গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ - গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ জেনে নিন

স্বাভাবিকভাবে একজন বিবাহিত নারীর যখন পিরিয়ড মিস হয়, তখন আমরা ধরে নেই যে সে গর্ভবতী। আর এই ঘটনাটি গর্ভবতী হওয়ার অনেকদিন পরে ধরা পড়ে। তবে আপনি কি জানেন গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ সম্পর্কে অথবা গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। যেই লক্ষণগুলো একজন বিবাহিত নারীর পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে প্রকাশ পায়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি থেকে জেনে নিন। কেননা, এই পোস্টটি আমরা গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ - গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ
প্রত্যেক নারীর জীবনেই গর্ভধারণকালীন সময়টুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক নারীই গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। সুতরাং, এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ভূমিকা

আপনি কি গর্ভবতী? এটি কিভাবে বুঝবেন। এক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ রয়েছে যেগুলোর উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে আপনি গর্ভবতী কিনা তা নির্ণয় করা যায়। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় নারীদের পিরিয়ড মিস হলে ধরে নেওয়া হয় সে গর্ভবতী হয়েছে। তবে নারীদের পিরিয়ড মিস হওয়ার পূর্বেও আরো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় যে একজন নারী গর্ভবত। এক্ষেত্রে ডাক্তাররা সেই লক্ষণগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে।

আরো পড়ুনঃ নরমেনস ট্যাবলেট খেলে কি হয় 

যেমন- গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ, গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ, গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাসের লক্ষণ ইত্যাদি। আর এই লক্ষণগুলো আমাদের মাঝে অনেকেরই অজানা। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ, গর্ভবতী হলে কি হয়, গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন থেকে শুরু হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে ডিটেইলস জানতে মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়তে হবে। তাই আর দেরি না করে পোস্টটি পড়ুন এবং জেনে নিন লক্ষণগুলো।

অল্প বয়সে গর্ভবতী হলে কি হয়

বর্তমানে পৃথিবীতে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের মৃত্যুর দ্বিতীয় তম কারণ হলো অল্প বয়সে বিয়ে এবং গর্ভধারণ করা। unicef এর একটি তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের নারীদের যদি ২০ বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া না হতো তাহলে প্রতি বছর ২৩ হাজার শিশুর জীবন রক্ষা পেত। বর্তমানে বাংলাদেশ অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। 

সাধারণত গর্ভধারণের উপযুক্ত সময় হলো ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল। এই সময় গর্ভধারণ করলে মা ও শিশুর কোন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে হয় এর উল্টোটা। তাই অল্প বয়সে গর্ভবতী হলে কি হয় বা কি সমস্যা হতে পারে এই সম্পর্কে নিচে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। যাতে করে আপনারা সচেতন হতে পারেন।

  • অল্প বয়সে গর্ভবতী হলে মা ও শিশু উভয়ই পুষ্টিহীনতায় ভুগবে।
  • শিশুর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে।
  • শিশুর দেহের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।
  • শিশুর ফুসফুসে পানি ধরতে পারে।
  • মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে।
  • জন্ডিস ও রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
  • দেহে পানি শূন্যতা ও চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভের শিশুটি কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
  • অল্প বয়সে গর্ভধারণ করলে গর্ভের শিশুটির মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% এরও বেশি থাকে।
  • অল্প বয়সে গর্ভধারণ করলে মায়েদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে শিশুটির স্বাভাবিক বিকাশ ঘটে না।
  • গর্ভের বাচ্চাটি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে।
  • অল্প বয়সে গর্ভবতী হলে মায়েদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ এবং গর্ভকালীন সময়ে খিচুনির সহ আরো নানান ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়

উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেই সমস্যা গুলোর কারণে গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়েরই মৃত্যু হতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত। আর অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এখন চলুন উপযুক্ত বয়সে গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণগুলো জেনে নেই।

গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন থেকে শুরু হয়

যারা প্রথমবার গর্ভধারণ করেন তাদের মাঝে অনেকেই গুগলে সার্চ করে জানতে চাই যে গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন থেকে শুরু হয়। কোন সময়টায় আমি বুঝতে পারব যে আমি গর্ভবতী হয়েছি ইত্যাদি সব বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাই এই পোস্টটির এই প্যারাটিতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন থেকে শুরু হয়। চলুন তাহলে গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন থেকে শুরু হয় তা জেনে নেই।

প্রথমে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো সব মহিলাদের ক্ষেত্রে একই রকম হয় না। কিছু কিছু মহিলা আছে যাদের ক্ষেত্রে ডিম্বস্ফোটন হওয়ার ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। আবার কিছু কিছু মহিলা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এক মাস বা তারও বেশি সময় পরে গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। আবার কিছু কিছু মহিলা আছে যাদের পিরিয়ড মিস হওয়ার পরপরই গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। তাই গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন থেকে শুরু হয় এটির নির্দিষ্ট কোন সময় বলা যাচ্ছে না।

