ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট - ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
মানবদেহে ফোড়া সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জনিত ভাইরাসের কারণে হয়। নরমালি ফোড়া আপনা আপনি সেরে যায়। কিন্তু অনেক সময় এই ফোড়া না পেঁকে শক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হতে পারে বড় কোনো সমস্যা। তাই এই পোস্টটিতে আমরা ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এবং ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন তাহলে ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এবং ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নেই।
ভূমিকা - ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট
ফোড়া কি? ফোড়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জনিত ভাইরাসের কারণে হয়। মানবদেহে বিভিন্ন জায়গায় ফোড়া হতে পারে। যেমন- বগলে, মাথার ত্বকে, যকৃতে, পাকস্থলীতে, টনসিলের, ঘাড়ে, কুঁচকিতে, উরুতে, যো*নিপথের বাইরে, গো*পনা*ঙ্গে ইত্যাদি জায়গায় হতে পারে। আর এটি এমন একটি জিনিস যেটি সবসময় মানব দেহের বেজায়গায় হয়। তবে ফোড়া যেখানেই হোক এটি ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে পেঁকে আপনা আপনি সেরে যায়।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া শক্ত হলে করণীয়
কিন্তু সমস্যা হয় তখন যখন এটি পেঁকে ফেটে ভেতর থেকে পূঁজ বের হয়ে না যায়। এক্ষেত্রে হতে পারে বড় কোন সমস্যা। তাই এই পোস্টটিতে আমরা ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট, ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়, ফোড়া হওয়ার উপসর্গ কি, ফোড়া ও ব্রণের মধ্যে পার্থক্য কি ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা এই পোস্টটি পড়ার পরে অবশ্যই উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এবং ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
ফোড়া হওয়ার উপসর্গ কি
ফোড়া একটি অঙ্গ বা টিস্যুর মধ্যে জমে থাকা বা তৈরি হওয়া পুঁ*জের গঠন। একটি
ফোড়া সূক্ষ্ম জীব, তরল পদার্থ, মৃত কোষ এবং অন্যান্য সব পচা জিনিসে ভরা থাকে।
একটি ফোড়া মানুষের শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে। তবে এই ফোড়া হওয়ার কিছু
উপসর্গ রয়েছে। আর এই উপসর্গ বা লক্ষণ গুলো দেখলেই আপনি বুঝবেন যে আপনার ফোড়া
হয়েছে। এখন ফোড়া হওয়ার উপসর্গ গুলো কি চলুন দেখে নেই। এবং পরবর্তী প্যারাগুলো
পড়ে ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট ও ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নেই।
ফোড়া হওয়ার উপসর্গ বা লক্ষণ
- একটি ফোড়া লালচে ভাবের মত হয়ে সৃষ্টি হবে, সেখানে ব্যথা হবে, ওই অংশটুকু ফুলে যাবে এবং তার ভিতরে অংশ হলদেটে তরল পদার্থে ভরে যাবে।
- ফোড়া যদি শরীরের ভিতরের কোন অঙ্গ যেমন পাকস্থলী, কিডনি, কানের ভিতর ইত্যাদি জায়গা গুলোতে হয় তাহলে জ্বর হবে এবং ওই জায়গাটিতে ব্যথা অনুভব হবে।
- ফোড়া যদি শরীরের ফুসফুসের মধ্য হয় তাহলে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হবে, সব সময় ক্লান্তি অনুভব হবে এবং কাশির সমস্যা হবে। আর এটি সঠিক সময় চিকিৎসা না করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে।
- আবার ফোড়া যদি টনসিলে হয় তাহলে কথা বলতে কষ্ট হবে এবং গলায় ব্যথা অনুভব হবে।
