পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ ও আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আমাশয় রোগ এমন একটি রোগ যার সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। এই রোগের তেমন কোন ভয়াবহতা নেই তবে পুরাতন আমাশয় রোগের অনেক ভয়াবহতা রয়েছে। যার ফলে এই রোগটিকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোন উপায় নেই। তাই পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ সম্পর্কে জানা দরকার। সেই সাথে আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কেও জানা দরকার। কারণ আপনি যদি পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ ও আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানেন তাহলে খুব সহজেই এই রোগটি নির্ণয় এবং খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
ভূমিকা
আমাশয় রোগটির সাথে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। এই রোগটির তেমন কোন ভয়াবহতা না থাকলেও, পুরাতন আমাশয় রোগের ভয়াবহতা অনেক বেশি। এই রোগটি মূলত আমাদের শরীরে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী একটি রোগ। এই রোগটি হলে পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের দেশের হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া সকলেই প্রায় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগটি সাধারণত আমাদের দেশে বর্ষাকালের দিকে বেশি সংক্রমণ ঘটায়। তাই এই সময়টাতে আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা উচিত।
যাইহোক, এই পুরাতন আমাশয় রোগটি থেকে যদি আমরা সচেতন থাকতে চাই, তাহলে অবশ্যই
আমাদেরকে আগে পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ জানতে হবে, সেই সাথে জানতে হবে আমাশয় রোগীর
খাবার তালিকা সম্পর্কেও। তাই চলুন আমরা এই পোস্টটি থেকে আমাশয় রোগ সম্পর্কে কিছু
তথ্য যেমন আমাশয় কি, পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ গুলো কি, আমাশয় রোগের কারণ কি,
আমাশয় রোগের ঔষধ, আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে
নেই।
আমাশয় কাকে বলে
আমাশয় মূলত মানব শরীরে অন্ত্রে রোগ জীবাণুর দ্বারা সংক্রমণজড়িত এক ধরনের রোগ। আমাশয় এমন একটি অবস্থা যেটি হলে মলাশয়ের ভিতরে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভূত হয় সেই সাথে পেটে ব্যথা হয় এবং শ্লেষ্মা ও রক্তসহ পাতলা পায়খানা হয়। এই রোগটি সাধারণত এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা (Entamoeba histolytica) কিংবা শিগেলা (Shigella) গণভুক্ত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করলে হয়।
আবার আমাশয় হলে অনেক সময় পেট কামড়ানো সহ পায়খানার রাস্তা দিয়ে পিচ্ছিল আম বা শ্লেষ্মাযুক্ত রক্ত বের হতে পারে। সহজ ভাবে যদি বলি তাহলে- আমাশয় হলো কোন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে যদি আমাদের পেটের ভিতরে কোন সমস্যা হয় অর্থাৎ পেট ফুলে যাওয়া, পেটের মধ্যে শব্দ হওয়া, পেটের মধ্যে বিভিন্ন রকমের ব্লটিং ইত্যাদি সিম্পটম গুলো দেখা যায় এবং সেই সাথে পায়খানার রাস্তা দিয়ে পিচ্ছিল আম বা শ্লেষ্মাযুক্ত রক্ত বের হয় এবং ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয় তাহলে এটিকে আমরা আমাশয় বলবো। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
আমাশয় দুই ধরনের হয়ে থাকে। অ্যামিবিক ও ব্যাসিলারি। এখানে অ্যামিবিক আমাশয় মূলত বড় ছেলে মেয়েদের হয়ে থাকে অর্থাৎ পাঁচ বছরের উপরে যাদের বয়স তাদের এই রোগটি হয়ে থাকে। সাধারণত 5 বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের মধ্যে এই রোগটির প্রবণতা অত্যন্ত কম থাকে। এই অ্যামিবিক আমার শরীর মূলত পরিপাকতন্ত্রের বৃহদান্ত্রে এন্ট্যামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক পরজীবীর সংক্রামণের কারণে হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার লক্ষণ