আশা করছি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি। এখন চলুন গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো কি কি তা জেনে নেই।

গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ

অন্তঃসত্ত্বা মুহূর্ত প্রত্যেক নারীর জীবনেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। যদিও একজন নারীর যখন পিরিয়ড মিস হয় তখন ধরে নেয়া হয় যে সে অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী হয়েছে। কিন্তু এই পিরিয়ড মিস হওয়ার পূর্বেও কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ নারীদের শরীরে দেখা যায়। যেগুলোকে ডাক্তাররা গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ নামে অভিহিত করেছেন।

আরো পড়ুনঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে?  

কিন্তু গর্ভধারণের যে সকল লক্ষণ রয়েছে সেই লক্ষণ গুলো সবার ক্ষেত্রে সমান নাও হতে পারে। তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো প্রতি ১০ জন গর্ভবতী নারীর মধ্যে ৭ জনের মাঝেই দেখা যায়। এখন কথা হচ্ছে সেই লক্ষণ গুলো কি? চলুন গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ সেই লক্ষণগুলো জেনে নেই।

১। মর্নিং সিকনেসঃ গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ গুলোর মধ্যে মর্নিং সিকনেস অন্যতম। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই একজন গর্ভবতী নারী অত্যাধিক দুর্বল ও ক্লান্তি বোধ করে থাকে। তবে মর্নিং সিকনেস যে শুধু সকালেই হবে এমন কিন্তু নয়। এটি দিনের যেকোনো সময় হতে পারে। সাধারণত একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন এই সমস্যাটি দেখা যায়। অনেক নারীর ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের মধ্যেই এই লক্ষণটি প্রকাশ পায়। আবার অনেক নারীর ক্ষেত্রে একমাস পর প্রকাশ পায়।

২। মুখের স্বাদের পরিবর্তনঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই মুখে অন্যরকম স্বাদ বুঝতে পারবেন। অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে। আর এটি মূলত গর্ভবতী হওয়ার ফলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে হয়।

৩। স্ত*নের আকার পরিবর্তনঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের স্ত*ন বড় ও ভারী মনে হবে। এর পাশাপাশি স্ত*ন ফুলে যাবে এবং বিশেষত স্ত*নের বোটায় খোঁচা খোঁচা ভাব অনুভূত হবে। এই সময় একজন গর্ভবতী মায়ের স্ত*ন বৃত্তের চারপাশের ত্বক আরো কালো হয়ে যায়। এবং স্তনের শিরা গুলি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর এই পরিবর্তনটি পিরিয়ড মিস হওয়ার পূর্বে হতে পারে। অথবা গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই হতে পারে।

৪। বমি বমি ভাবঃ বমি বমি ভাব সাধারণত গর্ভাবস্থার একমাস পরে দেখা যায়। তবে অনেক নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এই লক্ষণটি দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বমি হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কিন্তু বমি বমি ভাব হবে।

৫। স্পটিং ও সাদা স্রাবঃ সহ*বাস করার পর একজন নারীর শরীরে নিষিক্ত ডিম্বাণু তার শরীরের জরায়ুর দেয়ালে আটকে যায়। এমন সময় ওই নারী শরীরে স্বল্প রক্তপাত বা স্পটিং হতে পারে এবং মাসিকের ব্যথার মতো ব্যথা অনুভব হতে পারে। আর এই লক্ষণটি গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ পায়।

৬। মুড সুইংঃ একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তার মুড সুইং হতে পারে। আর এটি গর্ভবতী হওয়ার একটি লক্ষণ। মুড সুইং বলতে গর্ভবতী নারীর মন-মানসিকতা হুট করেই পরিবর্তন হয়ে যাওয়াকে বুঝায়।

আরো পড়ুনঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়

৭। পিঠের নিচে ব্যথা এবং ক্র্যাম্পঃ একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পর তার পিঠের নিচে ব্যথা অনুভূত হবে। যদিও সেই ব্যথা তীব্র পরিমাণে নয় হালকা হবে। এছাড়াও পিঠের নিচে ক্র্যাম্প হবে। আর এই লক্ষণটি গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ পায়।

৮। মাসিকের পূর্বে পেট ফুলে যাওয়াঃ স্বাভাবিকভাবে একজন নারীর যখন পিরিয়ড মিস হয় তখন আমরা ধরে নেই সে গর্ভবতী। কিন্তু যদি মাসিক বা পিরিয়ড মিস হওয়ার পূর্বে সেই নারীর পেট ফুলে যায়, তাহলে এটি একটি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

