মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় - মেহ রোগের ঔষধের নাম [নতুন তথ্য]
মেহ রোগ খুবই মারা*ত্মক একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত রোগী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যায় ও শক্তিহীন হয়ে পড়ে, শরীরে নানা ধরনের রোগের প্রকাশ পায় এর পাশাপাশি রোগীর চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও এই রোগ হলে আরো নানান সমস্যা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে এই মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় ও মেহ রোগের ঔষধের নাম কি? এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা এই পোস্টটি থেকে জানতে পারবেন। কারণ এই পোস্টটিতে আমরা মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় ও মেহ রোগের ঔষধের নাম সহ এই রোগ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
আপনি কি মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন? মেহ রোগের ঔষুধের নাম জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়, মেহ রোগের ঔষধের নাম, মেহ রোগের লক্ষণ, মেহ রোগ কি ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে।ভূমিকা - মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় - মেহ রোগের ঔষধের নাম [নতুন তথ্য]
বর্তমানে বাংলাদেশসহ আরো অনেক দেশে পুরুষ এবং মহিলা অথবা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই এই রোগে ভুগছেন। মেহ রোগ সাধারণত বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাদের মাঝে বেশি দেখা যায়। এই রোগে যদি কোন পুরুষ অথবা মহিলা আক্রান্ত হয় তাহলে তার শরীর দুর্বল হয়ে যাবে এবং শক্তি হীন হয়ে পড়বে। এছাড়াও রোগীর চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে, মুখ মলিন হয়ে যাবে, চক্ষু কোটারাগত হয়ে যাবে, চোখের নিচে কালো দাগ পড়বে ইত্যাদি সব সমস্যা দেখা দেবে। মেহ রোগ এমন একটি রোগ যেটি শরীরের অন্যান্য রোগের প্রকাশ ঘটায়।
এই রোগটি ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে এবং শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। যার ফলে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়, মেহ রোগের ওষুধের নাম জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাই আজকের পোস্টটিতে আমরা মেহরোগ কি , মেহ রোগের লক্ষণ, মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়, মেহ রোগের ঔষধের নাম এবং মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করছি আপনারা যদি পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে উপকৃতই হবেন। চলুন তাহলে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
মেহ রোগ কি
মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় এবং মেহ রোগের ওষুধের নাম সম্পর্কে জানার আগে আমাদের আগে জানতে হবে মেহ রোগ আসলে কি?
মেহ কে অন্য ভাষায় ধাতু দুর্বলতা রোগও বলা হয়। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও অর্থাৎ অনৈচ্ছিকভাবে যদি বী*র্যপাত হয় তাহলে তাকে মেহ রোগ বা ধাতু দুর্বলতা বলা হয়। এই রোগটি হলে সাধারণত একজন মানুষের স্বপ্ন*দোষ বা কম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বী*র্যপাত হয়ে থাকে। মেহরোগ হলে রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শক্তি হীনতা দেখা দেয়। এছাড়াও শরীরে নানান ধরনের রোগের প্রকাশ পায়।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া হওয়ার উপসর্গ কি
সুতরাং বলা যায়- মেহ রোগ হলো একজন মানুষের অনিচ্ছাকৃত স্রাব ও অত্যাধিক স্বপ্ন*দোষ বা ধাতু ক্ষয়ের একটি অবস্থা। আশা করছি আপনারা মেহ রোগ কি তা বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন মেহ রোগের লক্ষণ এবং মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়, মেহ রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনে নেই।
মেহ রোগের লক্ষণ
আপনার শরীরে মেহ রোগ আছে কিনা এটি শনাক্ত করতে পারবেন যদি আপনি মেহ রোগের লক্ষণ
গুলো জানেন। তাই মেহ রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টের এই প্যারাটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি মেহ রোগের লক্ষণ গুলো জানতে পারবেন এবং আগে
থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। নিচে মেহ রোগের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা
হলো।
- যদি কেউ মেহ রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তার বী*র্য অত্যন্ত তরল হবে।
- মেহ রোগে আক্রান্ত রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং শক্তিহীনতা দেখা দেবে।
- রোগীর চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে, চোখ কোটরাগত হবে, মুখ মলিন হয়ে যাবে, চেহারার লাবণ্যতা কমে যাবে।
- মেহ রোগে আক্রান্ত রোগীর দেহের প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের অভাব দেখা দিবে।
- রোগীর শরীরে নানা ধরনের রোগের প্রকাশ পাবে।
- মানব দেহের যৌ*ন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম পরিমাণে নিঃসৃত হয় যার ফলে মেহ রোগে আক্রান্ত রোগীর যৌ*ন ক্ষমতা কমে যায় এবং তার শরীরের শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
- আক্রান্ত রোগীর মানসিক ও দৈহিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, বুক ধরফর করে, মাথা ঘুরে, মাথায় যন্ত্রণা দেখা দেয় ইত্যাদি সমস্যাগুলো হয়।
- এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সব সময় অস্থির থাকে, ক্ষুদাহীনতার ভাব দেখা দেয়, চোখে অন্ধকার দেখে।
- প্রস্রাবের আগে বা পরে শরীরে এক ধরনের ঝাঁকি অনুভব করা এবং প্রস্রাবের গতিবেগ ধীরে ধীরে হওয়া।
- প্রস্রাব করার সময় থেমে থেমে প্রস্রাব করা এবং প্রস্রাব করা শেষ হওয়ার পরেও মনে হওয়া যে ভিতরে প্রস্রাব রয়ে গেছে।
- মিলনের সময় খুবই সীমিত হয়ে যাওয়া।
- আক্রান্ত রোগীর লি*ঙ্গ উত্তেজিত হওয়ার পর পরই পানির মতো তরল পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া।
- স্মরণশক্তি ধীরে ধীরে লোপ পাওয়া এবং বুদ্ধিবৃত্তি কি কমে যাওয়া।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া অনুভব করা।
- মেহ রোগে আক্রান্ত রোগীর পে*নিস বা জননেদ্রীয় দুর্বল হয়ে যাওয়া।
- প্রস্রাব করার সময় আঠালো জাতীয় কোন ধাতু বের হওয়া ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো ছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ দেখা যেতে পারে। যদি আপনার মাঝে এই লক্ষণ গুলো দেখা যায়। তাহলে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিন। কারণ এই রোগ চিকিৎসা করলে ঠিক হয়ে যায়। আর এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আজেবাজে চিন্তা বাদ দিন। এখন চলুন কি খেলে মেহ রোগ ভালো হবে, মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়, মেহ রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনে নেই।
কি খেলে মেহ রোগ ভালো হবে?
আমাদের মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করে যে কি খেলে মেহ রোগ ভালো হবে। মেহ রোগ ভালো করার সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হলো এক কাপ কাঁচা হলুদের রস, আতপ চাল ধোয়া পানি এবং সাথে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে যদি মেহ রোগে আক্রান্ত রোগী দৈনিক তিনবার সেবন করে। তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার মেহ রোগ ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং জিংক যুক্ত খাবার গুলো খেতে পারেন। এছাড়াও এই খাবারগুলোর পাশাপাশি আখরোট, কাঁচা বাদাম, চিনা বাদাম এই খাবারগুলো খেতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় এবং মেহ রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনে নেই।
মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়
মেহ রোগ কি? মেহ রোগের লক্ষণ এই বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি। এছাড়াও এই রোগটি সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা অনেক তথ্য জেনেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় কি? উত্তর, মেহরোগ থেকে মুক্তির অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
মেহরোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রথমত যে বিষয়টি অনুসরণ করতে হবে সেটি হলো লাইফ স্টাইল। আপনি যদি আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এখন লাইফ স্টাইল এর মধ্যে কোন বিষয়গুলো পরিবর্তন করবেন। তা জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ উরুর ভিতরে ফোড়া হলে চিকিৎসা
- হস্ত*মৈথুন কমিয়ে ফেলতে হবে বা বন্ধ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বন্ধ করে দেওয়াই ভালো হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- অ*শ্লীল ভিডিও বা প*র্নোগ্রাফি দেখা এড়িয়ে চলতে হবে।
- আপনার যদি কোন শখের কাজ থাকে তাহলে সেই দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
- বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে হবে এবং বন্ধু না থাকলে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে হবে।
- ঘুমানোর আগে কোন ধরনের অ*শ্লীল ভিডিও দেখা যাবে না।
- ঢিলাঢালা পোশাক পড়তে হবে।
- খারাপ চিন্তা ভাবনা বাদ দিতে হবে এবং প্রয়োজনে মেডিটেড করতে হবে।
- প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৮ ঘন্টা ঘুমাতে বা বিশ্রাম নিতে হবে।
- নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
- অ্যাল*কোহল বা স্মোকিং এর অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে।
- সব সময় নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে ইত্যাদি।
আপনি যদি মেহরোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত কাজগুলো ফলো করবেন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এখন চলুন মেহ রোগের ঔষধের নাম এবং মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেই।
মেহ রোগের ঔষধের নাম
বর্তমান সময়ে আমাদের মাঝে অনেকেই মেহ রোগের সমস্যায় ভুগছেন। যারা এই রোগের সমস্যায় ভুগছেন তারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে মেহ রোগের ওষুধের নাম গুলো সম্পর্কে। এক্ষেত্রে আমরা এই পোস্টটিতে কিছু মেহ রোগের ঔষধের নাম তুলে ধরবো এবং মেহ রোগের কোন লক্ষণগুলো দেখা দিলে কোন ওষুধ খেতে হবে এই সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। চলুন তাহলে মেহ রোগের ওষুধের নাম গুলো জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ
১। Acid phos মেডিসিনঃ দীর্ঘদিন যাবত হস্ত*মৈথুন করে বা, দীর্ঘদিন যাবত স্বপ্ন*দোষ হওয়ার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং ধাতু ক্ষয় হওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এই লক্ষণ দেখা দিলে আপনারা Acid phos মেডিসিনটি খেতে পারেন। এক্ষেত্রে Acid phos Q মেডিসিনটি দিনে দুইবার করে ১৫ দিন সেবন করতে হবে। এবং পরবর্তীতে Acid pho 30 বা 200 মেডিসিনটি দিনে একবার করে ১৫ দিন সেবন করবেন।
২। Selenium মেডিসিনঃ ধাতু পাতলা, ঘন ঘন স্বপ্ন*দোষ হওয়া, মাথাব্যথা, মাথার চুল উঠে যাওয়া, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া এই লক্ষণ গুলো যদি দেখা দেয় তাহলে আপনারা Selenium এই মেডিসিনটি সেবন করতে পারেন। এক্ষেত্রে Selenium 30 মেডিসিনটি দিনে দুইবার করে ১৫ দিন সেবন করতে হবে। এবং পরবর্তীতে Selenium 200 মেডিসিনটি দিনে একবার করে ১৫ দিন সেবন করতে হবে।
৩। Acid Acitic মেডিসিনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য, কোথ দেওয়ার সময় ধাতু বের হওয়া, পায়খানা করতে সময় লাগা, এক থেকে তিন দিন পর পর পায়খানা হওয়া এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনারা Acid Acitic মেডিসিনটি সেবন করতে পারেন। এক্ষেত্রে Acid Acitic 30 মেডিসিনটি দিনে একবার করে ১৫ দিন সেবন করতে হবে এবং পরবর্তীতে Acid Acitic 200 মেডিসিনটি দুইদিন পর পর একবার করে ১৫ দিন সেবন করতে হবে।
৪। Lycopodium clavatum মেডিসিনঃ উপরে উল্লেখিত মেডিসিন গুলো ছাড়াও আপনারা মেহ রোগ থেকে মুক্তির জন্য এই Lycopodium clavatum মেডিসিনটি সেবন করতে পারেন। মেহরোগ দূর করতে এই মেডিসিনটিউ অনেক কার্যকারী। এছাড়াও আপনারা হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করছি আপনারা মেহ রোগের ঔষধের নাম এবং ঔষধ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এখন চলুন মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।