- ফোড়া দেখতে গাড়ির চাকার মতো হবে।
- ত্বকের কার্যকারিতা হ্রাস ও সর্দি হতে পারে ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ উরুর ভিতরে ফোড়া হলে চিকিৎসা
এছাড়াও আরো অনেক উপসর্গ রয়েছে যেগুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে আপনার ফোড়া
হয়েছে। এখন চলুন ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এবং ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো
সম্পর্কে জেনে নেই।
ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট
আপনারা অনেকেই ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট কোনগুলো এই সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে
সার্চ করে থাকেন। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এবং
ট্যাবলেট গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেব। তাই মনোযোগ সহকারে এই
অংশটুকু পড়তে থাকুন।
ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট
- SEFRIL 250 এমজি or Cephran 500 এমজিঃ এই ট্যাবলেট দুটি ফোড়া পাকানোর জন্য খুবই উপযোগী। এক্ষেত্রে আপনাদের মাঝে যাদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর তারা ফোড়া পাকানোর জন্য SEFRIL 250 এমজি ট্যাবলেটটি খাবেন। প্রতিদিন ১ টি করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খেতে হবে, এভাবে ৭ থেকে ১৪ দিন খাবেন। আর যাদের বয়স ১৫ বছর এর উপরে তারা Cephran 500 এমজি ট্যাবলেটটি খাবেন। এক্ষেত্রেও খাওয়ার আগেরটার মতোই নিয়ম।
- Doxin 100 এমজিঃ ফোড়া পাকানোর জন্য এই ট্যাবলেটটি দামে কম কিন্তু উপযোগী। এই ট্যাবলেটটি আপনাদের যাদের বয়স ৫ থেকে ১৫ বছর তারা Doxin 50 এমজি দিনে ২ বার করে ৭ থেকে ১৪ দিন খাবেন। এবং যাদের বয়স ১৫ বছরের উপরে তারা Doxin 100 এমজি দিনে ২ বার করে ৭ থেকে ১৪ দিন খাবেন।
- Flucloxacillin 500 এমজিঃ এই ট্যাবলেটটি আপনারা বাজারে ২৫০ এমজি এবং ৫০০ এমজি দুইটাই পেয়ে যাবেন। ফোড়া পাকানোর জন্য এই ট্যাবলেটটিউ ভালো কাজ করে। এ ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৭ থেকে ১৪ বছর তারা দিনে ৪ বার Flucloxacillin 250 এমজি ট্যাবলেটটি ১ টি করে ৭ থেকে ১৪ দিন খাবেন। আর যাদের বয়স ১৫ বছরের উপরে তারা Flucloxacillin 500 এমজি ট্যাবলেটটি আগেরটির নিয়মে খাবেন।
- Levofloxacin 500 এমজিঃ আপনাদের যাদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর তারা Levofloxacin 250 এমজি ট্যাবলেটটি প্রতিদিন ১ টি করে খাবার পর ৭ থেকে ১৪ দিন খাবেন। আর যাদের বয়স ১৫ বছরের উপরে তারা Levofloxacin 250 এমজি ট্যাবলেটটি আগেরটির মতোই নিয়মে খাবেন।
- Cefixime-3 200 এমজিঃ এই ট্যাবলেটটি স্কয়ার কোম্পানির একটি ওষুধ। যার ফলে এই ট্যাবলেটটির দাম একটু বেশি। আপনাদের যাদের বয়স ১০ থেকে ১৮ বছর তারা প্রতিদিন ১ টি করে Cefixime-3 200 এমজি ট্যাবলেট ৭ দিন খাবেন। আর যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে তারা Cefixime-3 400 এমজি ট্যাবলেট প্রতিদিন ১ টি করে ৭ দিন খাবেন।
আরো পড়ুনঃ পাছায় ফোড়া হলে করণীয়
