আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় জানুুন বিস্তারিত
একজন গর্ভবতী মায়ের যখন গর্ভে সন্তান আসে তখন পরিবারের সকলেরই একটি কৌতুহল হয় যে গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। আর এটি জানার জন্য বর্তমানে অনেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট পরীক্ষা করে। কিন্তু এই পরীক্ষা করার আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় কি, আল্ট্রাসনোগ্রাম কি, আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে, আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে সন্তানের কোন ক্ষতি হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা উচিত। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে এটি জানার জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত পদ্ধতি হলো আল্ট্রাসনোগ্রাম। তবে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে মেয়ে হবে না ছেলে হবে তা উল্লেখ করা থাকে না। এটি বিভিন্ন উপায় এর মাধ্যমে বুঝতে হয়, যা ডাক্তাররা ভালো বোঝে। আর আপনি যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।ভূমিকা - আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
গর্ভবতী মায়ের গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এ নিয়ে গর্ভবতী মা সহ, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আত্মীয়-স্বজন এমনকি আশেপাশে যারা বসবাস করে তাদের সবারই মাঝে যেন কৌতূহলের শেষ নেই। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আগে খুব একটা আলোচনা হতো না কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়টা অনেক খোলামেলা। গ্রাম অঞ্চলের অনেক মা, খালা, মাসিমা, দাদি, নানিরা গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন লক্ষণ দেখেই বলে দিতে পারে তার ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। কিন্তু সেগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তাই বর্তমানে এই আধুনিক যুগে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এটি বোঝার জন্য বিজ্ঞান আল্ট্রাসনোগ্রাম পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে।
যার মাধ্যমে বোঝা যায় গর্বের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। এখন কথা হচ্ছে- আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে নাকি মেয়ে বোঝার উপায় কি, USG মানে কি, ডাক্তাররা এটি কিভাবে বোঝেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে? আমরা মূলত এই ব্যাপারেই এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। তাই আপনি যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে অবগত হতে চান এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
USG মানে কি?
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদেরকে আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম বা USG মানে কি তা জানতে হবে। তাই চলুন আগে USG মানে কি তা জেনে নেই।
USG এর পূর্ণরূপ হলো Ultrasonography বা Ultrasound। অর্থাৎ শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে যদি শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ, টিস্যু এবং শরীরের অন্যান্য কাঠামোর ইমেজিং পরীক্ষা করা হয় তাহলে তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি বা আল্ট্রাসনোগ্রাম বা আল্ট্রাসাউন্ড বলে। এই পদ্ধতিটি বাংলাদেশের প্রথম ১৯৮০ সালে নিয়ে আসা হয়। এরপরেই এই পদ্ধতি প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে গর্ভাবস্থায় একটি অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য এবং বিকাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
আরো পড়ুনঃ ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে
এই পদ্ধতি ব্যবহার করে গর্ভবতী মায়ের গর্ভে কি সন্তান আছে অর্থাৎ ছেলে না মেয়ে সন্তান আছে তা নির্ণয় করা যায়। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার জন্য কিছু উপায় রয়েছে। এই উপায় গুলো নিয়ে আমরা নিচে আলোচনা করবো।
আরো সহজ ভাষায় যদি বলি, তাহলে USG বা আল্ট্রাসনোগ্রাম হলো একটি বিশেষ ধরনের হাই ফ্রিকুয়েন্সি শব্দ তরঙ্গ যার মাধ্যমে মানবদেহের শরীরের ইমেজিং বা ছবি দেখার পরীক্ষা করা যায়। এছাড়াও আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহার করে আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের অবস্থান নির্ণয় করা যায়। যেমন- অঙ্গ, গ্রন্থী এবং রক্তনালীর বাধা, শরীরের অন্যান্য কাঠামোগত সমস্যা গুলি সন্ধান করা যায়, সিস্ট এবং কঠিন টিউমারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়, শরীরে কোন ধরনের ব্যথা, ফোলা ইত্যাদি রোগের উপসর্গের কারণ খুঁজে বের করা যায় ইত্যাদি।
আবার আমাদের শরীরে অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে যেগুলোর রোগের চিকিৎসা আমরা আল্ট্রা সাউন্ড বা আল্ট্রাসনোগ্রাম এর মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারি। যেমন- হার্ট, রক্তনালী, অগ্ন্যাশয় লিভার, গলব্লাডার, পেলভিসের অঙ্গ , মূত্রনালী, থাইরয়েড এবং প্যারাথাইরয়েড, স্তন, কিডনি, মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ড ইত্যাদি সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোগ আমরা আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে নির্ণয় করতে পারে। আশা করছি আপনাদেরকে USG মানে কি তা বোঝাতে পেরেছি। এখন চলুন Xy ছেলে না মেয়ে তা জেনে নেই।