বিঃদ্রঃ মেহ রোগের জন্য যেকোনো ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
যেকোনো ধরনের রোগের জন্য সেই আদিমকাল থেকে প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবহার হয়ে আসে। আর এই চিকিৎসা গুলোর কার্যকারিতা অনেক বেশি। তেমনি মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা রয়েছে। যেগুলো আপনি যদি অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই এই মেহ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন তাহলে মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলো জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ তলপেটে গ্যাস হওয়ার কারণ কি কি
পাথরকুচি পাতার রস
শরীর থেকে মেহ রোগ দূর করতে প্রতিদিন সকাল বিকাল এক চামচ করে পাথরকুচি পাতার রস
সেবন করুন। তাহলে ভালো উপকার পাবেন। আর এভাবে একটানা সাত দিন খাওয়ার পর আপনি
নিজেই এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
রাম তুলসীর শুকনা মঞ্জুরী
শরীর থেকে মেহ রোগ দূর করতে আপনারা রাম তুলসীর শুকনা মঞ্জুরী ভিজানো পানি খেতে পারেন। এক্ষেত্রে রাম তুলসীর শুকনা মঞ্জুরী ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং পরের দিন সকালে ওই পানিতে চিনি মিশিয়ে সেবন করবেন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি মেহ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যাবে।
জামের ফুল
শরীর থেকে মেহ রোগ দূর করতে জামের ফুল খেতে পারে। এক্ষেত্রে এই ফুল খাওয়ার নিয়ম
হলোঃ প্রথমে ২৪ গ্রাম জামের ফুল সংগ্রহ করবেন তারপর সে ফুলগুলো ২৫০
মিলিমিটার পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই ফুলগুলো তুলে পাটায় পিষে
নিন। এরপর পাতলা কাপড় দিয়ে পিষে নেওয়া অংশটুকু ছেকে নিন। এরপর সেই থেকে নেওয়া
অংশটিতে দ্বিগুণ পরিমাণ মিছরি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে বোতলে ভরে রাখুন। এরপর
সেই শরবত সকাল বিকাল তিন চামচ করে সেবন করুন। এভাবে টানা দুই সপ্তাহ সেবন করার
পরে আপনি নিজেই এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
দূর্বার শিকড়
পুরাতন মেহ রোগ দূর করতে দূর্বার শিকড় খেতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে কিছু দূর্বার শিকড় সংগ্রহ করবেন। তারপর সেই শিকড়গুলো পিষে তার থেকে রস বের করে নিবেন। এরপর সেই রসের সাথে ছানা মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করবেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
পিঁয়াজ ও উষ্ণ গরম দুধ
মেহ রোগ দূর করার জন্য আপনারা পেঁয়াজ ও উষ্ণ গরম দুধ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি
পেঁয়াজ কেটে ফালি ফালি করে নেবেন। এরপর সেই পেঁয়াজের অংশটির সাথে লবণ মিশিয়ে
খেয়ে নেবেন।এর কিছুক্ষণ পর একগ্লাস উষ্ণ গরম দুধ খাবেন। এভাবে যদি একটানা এক মাস
সেবন করেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো ফলাফল পাবেন। আর এই খাবারটি অবশ্যই রাতে
ঘুমানোর আগে খাবেন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ পাছায় ফোড়া হলে করণীয়
আশা করছি আপনারা মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই প্রাকৃতিক
পদ্ধতিগুলো ফলো করতে পারেন। আর এই পদ্ধতিতে ভালো ফলাফল পাবেন।
উপসংহার - মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায় - মেহ রোগের ঔষধের নাম [নতুন তথ্য]
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে মেহ রোগ কি, এই রোগের লক্ষণ, মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়, মেহ রোগের ঔষধের নাম এবং মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। দেখুন মানুষের শরীরের রোগ থাকবে এটি স্বাভাবিক তবে সেই রোগের চিকিৎসাও রয়েছে।
তাই যে কোন রোগ হলে ঘাবড়ে না যে সঠিক চিকিৎসা করাবেন। কথায় আছে না “সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করার জীবনে সুস্থ থাকুন”। আশা করছি আপনাদেরকে বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি। আর একটি অনুরোধ এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দেবেন। ধন্যবাদ।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url