্থিত শাখাটির নাম হলো- ফরিদপুর (মেট্রো)। মাদারীপুর জেলায় দুইটি শাখা অবস্থিত এই কোম্পানির। শাখা দুটি হলো মাদারীপুর (মেট্রো) এবং শিবচর (মেট্রো)।
টাঙ্গাইল জেলায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির যে সকল শাখা গুলো অবস্থিত
সেগুলো হলো-
- টাঙ্গাইল (মেট্রো)
- করোটিয়া (মেট্রো)
- টাঙ্গাইল সদর
- বাসাইল (মেট্রো)
- দেলদুয়ার (মেট্রো)
- নলুয়া (মেট্রো)
- ঘাটাইল (মেট্রো)
- সখিপুর (মেট্রো)
- লাউহাটি (মেট্রো)
২। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্য মোট ১০ টি জেলায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানির শাখা রয়েছে। জেলা দশটি হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা,
চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, চট্টগ্রাম এবং
কক্সবাজার।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত শাখা গুলো হলো- কাউতলী (মেট্রো), কাসবাহ (মেট্রো), বি.বাড়িয়া (মেট্রো), আখাউড়া (মেট্রো), লালপুর (মেট্রো), বিজয়নগর (মেট্রো), সুলতানপুর (মেট্রো), তিতাস (মিটার), নাসিরনগর (মেট্রো), চান্দুরা (মেট্রো), নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (মেট্রো), সরাইল (মেট্রো)।
- কুমিল্লায় অবস্থিত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সংখ্যাগুলো হলো- মিয়া বাজার (মেট্রো), কারিকান্দি (মেট্রো), নাঙ্গলকোট (মেট্রো), কুমিল্লা (মেট্রো), দেবিদ্বার (মেট্রো), বুচ্চি বাজার (মেট্রো), মুরাদনগর (মেট্রো), গুণবতী (মেট্রো), গৌরীপুর (মেট্রো), চান্দিনা (মেট্রো), দাউদকান্দি (মেট্রো), বুড়িচং (মেট্রো)।
- চাঁদপুর জেলায় অবস্থিত শাখা গুলো হলো- হাজীগঞ্জ (মেট্রো), চাঁদপুর (মেট্রো), সাচার (মেট্রো), কচুয়া (মেট্রো), Matlab Uttar (Metro), মতলব দক্ষিণ (মেট্রো)।
- লক্ষ্মীপুর জেলায় অবস্থিত শাখা গুলো হলো- রায়পুর (মেট্রো), লক্ষ্মীপুর (মেট্রো), কমল নগর (মেট্রো), Ramganj (Metro), আলেকজান্ডার (মেট্রো)।
- নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত শাখা গুলো হলো- সুবর্ণচর (মেট্রো), চৌমুহনী (মেট্রো), বসুরহাট (মেট্রো), সেনবাগ (মেট্রো), মাইজদী (মেট্রো), মাইজদী (মেট্রো), শেবারহাট (মেট্রো), চৌধুরী হাট (মেট্রো), কবিরহাট (মেট্রো), Hatiya Bazar (Metro)।
- ফেনীর জেলায় অবস্থিত শাখা গুলো হলো- ফেনী (মেট্রো), দাগনভূঁইয়া (মেট্রো), ফুলগাজী (মেট্রো), ছাগলনাইয়া (মেট্রো), সোনাগাজী এজেন্সি (মেট্রো), পরশুরাম (মেট্রো), দাগনভূঁইয়া এজেন্সি (মেট্রো), ফেনী এজেন্সি (মেট্রো), মুন্সিরহাট (মেট্রো), কোরাইস মুন্সী বাজার (মেট্রো)।
- রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত এই কোম্পানির শাখা গুলো হলো- কাপ্তাই (মেট্রো)।
- বান্দরবান জেলায় অবস্থিত শাখা গুলো হল- Lama (Metro), বান্দরবান (মেট্রো), আলী কদম (মেট্রো)।
- চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত শাখা গুলো হলো- আগ্রাবাদ, সুগন্ধা, New Market, নাজুমিয়ার হাট, আকবরশাহ তাকাফুল, সন্দ্বীপ শহর, ইয়াঙ্গুন, Sandip Akborhat Takaful, Sandwip Shiberhat Takaful, চট্টগ্রাম (মেট্রো), Wasa, Anowara (Metro), লালদীঘি (মেট্রো), কেরানিহাট, হাটহাজারী, Boalkhali, বড়ইয়ারহাট, লোহাগাড়া, দোহাজারী, কালুরঘাট, পটিয়া (মেট্রো), বহদ্দারহাট, চন্দনাশ, Colonel Hat (Metro), Heyako (Metro), রাউজান, হালিশহর, বাঁশখালী (মেট্রো), অক্সিজেন (মেট্রো), চকবাজার (মেট্রো)।
- কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত শাখা গুলো হলো- কক্সবাজার (মেট্রো), চকোরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ী (মেট্রো), উখিয়া (মেট্রো), কুতুবদিয়া, ঈদগাহ (মেট্রো), রাজাখালী।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ পুলিশ সার্জেন্ট এর কাজ কি
৩। সিলেট বিভাগের মধ্যে মোট চারটি জেলায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শাখা রয়েছে। জেলা চারটি হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ।
- সিলেট জেলায় অবস্থিত শাখাটি হলো- সিলেট (মেট্রো)।
- সুনামগঞ্জে অবস্থিত শাখাটি হলো সুনামগঞ্জ মেট্রো।
- মৌলভীবাজারের অবস্থিত শাখা গুলো হলো- Moulvibazar (Metro), শ্রীমঙ্গল।
- হবিগঞ্জে অবস্থিত শাখা গুলো হলো- Habiganj (Metro), মাধবপুর (মেট্রো), চুনারুঘাট, বানিয়াচং, শায়েস্তাগঞ্জ।
