কি খেলে পাইলস ভালো হয় - পাইলস এর ঔষধের নাম জেনে নিন
আপনি কি পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন? কোনভাবেই পাইলস থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। তাহলে আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন এবং এই পোস্টটি থেকে জেনে নিন কি খেলে পাইলস ভালো হয় ও পাইলস এর ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে। কেননা, এই পোস্টটিতে আমরা কি খেলে পাইলস ভালো হয়, পাইলস এর ঔষধের নাম, পাইলস এর লক্ষণ ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভূমিকা
মানবদেহে অন্যতম জটিল ও মারাত্মক একটি রোগ হলো পাইলস। এই রোগটি সব বয়সী মানুষের মাঝেই দেখা যায়। বর্তমানে পাইলসের সমস্যাটি অনেক বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এটি ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ হলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবন যাপন করা। মূলত পাইলস রোগের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। যদি কারো পাইলস দেখা দেয় তাহলে তার মলদ্বারের ভেতরের শিরা ফুলে যায়। যার ফলে ওইখানে প্রদাহ ও রক্তপাত হয়। এক্ষেত্রে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাদের আরো বেশি কষ্ট হয়। এখন কথা হচ্ছে এই পাইলস থেকে মুক্তির উপায় কি?
পাইলস যেহেতু খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবন যাপনের জন্য বেশি হয়। তাই আমাদের এই বিষয়ে দুটিতে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও কি খেলে পাইলস ভালো হয় ও পাইলস এর ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আমরা এই পোস্টটিতে পাইলস কি, পাইলস এর লক্ষণ, কি খেলে পাইলস ভালো হয়, পাইলস হলে কি কি সমস্যা হতে পারে, পাইলস এর ঔষধের নাম ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন অবশ্যই উপকৃত হবেন।
পাইলস কি
পাইলস যাকে অনেকে অশ্ব রোগ নামে চেনে। আমাদের শরীরের
মলদ্বারের শেষাংশে রেকটাম নামক একটি অঙ্গ থাকে। সেই
রেকটামের ভেতরে ও বাইরের অংশে কুশনের মত কিছু রক্তশিরার জালিকা থাকে, যেগুলো
প্রয়োজন সাপেক্ষে প্রসারিত ও সংকুচিত হয়, আর এটিকেই আমরা সবাই পাইলস নামে জানি।
এটি প্রত্যেক মানুষের শরীরেই রয়েছে। পাইলস রক্তনালী দিয়ে পূর্ণ থাকে। পাইলস
সাধারণত আমাদের শরীরের মল ও বাতাস ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ
তবে যখন এই মলদ্বারের পাইলসের শিরা গুলো ফুলে যায় এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয় সেই সাথে রক্ত পড়ে তখন এটিকে পাইলস রোগ নামে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়াও এটি অনেক সময় গোটার মত হতে পারে। পাইলস রোগটিকে চিকিৎসকের ভাষায় হেমোরয়েড রোগ বলা হয়। এটি হলে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহ ও রক্তপাত হয় এবং সেই অংশ ফুলে যায়।
পাইলস দুই রকমের হতে পারে-
- অভ্যন্তরীণ পাইলস ও
- বাহ্যিক পাইলস
অভ্যন্তরীণ পাইলসঃ এই ধরনের পাইলস মলদ্বারের ভিতরের অংশেতে হয়ে থাকে। এ ধরনের পাইলস বাইরে থেকে দেখা যায় না আবার এটি অনেক সময় অনুভবও করা যায় না। কিন্তু অনেক সময় মলত্যাগ করতে চাপ লাগলে অশ্বের অস্বস্তি টের পাওয়া যায়। অভ্যন্তরীণ পাইলস কে চিকিৎসকেরা চারটি পর্যায়ে ভাগ করে থাকে।
পর্যায়- ১ঃ প্রথম পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ পাইলস বাইরের দিকে বের হয়ে
আসে না বরং শুধু ফুলে যায়।
পর্যায়-২ঃ এই পর্যায়ে যখন মলমূত্র ত্যাগ করা হয় তখন পাইলসের ফোলা
অংশটুকু বাইরে বের হয়ে আসে এবং তারপর আপন-আপনি ঠিক হয়ে যায়।
পর্যায়-৩ঃ এই পর্যায়ে পাইলসের ফোলা অংশটুকু বাইরে বের হয়ে আসে
কিন্তু আপনা আপনি ভিতরে ঢুকে যায় না, হাত দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয়।
পর্যায়-৪ঃ এই পর্যায়ে পাইলসের ফোলা অংশ বাইরে বের হয়ে আসে আর হাত
দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেও ঠিক হয় না বা ঠিক করা যায় না।