আর ব্যাসিলারি আমাশয় মূলত- শিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের কারণে হয়ে থাকে। এই আমাশয়টি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। এই রোগটির কারণে অনেক মানুষের মৃ*ত্যুও হতে পারে। এই রোগটি বেশি ছড়ায় অপরিষ্কার হাত দিয়ে খাবার খাওয়া, মাছি ও খাবারের মাধ্যমে। যাদের বয়স দুই থেকে পাঁচ বছর তারা মূলত এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এই রোগের প্রধান উৎস হলো রোগীর মল। আশেপাশে আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি। এখন চলুন পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ ও আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নেই।
পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ গুলো
আপনার আসলেই কি পুরাতন আমাশয় হয়েছে? এটি কিভাবে বুঝবেন এটি বোঝার জন্য
আপনাকে অবশ্যই পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ গুলো জানতে হবে। আর এই লক্ষণগুলো দেখে আপনি
বুঝতে পারবেন যে আপনার শুধু আমাশয় হয়েছে নাকি পুরাতন আমাশয় হয়েছে। আর আমাশয়
কি এটি সম্পর্কে তো আমরা উপরের প্যারাটি থেকে জানলাম। চলুন তাহলে এখন আমরা পুরাতন
আমাশয় এর লক্ষণ গুলো জেনে নেই।
পুরাতন আমাশয় এমন একটি রোগ যার লক্ষণ সব সময় দেখা যাবে বা অনুভব করা যাবে এমন কিন্তু নয়। বরং এই রোগটি হলে আপনি কিছুদিন সুস্থ থাকবেন আবার কিছুদিন আপনার পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেবে এরকম হবে। তবে অনেক সময় রোগী ও রোগের ধরন ভেদে এই রোগের লক্ষণ গুলোর তারতম্য ঘটতে পারে। তবে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই যেসব লক্ষণ গুলো কমন দেখা যায় সেই লক্ষণগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
- পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া হওয়া
- পায়খানার বা মলের সাথে মিউকাস নিঃসরণ হওয়া
- পেটে মোচড়ানো ব্যথা হওয়া
- অনিয়মিত পায়খানা বা মলত্যাগের অভ্যাস
- হঠাৎ করেই ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়া
- শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জ্বর হওয়া
- বমি বমি ভাব হওয়া
- মল দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া
- মলের সাথে শ্লেষ্মা আবার কখনো কখনো রক্ত বের হওয়া
- প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
- দৈহিক শক্তির হ্রাস পাওয়া
- শরীরের ওজন দ্রুত কমে যাওয়া
- পেটের নাভির চারপাশে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব হওয়া
- পেটের মধ্যে শব্দ করা
- সকালে ঘুম থেকে উঠে তিন থেকে চার বারের বেশি বাথরুম করা
- পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি
মূলত উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলোই পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ গুলোর মধ্য ধরা হয়। আপনি
যদি আপনার মাঝে এই লক্ষণ গুলো দেখতে পান, তাহলে ধরে নিতে পারেন যে আপনি পুরাতন
আমাশয় রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর জন্য দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত। নয়তো আপনাকে
অনেক বড় সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন আমার শরীর
রোগের কারণ নেই।
আমাশয় রোগের কারণ কি
আমরা তো এতক্ষণে পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানালাম। এছাড়াও আরো
জানলাম আমাশয় কি এই সম্পর্কেও। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাশয় রোগের কারণ কি? কেন এই
রোগ হয়। চলুন তাহলে আমাশয় রোগের কারণগুলো জেনে নেই।