৪। খুলনা বিভাগের যে সকল জেলায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর শাখা গুলো রয়েছে। সেই জেলাগুলো হলো- চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা।
৫। রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর শাখা গুলো যে সকল জেলায় অবস্থিত সেই জেলাগুলো হলো- নাটোর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা।
৬। বরিশাল বিভাগের মধ্যে দুটি জেলায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর শাখা রয়েছে। জেলা দুটি হলো- বরিশাল এবং ভোলা।
৭। রংপুর বিভাগের মধ্য যে সকল জেলায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর শাখা রয়েছে সেই জেলাগুলো হলো- রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়।
৮। ময়মনসিং বিভাগের মধ্য সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর শাখা গুলো চারটি জেলায় রয়েছে। জেলা চারটি হলো- ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি ডিটেলস
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স জগতে সেরা ও জনপ্রিয় একটি কোম্পানি। এই কোম্পানিতে রয়েছে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট। তার মধ্যে policy deperment রয়েছে। যাদের কাজ হলো গ্রাহকদের পলিসি সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা প্রদান করা। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড কি কি পলিসি করে থাকে। এটা কি জানেন? না জানলে জেনে নিন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি ডিটেলস। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স যে সকল পলিসি করে থাকে সেই পলিসি গুলোর একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।
ইন্সুরেন্স পেনশন পরিকল্পনা অবসরকালীন সুরক্ষা
আমাদের মাঝে যারা চাকরি করে সবাইকে একটা সময় পর অবসরকালীন সময়ে পা রাখতে
হয়। এক্ষেত্রে আপনারা চাইলে এই অবসরকালীর সময়ের জন্য সোনালী লাইফ
ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বীমা করতে পারেন। যদিও অবসর করার পরেও আমরা অনেকেই
পেনশন পেয়ে থাকি। কিন্তু এই পেনশনের টাকা দিয়েও কিন্তু সেই সময় চলা
মুশকিল হয়ে যায়। তাই বীমা করে রাখা ভালো। এক্ষেত্রে এই বীমা করার জন্য
একটা আবেদনকারীর বয়স ৫৫ থেকে ৬০ বছর হতে হয়। মা কি করলে একজন আবেদনকারীর
পলিসি চালু থাকা সাপেক্ষে 10 বছর পর্যন্ত ভাতা পাবে।
সিঙ্গেল প্রিমিয়াম বীমা প্রকল্প
একটি নির্দিষ্ট সময় পর এককালীন প্রিমিয়াম পাওয়ার জন্য যে বীমা গ্রহণ করা হয় সেটিকে সাধারণত সিঙ্গেল প্রিমিয়াম বীমা প্রকল্প বলে। আর এই বিমাটি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তার গ্রাহকদেরকে প্রদান করে থাকে। এই পলিসিটির মেয়াদ সাধারণত ৬, ৮, ১০, ১২, ১৫ বছর হয়ে থাকে।
মাসিক সঞ্চয়ী ক্ষুদ্র বীমা প্রকল্প
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে টাকা সঞ্চয় করতে পছন্দ করে। তার জন্যই মূলত সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি মাসিক সঞ্চয়ী ক্ষুদ্র বীমা প্রকল্প পলিসিটি চালু করেছে। এই পলিসিটি একজন গ্রাহক ১০ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে করতে পারবে। এবং ১০ থেকে ১৫ বছর পরে সেই গ্রাহক ভালো অংকের প্রিমিয়াম সহ অর্থ হাতে পাবে।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস (মাসিক সঞ্চয়ী বীমা প্রকল্প-DPS)
একজন গ্রাহক চাইলে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে মাসিক সঞ্চয় বীমার কিস্তির পাশাপাশি ডিপিএস করতে পারে। একজন গ্রাহক ডিপিএস করলে সেখান থেকে পলিসি ধারক জমাকৃত প্রিমিয়ামে ৬ থেকে ১০% হারে মুনাফা পাবে (শর্ত সাপেক্ষে)। আর এই পলিসিটির মেয়াদ সর্বনিম্ন ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর হবে।
মানি ব্যাক টার্ম বীমা প্রকল্প
একজন গ্রাহক যদি মানি ব্যাক টার্ম বীমা পলিসিটি করে তাহলে সেই পলিসিতে প্রধানকৃত অর্থের উপরে নিশ্চিত ভাবে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ পাবে। এবং এটি প্রদান করবে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এক্ষেত্রে উক্ত পলিসির মেয়াদ ১০ বছর, ১৫ বছর এবং ২০ বছর হতে পারে। এক্ষেত্রে এই পলিসির অর্থটি মেয়াদ শেষ হলে একজন গ্রাহক ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ সহ তার সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত পাবে।