৯। গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই একজন গর্ভবতী মহিলার অম্বল মলত্যাগের সমস্যা হতে পারে। এই সময় মূলত শরীরে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে গর্ভবতী নারীর পাচনতন্ত্রের কাজের ক্ষমতা কমে যায় ফলে হজমের সমস্যা হয় এবং গ্যাসও হতে পারে। আর এটি একটি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ।

১০। খিটখিটে মেজাজঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নারীদের শরীরে অনেক ধরনের হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার ফলে গর্ভবতী নারীর মেজাজ খিটখিটে হতে পারে ইত্যাদি।

একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে। যে লক্ষণগুলো একজন গর্ভবতী নারীর গর্ভকালীন সময়ের মধ্যে প্রকাশ পায়। তবে উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো একজন গর্ভবতী নারীর প্রথম সপ্তাহের মধ্য প্রকাশ পেয়ে থাকে। আশা করছি আপনাদেরকে গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো জানাতে পেরেছি। এখন চলুন গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো জেনে নেই।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ

গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনে অন্যরকম একটি সুখ ও অনুভূতি নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে আমরা গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমরা জানবো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো কি কি। এবং কোন লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে আপনি গর্ভবতী আছেন কিনা তা জানতে পারবেন এই সম্পর্কে। 

আরো পড়ুনঃ ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

যদিও অনেকে মনে করেন একজন নারীর পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে সে গর্ভবতী হবে। কিন্তু এর বাইরে অনেক লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে। যেগুলো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের মধ্যে প্রকাশ পায়। এখন সেই লক্ষণ গুলো কি? গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো নিচে তুলে ধরা হলো-

  • মাসিকের অনুপস্থিতি
  • অত্যাধিক শারীরিক ক্লান্তি বোধ করা
  • খাদ্যভ্যাসের পরিবর্তন
  • মুখে দুর্গন্ধ অনুভূত হওয়া
  • বিচলিত বোধ করা
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা হওয়া
  • ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হওয়া
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • স্ত*নের পরিবর্তন হওয়া
  • বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি করা
  • পিঠের নিচের দিকে ব্যথা করা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস হতে পারে
  • মাথা ব্যথা
  • শরীরের ওজন ওঠানামা করা
  • পায়ে খিল ধরা
  • রক্তক্ষরণ হওয়া তবে অতিরিক্ত নয় স্পটিং এর মতো
  • স্বাভাবিক এর চাইতে বেশি পরিমাণে সাদাস্রাব হতে পারে
  • ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ
  • ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং
  • জ্বর ও পেটব্যথা ইত্যাদি

উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো যে সব নারীর ক্ষেত্রে একই হবে এমন কিন্তু নয়। এই লক্ষণগুলো অনেক নারীর ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় আবার অনেক নারীর ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। তবে গর্ভবতী নারীর প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনেরই উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের মধ্যে প্রকাশ পায়। আশা করছি বিষয়টি ক্লিয়ার করতে পেরেছি। এখন চলুন গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে কতটুকু রক্তপাত স্বাভাবিক তা জেনে নেই।

গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে কতটুকু রক্তপাত স্বাভাবিক

আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা প্রথমবার গর্ভধারণ করে। এক্ষেত্রে তারা জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকে কতটুকু রক্তপাত স্বাভাবিক। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো গর্ভাবস্থায় প্রথম দিনে কতটুকু রক্তপাত স্বাভাবিক এই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ নোরিক্স পিল মাসে কয়টা খাওয়া যায়

গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে গর্ভবতী মায়ের যো*নিপথে যদি হালকা রক্তপাত অর্থাৎ ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হয় তাহলে এটি স্বাভাবিক ঘটনা। এরকম হলে চিন্তার কোন কারণ নেই। এক্ষেত্রে কোন ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। এই সময় মূলত নিষিক্ত ডিম্বাণু ভ্রুণে বিকশিত হতে শুরু করে এবং জরায়ু অঞ্চলে চলে যায়। যার ফলে হালকা রক্তপাত হতে পারে। এক্ষেত্রে এটি কোন সমস্যা না। তারপরেও আপনার গাইনোকোলজিস্টিক এর সাথে পরামর্শ করে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হবে।

আর যদি হালকা রক্তপাতের চাইতে একটু বেশি রক্তপাত হয় এবং সাথে ব্যথা হয়। তাহলে সেটা ধরে নিতে হবে গর্ভপাত বা এ্যাবরশন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার গাইনোকোলজিস্টিক এর সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আশা করছি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আমরা আপনাদের মাঝে গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ গুলো তুলে ধরেছি। সেই সাথে অল্প বয়সে গর্ভবতী হলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে কতটুকু রক্তপাত স্বাভাবিক এই বিষয়গুলোও তুলে ধরেছি। যে বিষয়গুলো আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই পোস্টটি অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এবং আপনারা কি ধরনের পোস্ট বা এই পোস্ট সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন। সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url