- সংক্রামিত পানি পান করলে
- সংক্রামিত খাবার সেবন করলে
- এই রোগে আক্রান্ত এমন ব্যক্তির সঙ্গে মৌখিক বা পায়ুজনিত যৌ*ন মিলন করলে
- অপরিষ্কার হাত দিয়ে খাবার সেবন করলে
- অপরিষ্কার হাত দিয়ে কেউ খাবার তৈরি করলে এবং সেই খাবার সেবন করলে ইত্যাদি
আরো পড়ুনঃ শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
উপরে উল্লেখিত কারণ গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে এই রোগটি ছড়াতে পারে। তবে এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা (Entamoeba histolytica) কিংবা শিগেলা (Shigella) গণভুক্ত নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে মূলত এই রোগটি হয়। এছাড়াও পানি, বাতাস, মশা, মাছি ও খাবারের মাধ্যমে এই রোগটি বেশি ছড়ায়। এখন চলুন আমরা আমাশয় রোগের ঔষধ ও আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা দেখে নেই।
আমাশয় রোগের ঔষধ
আমরা ইতিমধ্যে আমাশয় কি, পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ, আমাশয় রোগের এর কারণ ইত্যাদি
বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা আমাশয় রোগের কিছু ঔষধের নাম জেনে নেব।
এছাড়াও আপনারা অনেকেই google বা অন্যান্য ওয়েব সাইটে নিচে সার্চ দিয়ে জানতে
চেয়েছেন যে আমাশয় রোগের ঔষধ কোনগুলো। তাই এই পোস্টটির এই অংশে আমরা আমাশয়
রোগের কিছু ঔষধের নাম তুলে ধরবো। তবে এই ওষুধগুলো অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। চলুন তাহলে আমাশয় রোগের ঔষধ গুলোর নাম জেনে
নেই।
- Emcil ট্যাবলেট
- বেসিলেক্স ট্যাবলেট
- পিভিসিল ট্যাবলেট
- Flagyl 400 mg ট্যাবলেট
- Lexipen 200 ট্যাবলেট
- অ্যালেক্সিড ট্যাবলেট
- পিভসিলিন ট্যাবলেট
- পিনাম ট্যাবলেট
- Zox ট্যাবলেট
- Relexid ট্যাবলেট
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন
- পিভমেসিলিনাম
- সেফট্রিয়াক্সোন
- Ambigme Tablet
- Idometrol Tablet
- Rcifax 400 mg tablet
- লিব্রাক্স ট্যাবলেট
- নরম্যাক্সসিন ট্যাবলেট ইত্যাদি
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ ২০ খাবার তালিকা
উপরে উল্লেখিত ঔষধ গুলো মূলত আমাশয় রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে উপরে
উল্লেখিত ঔষধ গুলো দেখেই আপনি বাজার থেকে কিনে এনে খাবেন না। খাওয়ার পূর্বে
অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা দেখে নেই।
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আমাদের মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে আমাশয় হলে কি সব ধরনের খাওয়ারই খাওয়া
যাবে নাকি আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা রয়েছে। হ্যাঁ প্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা আমাশয়
রোগীর জন্য নির্দিষ্ট খাবার তালিকা রয়েছে। আপনার যখন আমাশয় হবে তখন আপনি সব
ধরনের খাবারই খেতে পারবেন না। আমাশয় থেকে দ্রুত থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে আমাশয়
রোগীর খাবার তালিকা অনুসরণ করতে হবে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে
তাহলে আমাশয় রোগীর খাবার তালিকায় কোন খাবারগুলো রয়েছে। চলুন তাহলে আমাশয়
রোগীর খাবার তালিকায় খাবার গুলো রয়েছে তা জেনে নেই।
১. ডালিমের খোসা
ডালিমে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি নামক উপাদান যা আ আমাশয় বা ডায়রিয়া সারাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। আপনারা যারা আমারশয় রোগে ভুগছেন তারা ডালিমের খোসা খেতে পারেন। এই ডালিমের খোসা আপনারা কাঁচা অথবা সিদ্ধ করে খেতে পারেন। আবার ডালিমের খোসা শুকনো করে গুড়ো করে সেই গুড়োর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে যদি খেতে পারেন তাহলে আরো ভালো ফলাফল পাবেন। অথবা কাঁচা খোসার সাথেও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও ডালিম গাছের ছাল শুকিয়ে গুড়ো করে সেই গুঁড়োও খেতে পারেন। এতে আপনার আমাশয় রোগ ভালো হয়ে যাবে।