শিশু নিরাপত্তা বীমা প্রকল্প
এই পলিসিটির মেয়াদ সাধারণত ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনার শিশু
নিরাপত্তার জন্য এই বীমা প্রকল্পটি গ্রহণ করতে পারেন।
প্রত্যাশিত সঞ্চয়ী বীমা প্রকল্প
এই বীমা পলিসিটির মেয়াদ বিভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয় যেমন ১২, ১৫, ১৮, ২১ এবং ২৪ বছর। এই বীমা পলিসিতে সর্বমোট তিনটি কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ করা হয়। এক্ষেত্রে বীমার শুরুর দিকে মোট বিমাকৃত অর্থের ২৫ শতাংশ বিমার এক তৃতীয়াংশ মেয়াদ শেষ হলে এবং বিমার দুই-তৃতীয়াংশ মেয়াদ শেষ হলে ২৫ শতাংশ এবং সর্বশেষ সম্পূর্ণ মেয়াদ শেষ হলে ৫০ শতাংশ লাভ সহ সম্পূর্ণ অর্থ গ্রাহককে প্রদান করা হয়।
শিক্ষা নিরাপত্তা বীমা প্লাস
আপনার সন্তানের সুশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আপনারা শিক্ষা নিরাপত্তা বীমা
গ্রহণ করতে পারেন। এই সুবিধাটি বাংলাদেশ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি
লিমিটেড তার গ্রাহকদেরকে প্রদান করেছে। এই বীমা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই
কোম্পানির একজন কর্মচারীর কাছ থেকে এই বিমা সম্পর্কে ডিটেলস জেনে নেবেন।
সাধারণ সঞ্চয় বীমা
প্রতিমাসে কিছু অর্থ সঞ্চয় করার জন্য আপনারা এই বীমাটি গ্রহণ করতে পারেন।
এই বিমায় আপনারা স্বল্প হারে মুনাফা পাবেন।
আরো পড়ুনঃ বি আর এস রেকর্ড সংশোধন
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড উপরে উল্লিখিতগুলোর বীমা গুলোর
পাশাপাশি আরো যে সকল বীমা প্রকল্প গ্রাহককে প্রদান করে। সেগুলোর একটি
তালিকা নিচে দেওয়া হলো-
- দেনমোহর বীমা প্রকল্প
- কিস্তি বীমা
- মিলিনিয়র স্কিম
- হজ্জ বীমা
- কোটিপোটি স্কিম ইত্যাদি
বাংলাদেশের শীর্ষ বীমা কোম্পানি কোনটি?
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বীমা কোম্পানি আইনের অধীনে বাংলাদেশে বীমা কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে মাত্র তিনটি বীমা কোম্পানি নিয়ে বাংলাদেশ সীমা কোম্পানিগুলো যাত্রা শুরু করেছিল এবং গ্রাহকদেরকে সেবা প্রদান করেছিল। এরপর ধীরে ধীরে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক বীমা কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে আজকের এই পোস্টটির আর এই অংশটি আমরা বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ টি বীমা কোম্পানির নাম আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো। এবং বাংলাদেশে অবস্থিত ৫ টি বিপদজনক বীমা কোম্পানির নামও আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো।
বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ টি বীমা কোম্পানী হলো
- সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- Metlife Insurance কোম্পানি লিমিটেড
- গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
বাংলাদেশের ৫ টি বিপ*দজনক কোম্পানি হলো
- সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
- সান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
শেষ কথা
মানুষের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নাই। কখন কার বিপদ হবে এটি বলা যায় না। তাই জীবন বীমা করে রাখা খুবই ভালো। জীবন বীমা করলে পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আর প্রতিটি মানুষ চাই তার পরিবার যেন তার অবর্তমানে সচ্ছলভাবে জীবন যাপন কাটাতে পারে। আর এর জন্য জীবন বীমাই হলো একমাত্র পথ। তাই আজকের এই পোস্টটিতে আমরা বাংলাদেশের অন্যতম সুনামধন্য সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বর্তমানে বাংলাদেশে শীর্ষ ইন্সুরেন্স কোম্পানি গুলোর মধ্য প্রথম অবস্থান করছে।
আরো পড়ুনঃ দলিল তল্লাশি অনলাইনে করবেন যেভাবে
আপনারা চাইলে আপনার পরিবারের জীবন বীমা নিশ্চিন্তে এই কোম্পানিতে করতে পারেন। এই কোম্পানিতে দীর্ঘদিন যাবত তার গ্রাহকদেরকে সেবা প্রদান করে আসছে। আশা করছি এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা আপনাদেরকে আরো ভালো ভালো পোস্ট উপহার দিতে পারি।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url