বাহ্যিক পাইলসঃ বাহ্যিক পাইলস মূলত মলদ্বারের বাইরের অংশে বা মলদ্বারের মুখে হয়ে থাকে। এ ধরনের পাইলসে চামড়ার নিচে থাকে বলে সাধারণত ব্যথা হয় না। তবে মলত্যাগের সময় বেশিক্ষণ ধরে মলত্যাগ করলে বা চাপ দিলে বাইরের যে পাইলস সেই পাইলসের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে তাতে ব্যথা হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ফেটে রক্ত বের হয়ে যেতে পারে। আর এই ধরনের পাইলস অনেকদিন যাবত মলদ্বারে থাকলে সেখানে চুলকানি ও অপ্রয়োজনে চুল পরিষ্কার করতে অসুবিধা হয়।
পাইলস এর লক্ষণ
পাইলস রোগ এমন একটি রোগ যেটি সকল বয়সী মানুষেরই হতে পারে। তবে সব রোগই কিন্তু
আবার পাইলস নয়। পাইলসের মতো অনেক রোগ আছে যেগুলো দেখতে পাইলসের মত হলেও মূলত
সেগুলো পাইলস নয়। তাই পাইলস রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনাকে পাইলস এর লক্ষণ গুলো
জানতে হবে। যেগুলো আমরা কি খেলে পাইলস ভালো হয় এই পোষ্টের এই প্যারাটিতে আলোচনা
করেছি। পাইলস এর লক্ষণ গুলো হলো-
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে কতটুকু রক্তপাত স্বাভাবিক
পাইলস এর সাধারণ লক্ষণঃ
- পায়ু অঞ্চলে চুলকানি ও ব্যথা হওয়া।
- মলদ্বারের চারপাশটায় একটি শক্ত গলদা সৃষ্টি হওয়া।
- মলত্যাগের পর মলের সাথে রক্ত পরা।
- মলদ্বারের পাইলসের অংশটুকু ফুলে যাওয়া।
- বসলে ব্যথা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি।
পাইলস এর অভ্যন্তরীণ লক্ষণঃ
- মলত্যাগ করার সময় ব্যাথাহীন রক্তপাত।
- মলত্যাগ করার সময় অতিরিক্ত চাপ ও জ্বালা হওয়া।
- মলদ্বার খোলা ও বন্ধ করতে অত্যাধিক ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা।
- শক্ত জায়গা বা মাটিতে বসতে গেলে চাপ লেগে ব্যথা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি।
পাইলস এর বাহ্যিক লক্ষণঃ
- পায়ু অঞ্চলের চারপাশটায় জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হওয়া।
- মলত্যাগ করার সময় রক্তপাত হওয়া।
- মলদ্বারের চারপাশটা ফুলে যাওয়া।
- মলদ্বারের কাছাকাছি বেদনাদায়ক এক ধরনের মাংসল গলদ সৃষ্টি হওয়া।
- মলদ্বারে রক্তক্ষরণ হওয়া ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো যদি দেখতে পান তাহলে ধরে নেবেন এটি
পাইলস হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেবেন। এখন
চলুন কি খেলে পাইলস ভালো হয় ও পাইলস এর ঔষধের নাম গুলো জেনে নেই।
পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়
পাইলস কমবেশি আমাদের সকলেরই আছে। তবে কারো এটি রোগ হিসেবে প্রকাশ পায় কারও আবার
পায়না। পাইলস সকল বয়সী মানুষেরই হতে পারে। আপনার পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয় বা
আপনি কি কি সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তা নিচে তুলে ধরা হলো-
আরো পড়ুনঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
- মলত্যাগের সময় প্রচন্ড জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্ত ক্ষরণ এর সমস্যা।
- মলত্যাগের অঞ্চলটি ফুলে যেতে পারে এবং সেখানে ব্যথা হতে পারে।
- ঠিকঠাক মতে কোথাও বসতে না পারার সমস্যা হবে।
- সব সময় নিজের অস্বস্তি লাগবে।
- মলদ্বারের ভিতরে অথবা বাইরে আঙ্গুরের মতো গলদ সৃষ্টি হবে এবং সেখানে প্রচুর ব্যথা হওয়ার সমস্যা হতে পারে।
- পাইলট হলে মলদ্বার এর অপ্রয়োজনীয় চুল পরিষ্কার করতে অসুবিধা হবে।
- মলদ্বারে চুলকানি ও ব্যথা হবে।
- শরীরের রক্তস্বল্পতা সমস্যা হতে পারে।
- পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ইত্যাদি।
এছাড়াও আপনারা আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তবে মূলত যাদের পাইলস হয়
তাদের এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন
কি খেলে পাইলস ভালো হয় ও পাইলস এর ঔষধের নাম জেনে নেই।
কি খেলে পাইলস ভালো হয়
পাইলস কি ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। পাইলস মূলত এমন একটি অবস্থা যা মল ত্যাগের
সময় প্রদাহ, ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করে এবং মলদ্বারের অংশটি ফুলে