২. থানকুনি পাতা
আমাশয় দূর করতে থানকুনি পাতা অনেক কার্যকারী একটি উপাদান। এই পাতা আপনারা
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সেবন করতে পারেন। আবার কিছু পরিমাণ
থানকুনি পাতা সংগ্রহ করে সেই পাতা বেটে রস বের করে, সেই রসের সাথে মধু বা চিনি
মিশিয়েও খেতে পারেন। এই থানকুনি পাতা খেলে আপনার আমাশয় দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে এই পাতা দিনে দুইবার সকালে এবং রাতে সেবন করবেন।
৩. কাঁচা কলা
আমাশয় কমানোর জন্য আপনারা কাঁচা কলা সেবন করতে পারেন। আমাশয় দূর করতে এই কাঁচা
কলা বেশ কার্যকরী একটি খাবার। প্রতিদিন যদি আপনি কাঁচা কলার তরকারি অথবা ভর্তা
করে খান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই আপনারা যারা
আমাশয় রোগী তারা নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. বেল
আমাশয় থেকে মুক্তির অন্যতম উৎস হলো বেল। তবে এই বেল অবশ্যই পাঁকা হতে হবে।
আপনারা যারা আমাশয় রোগী তারা যদি প্রতিদিন এই পাকা বেল খেতে পারেন তাহলে দ্রুত
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া আপনারা প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে বেলের শরবত
বানিয়ে খেতে পারেন। তাহলেও দ্রুত আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
৫. বিশুদ্ধ পানি
আমাশয় হলেই ডাক্তাররা বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে বলেন। তবে সেই শুধু পানি
নয়, স্যালাইন পানির সাথে মিশিয়ে খেতে বলেন। কারণ আমাশয় দূর করতে স্যালাইনের
ভূমিকা অনেক বেশি। আর আমাশয় হলে শরীর থেকে অনেক উপাদান বের হয়ে যায়, শক্তিও
কমে যায়। যার ফলে এই স্যালাইন খেলে সেই ঘাটতি পূরণ করা যায়। যদিও সম্পূর্ণ
ঘাটতি পূরণ হয় না তারপরেও অনেক উপকার হয়। তাই আপনারা যারা আমাশয় রোগী তারা
বিশুদ্ধ পানি পান করবেন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ পিত্তথলির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়
উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো ছাড়াও আমাশয়ের রোগীর আরো অনেক খাবার রয়েছে
যেমন- ডাবের পানি, স্যালাইন, জুস, সাদা ভাত, সাদা রুটি, মুরগি বা চর্বি
বিহীন মাংস, ওটমিল, দই, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, আলু, লেবুর রস, ভাতের মাড় ইত্যাদি সব
খাবারগুলো খেতে পারবেন। তবে যদি আমাশয় রোগীর খুবই খারাপ অবস্থা হয় তাহলে যত
দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। আশা করছি আপনাদেরকে বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ ও আমাশয় রোগের কারণ এবং আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না জানতে পারেন তাহলে অনুগ্রহ করে আবার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি আমাশয় রোগে আক্রান্ত হন।
তাহলে বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণ করবেন এর পাশাপাশি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন এবং ভুলেও শক্ত খাবার বা আমাশয় বৃদ্ধি করতে পারে এরকম
খাবার খাবেন না। আমাশয় রোগটি যদিও খুবই স্বাভাবিক তারপরও অনেক সময় এটি
অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। তাই কোন রোগকেই অবহেলা না করে সচেতন হন। আপনার কাছে
যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার করে
তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দেবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর মনে রাখবেন
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। ধন্যবাদ।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url