Xy ছেলে না মেয়ে
আপনারা অনেকেই জানতে চান যে Xy ছেলে না মেয়ে এই সম্পর্কে। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে এই সম্পর্কে জানিয়ে দেবো। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সাধারণত মানব দেহে দুই ধরনের ক্রোমোজোম থাকে। নারীদের শরীরে XX নামক দুটি ক্রোমোজোম থাকে যাকে বলা হয় হোমোগ্যামেটিক সে*ক্স আর পুরুষের শরীরে XY নামক দুটি ক্রোমোজোম থাকে যাকে বলা হয় হেটারোগ্যামেটিক সে*ক্স। স্বাভাবিকভাবে যখন একজন পুরুষ ও একজন নারী যৌ*নমিলন করে তখন পুরুষের শরীরে থাকা শুক্রাণু নারীর ডিম্বাণুতে যায়। আর এর মাধ্যমেই নারীর পেটে বাচ্চার জন্ম হয়।
আরো পড়ুনঃ ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
এক্ষেত্রে যদি পুরুষের শরীরের X ক্রোমোজোম এবং নারীর শরীরের Y ক্রোমোজোম মিলিত হয়। তাহলে যে সন্তান হবে সেটি হবে ছেলে সন্তান আর যদি পুরুষের শরীরের X ক্রোমোজোম এবং নারীর শরীরের X ক্রোমোজোম মিলিত হয় তাহলে যে সন্তান হবে সেটি হবে মেয়ে সন্তান। অর্থাৎ যখন দুজনের XX ক্রোমোজোম মিলিত হবে তখন হবে মেয়ে সন্তান আর যখন দুজনের XY ক্রোমোজোম মিলিত হবে তখন হবে ছেলে সন্তান। আশা করছি বিষয়টি ক্লিয়ার করতে পেরেছি। এখন চলুন আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় জেনে নেই।
আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে?
আমরা অনেকেই আল্ট্রাসনোগ্রাম সম্পর্কে জানলেও আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে এই
সম্পর্কে জানিনা। যার কারণে অনেকেই গুগলে আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে এই
কথাটি লিখে সার্চ করে জানতে চাই। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে
আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে তা জানিয়ে দেবো।
একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার অর্থাৎ যে সময় গর্ভবতী হবে সেই সময় থেকে ২০ সপ্তাহ পর আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে তার গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে সন্তান আছে তা জানা যায়। তবে এর আগে যদি কোন গর্ভবতী নারী আল্ট্রাসনোগ্রাম করে তাহলে বিষয়টি জানা যায় না। আর একটা বিষয় আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি- আমাদের দেশের ডাক্তাররা গর্ভবতী নারীদেরকে তিনবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
- প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম
- দ্বিতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং
- তৃতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম
এক্ষেত্রে যখন একজন নারী প্রথম গর্ভবতী হয় তখন ডাক্তাররা প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেয় ১০ থেকে ১৪ তম সপ্তাহের মধ্যে। যদিও এই সময় পরীক্ষা করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। এই সময় শুধু জানা যায় যে সে কত সপ্তাহের গর্ভবতী, ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ, করবে জমজ বাচ্চা হবে নাকি একাধিক বাচ্চা হবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। এরপর যখন গর্ভাবস্থার সময়কাল ১৮ থেকে ২২ তম সপ্তাহ হয় তখন দ্বিতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেয়। এই সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে বাচ্চাটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা জানা যায়।
আরো পড়ুনঃ নোরিক্স ১ পিলের কার্যকারিতা কত সময়
সেই সঙ্গে বাচ্চার গঠন সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা যায়। এরপর যখন ডেলিভারির সময় হয় অর্থাৎ গর্ভাবস্থার সময়কাল ৩৬ থেকে ৩৮ তম সপ্তাহ হয় তখন তৃতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেয়। এই সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মূল কারণ হলো শিশুর অবস্থান জানা। অর্থাৎ শিশুটি ডেলিভারি হতে কোন ধরনের সমস্যা হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। আশা করছি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি। এখন চলুন আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় জেনে নেই।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় কি? এটি বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো যদি আপনার আল্ট্রাসনোগ্রাম ডেসক্রিপশন অপশনে যদি জেন্ডার- এম লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন যে আপনার ছেলে সন্তান হতে চলেছে। আর যদি এটি না লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন যে আপনার মেয়ে সন্তান হতে চলেছে। তবে গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের উন্নয়ন হওয়ার পর আলট্রাসনোগ্রাম করালেও আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এটি বোঝার স্পষ্ট উপায় থাকে না।
টেকনোলজির এই যুগে সন্তানের লি*ঙ্গ সম্পর্কে সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ পর্যন্ত ১০০% নিশ্চিত তথ্য দেওয়া যায় না। অনেক সময় ডাক্তাররা আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলে যে ছেলে সন্তান হবে কিন্তু সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দেখা যায় যে সেটি নিয়ে সন্তান হয়েছে। এরকম অনেক হয়। তবে ডাক্তাররা আল্ট্রাসনোগ্রাফির প্রেগন্যান্সি রিপোর্টের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনা করে বাচ্চার জেন্ডার নির্ধারণ করে থাকে। যেমন-
গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপঃ গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ নিয়ে চীনের লুইয়াং শহরে গর্ভবতী মহিলাদের উপরে ৭ বছর গবেষণা করার পর যে তথ্যটি উঠে এসেছে তা হলো- গর্ভবতী মায়ের গর্ভে ছেলে সন্তান আছে নাকি মেয়ে সন্তান আছে এটি বোঝার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো গর্ভবতী মায়ের রক্ত চাপ। এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ যদি 140 BPM এর কম হয় তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যদি রক্তচাপ 140 BPM এর বেশি হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরো পড়ুনঃ নোরিক্স পিল মাসে কয়টা খাওয়া যায়
ভ্রুনের হার্টবিটঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার জন্য ডাক্তাররা ভ্রুনের হার্টবিট পরীক্ষা করে। এক্ষেত্রে ভ্রুণটির হার্টবিট রেট যদি মিনিটে ১৪০ স্পন্দনের বেশি হয় তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে আর যদি এর কম হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এছাড়াও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে আরো বিভিন্ন ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে
ছেলে না মেয়ে সন্তান তার উপায় বোঝা যায়। যেগুলো আপনারা নিজের প্যারা দুটি থেকে
জানতে পারবেন। তাই পড়তে থাকুন।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে বোঝার উপায়
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে বোঝার উপায় গুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
- যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ডেসক্রিপশন অপশনে জেন্ডার- এম অথবা বয় লেখা থাকে। তাহলে বুঝবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
- যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে বাচ্চার হার্টবিট রেট প্রতি মিনিটে ১৪০ স্পন্দনের মধ্যে থাকে। তাহলে বুঝবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
- গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী নারীর শরীরের রক্তচাপ 140 BPM এর বেশি হয়। তাহলে বুঝবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
- আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে নিচের দিকে যদি একটি বৃত্তের সাথে তীর চিহ্ন যুক্ত থাকে তাহলে এটি ছেলে সন্তান নির্দেশ করে।
আশা করছি আপনারা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে বোঝার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদিও অনেক সময় এই তথ্যগুলো সঠিক হয় না। কিন্তু সঠিক না হওয়ার শতকরা হার খুবই কম। বেশিরভাগ সময়ই সঠিক হয়।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট মেয়ে বোঝার উপায়
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট মেয়ে বোঝার উপায় গুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
আরো পড়ুনঃ নোরিক্স পিল খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ডেসক্রিপশন অপশনে জেন্ডার- এন অথবা গাল লেখা থাকে। তাহলে বুঝবেন আপনার মেয়ে সন্তান হতে চলেছে।
- যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে বাচ্চার হার্টবিট রেট প্রতি মিনিটে ১৪০ স্পন্দনের বেশি হয়। তাহলে বুঝবেন আপনার মেয়ে সন্তান হবে। কারণ মেয়েদের হার্টবিট ওয়েট বেশি থাকে।
- গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী নারীর শরীরের রক্তচাপ 140 BPM এর কম হয়। তাহলে বুঝবেন আপনার মেয়ে সন্তান হবে। কারণ মেয়ে সন্তান হওয়ার সময় গর্ভবতী মায়ের শরীরের রক্তচাপ অনেক কমে যায়।
- আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে নিচের দিকে যদি একটি বৃত্তের সাথে যোগ চিহ্ন যুক্ত থাকে তাহলে এটি মেয়ে সন্তান নির্দেশ করে।
তবে আপনারা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ছেলে না মেয়ে বোঝার এই উপায়গুলো পাবেন,
গর্ভবতী হওয়ার ১৮ থেকে ২২ সপ্তাহের মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাফি করলে। যদি এর আগে করেন
তাহলে এই তথ্যগুলো পাবেন না। আশা করছি বিষয়গুলো ক্লিয়ার করতে পেরেছি।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় নিয়ে - শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়, আল্ট্রাসনোগ্রাম কি, Xy ছেলে না মেয়ে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পরে তার মনে সব সময়, তার গর্বের সন্তান ছেলে হবে নাকি বিয়ে হবে এই কৌতুহল হয়। যদি এই কৌতুহলি হয়ে থাকে তাহলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে আপনি এই বিষয়টি জানতে পারবেন। যদিও 100% নিশ্চিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের বেশিরভাগ তথ্যই সত্য হয়।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
আশা করছি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এবং পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হতে
পেরেছেন। আর যদি তাই হয় তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনি অন্যদের সাথে শেয়ার করে
তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের শরীরের যত্ন
নিবেন। ধন্যবাদ।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url