যায়। এটি সকল বয়সী মানুষেরই হতে পারে। আমাদের মাঝে অনেকেই পাইলসের সমস্যা
সমাধান করার জন্য সার্জারি করে কিন্তু আপনি যদি কিছু খাবার নিয়মমাফিক খান তাহলে
খুব সহজেই পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন। এবং আপনার কোনদিনও পাইলস হবে না। এখন প্রশ্ন
হচ্ছে সেই খাবার গুলো কি বা কি খেলে পাইলস ভালো হয়? কি খেলে পাইলস ভালো হয় জেনে
নেই চলুন।
গোটা শস্যঃ গোটা জাতীয় শস্য দ্বারা তৈরিকৃত খাবার খেলে পাইলস
অনেকাংশে ঠিক হয়ে যায়। যেমন- ওটমিল, বাদামি চাল, চালের পাস্তা ইত্যাদি সব
নরম জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরে থাকা মলকে নরম রাখে।
তাই মলত্যাগের সময় ব্যথা কম হয় এবং পাইলসের সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়।
দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ ফলঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাদের মাঝে মূলত পাইলস বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল কিংবা শাকসবজি নিয়মিত সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যায়। এতে পাইলসের সমস্যা অনেক অনেকটাই কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ নোরিক্স ট্যাবলেট খেলে কি হয়
প্রচুর পানি পান করাঃ পাইলসের সমস্যা দূর করতে প্রচুর পরিমাণে পানি
পান করার ভূমিকা অপরিসীম। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে দেহের তরল পদার্থ গুলোর
ভারসাম্য বজায় থাকে এবং মল নরম হয়।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি থাকে। যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর পাইলসের সমস্যায় খাবার হজম হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, পাইলস ভালো করতে আমরা সবুজ শাকসবজি যেমন- ব্রকলি, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, টমেটো, গাজর, ফুলকপি, শসা ইত্যাদি সব সবুজ সবজিগুলো খেতে পারি।
বিভিন্ন ধরনের ফলঃ পাইলস ভালো করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারি।
কারণ ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও খনিজ এবং ভিটামিন থাকে যা আমাদের দেহের অন্ত্র
আন্দোলনের সাহায্য করে। এক্ষেত্রে যে সকল ফল খাব- আপেল, কিসমিস, আঙ্গুর, আলু
বোখরা, কলা, পেপে ইত্যাদি তন্তজ জাতীয় ফল খেতে পারি।
ডাল, মটরশুটি ও রাজমারঃ একজন পাইলসের রোগীর জন্য ডাল, মটরশুঁটি ও
রাজমার জাতীয় খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের খাবার পাইলস রোগীদের জন্য খুবই
উপযোগী।
ইসবগুলের ভুসিঃ ইসবগুলির ভুসিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা
আমাদের শরীরের পায়খানা নরম রাখতে সাহায্য করে। তাই পাইলস রোগ ভালো করতে অবশ্যই
ইসুবগুলির ভুসি খেতে হবে। তবে অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে।
রাতে রুটিঃ আমরা যারা বাঙালি তাদের রাতে ভাত না হলে চলে না। কিন্তু যারা
পাইলসের রোগী তাদের রাতে ভাতের বদলে রুটি খেতে হবে। তাহলে পাইলস রোগের
উপশম করা সম্ভব ইত্যাদি।
আপনি যদি পাইলস এর সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো নিয়মিত
সেবন করুন এবং সেই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি পাইলস থেকে
মুক্তি পাবেন। আশা করছি আপনাদেরকে কি খেলে পাইলস ভালো হয় এই সম্পর্কে বোঝাতে
পেরেছি। এখন চলুন পাইলস এর ঔষধের নাম জেনে নেই।
পাইলস এর ঔষধের নাম
অনেকেই আছে যারা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন এবং অনেকেই গুগলে সার্চ করে পাইলস এর ঔষধের নাম জানতে চান। তাই তাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে আমরা এই পোস্টটিতে পাইলস এর ঔষধের নাম গুলো তুলে ধরববো। যেখান থেকে আপনারা পাইলস এর ঔষধের নাম গুলো জানতে পারবেন। এবং ওষুধগুলো ব্যবহার করে পাইলস থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। চলুন তাহলে ঔষধ গুলোর নাম জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ পাছায় ফোড়া হলে করণীয়
পাইলস এর ঔষধ সেবনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই আগে নিশ্চিত করতে হবে যে আসলেই আপনার
পাইলস হয়েছে কিনা। এমন অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো পাইলস এর মত কিন্তু আসলে পাইলস
নয়। এক্ষেত্রে আপনারা উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে দেখতে পান তাহলে
ধরে নিবেন আপনার পাইলস হয়েছে। এক্ষেত্রে পাইলস এর ঔষধ সেবনের পূর্বে আরেকটি
বিষয় খেয়াল করতে হবে যে আপনার পাইলস টি কোন স্টেজে আছে বা কোন পর্যায়ে আছে।
পাইলস চারটি পর্যায়ে হয়ে থাকে। এই পর্যায়ে গুলো নিয়ে আমরা উপরে আলোচনা করেছি।
আপনি চাইলে আবার একটু পরে আসতে পারেন। এখন চলুন পাইলস এর ওষুধের নাম গুলো জেনে
নেই। পাইলস এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, মলম, স্প্রে রয়েছে। যেগুলো হলো-
- Daflon 500mg/ড্যাফলন 500 মিলিগ্রাম
- তরল প্যারাফিন
- লিডোকেইন-হাইড্রোকোর্টিসোন ক্রিম
- লিগনোকেন 2% জেল
- ল্যাকটুলোজ
- ডক্সিসাইক্লিন ট্যাবলেট
- পাইলোস্প্রে (Pilospray)
- পাইলোট্যাব (PiloTab)
- কন্সটিট্যাব (ConstiTab)
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ঔষধ রয়েছে। যেগুলো প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পাইলস
সারাতে খুবই উপযোগী। তবে আপনি পাইলস ঠিক করতে যে ঔষধি সেবন করুন না কেন। সেবন
করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করলে
অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
পাইলস হলে কি মানুষ মারা যায়
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে পাইলস হলে কি মানুষ মারা যায়? উত্তর হলো “না” পাইলস হলে মানুষ মারা যায় না। তবে আপনি যদি পাইলস এর অবহেলা করেন। তাহলে আপনার পাইলস প্রথমে পর্যায়ে থেকে চতুর্থ পর্যায়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার সেখান থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ক্যান্সার হলে বুঝতেই পারছেন কি হতে পারে। তবে সম্ভবতই পাইলস হলে মানুষ মারা যায় না। সঠিক সময়ের মতো এর সঠিক চিকিৎসা করলে পাইলস থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
আর আপনার যদি চতুর্থ পাইলস পর্যায়ে হয়ে থাকে তাহলেও আপনি এর চিকিৎসা করে এটি থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। বর্তমানে পাইলসের দুইভাবে সার্জারি করা হয়। লেজার সার্জারি ও নরমাল সার্জারি। এক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো লেজার সার্জারি। আর আপনার যদি পাইলস চতুর্থ পর্যায়ে যায় তাহলে লেজার সার্জারির মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারবেন। আর যদি অবহেলা করে রেখে দেন তাহলে এটি থেকে ক্যান্সার ও তারপর মৃত্যু হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে কি খেলে পাইলস ভালো হয় ও পাইলস এর ঔষধের
নাম এবং পাইলস সম্পর্কে আরো বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পাইলসের
সমস্যা চিকিৎসকেরা মূলত চারটি পর্যায়ে ভাগ করেছে। তার মধ্যে প্রথম দুইটি
পর্যায়ের পাইলস হলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করে বা মলম বা স্প্রে ব্যবহার
করে পাইলস থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আর যদি আপনার পাইলস তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে
হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে সার্জারি করাতে হবে। এছাড়াও আপনি হোমিওপ্যাথি
চিকিৎসা নিতে পারেন।
আশা করছি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে আর পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
এখন আপনাদের কাছে একটি অনুরোধ হলো পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে বা
পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার করে
তাদেরকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দেবেন। এতে আপনি যেমন একটি রোগ থেকে মুক্তি পাবেন
তেমনি অন্যজন মুক্তি পেতে পারে। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই
সমাপ্ত করছি। ধন্যবাদ।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url