এছাড়াও বাজারে আপনারা ফোড়া পাকানোর জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট পাবেন। তবে তার মধ্য সেরা ৫ টি ট্যাবলেট তুলে ধরা হয়েছে। এই ৫ টি ট্যাবলেট এর মধ্যে ১ টি ট্যাবলেট বাদে বাকি ৪ টি ট্যাবলেট আপনারা কম দামে পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে এই Cefixime-3 200 ট্যাবলেটটির দাম একটু বেশি। এজন্য এই ট্যাবলেটটি সচরাচর কম ব্যবহার করা হয়। তবে বাকি চারটি ট্যাবলেট কম দামি হলেও ফোড়া পাকানোর জন্য খুবই কার্যকারী। আশা করছি আপনারা ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন চলুন ফোড়া ও ব্রণের মধ্যে পার্থক্য কি এবং ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
ফোড়া ও ব্রণের মধ্যে পার্থক্য কি
স্বাভাবিকভাবেই একটি ফোড়া এবং একটি ব্রণ একই দেখা যায়। তবে এর মধ্যেও কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেগুলো আমরা এই পোস্টটিতে তুলে ধরবো। ফোড়া এবং ব্রণ একটা সময় মানব দেহে হবে এটি স্বাভাবিক ঘটনা। আমাদের মাঝে অনেকেই ফোড়া এবং ব্রণ কে একই মনে করে বা চিনতে ভুল করে। তাই এই পোস্টটিতে আমরা ফোড়া এবং ব্রণের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরবো। চলুন তাহলে পার্থক্যগুলো দেখে নেই।
- ফোড়া একটি টিস্যু বা অঙ্গের মধ্য জমে থাকা পুঁ*জের গঠন যেখানে বিভিন্ন ধরনের তরল পদার্থ, মৃত কোষ এবং পচা জিনিসে ভরা থাকে। আর ব্রণ হলো যখন ত্বকে মরা কোষ জমা হয়ে সেখানকার ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করে দেয় এবং লাল হয়ে ফুলে ওঠে তখন তাকে ব্রণ বলে।
- ফোড়া লালচে রংয়ের হয় এবং গাড়ির চাকার মত ছড়ে পড়ে কিন্তু ব্রণ লালচে রঙের হলেও গাড়ির চাকার মত ছড়ে পড়ে না।
- যদিও ফোড়া এবং ব্রণ হলে অনেক ব্যথা করে। তারপরও ফোড়া হলে ব্যথাটা একটু বেশি করে।
- ফোড়া শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে এমনকি শরীরের ভিতরেও হতে পারে কিন্তু ব্রণ শুধু মুখে দেখা যায় ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ বিষ ফোড়া হলে কি করণীয়
এছাড়াও আরো অনেক ফোড়া এবং ব্রণের মধ্যে ধরনের পার্থক্য রয়েছে। যেগুলো আপনারা
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। তবে ফোড়া অথবা ব্রণ যেটাই হোক না কেন অবশ্যই
চিকিৎসা নেবেন। নয়তো অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। এখন
চলুন ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নেই।
ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
নানান কারণে যখন মানবদেহের রক্ত দূষিত হয়ে যায়। তখন দেখা দেয় ফোড়া। এছাড়া
আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু ফোড়াটাই বেশি দেখা যায়। এর রয়েছে নানান
চিকিৎসা। অনেকে সার্জারিও করে। কিন্তু আপনি খুব সহজেই ফোড়া পাকাতে চান তাহলে
ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া
উপায়গুলো সেই আদি যুগ থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর এই উপায়গুলো খুবই কার্যকারী।
ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে যেগুলো রয়েছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
লাল জবা পাতার ব্যবহার
প্রথমে লাল জবা গাছের একটি পাতা সংগ্রহ করবেন। তারপর সেই পাতাটির মাঝখানে একটু
ফুটো করে নেবেন। এরপর সেই পাতাটি ফোড়ার মুখের উপর ভালোভাবে বসিয়ে দেবেন।
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন পাতার ফুটো বরাবর যেন ফোড়ার মুখটি থাকে। এরপর হালকা করে
একটি কাপড় অথবা রশি দিয়ে বেঁধে দেবেন। বেঁধে দিলে আস্তে আস্তে ফোড়াটি নরম হয়ে
যাবে এরপর কিছু জবার পাতা নিয়ে সেটি বেটে ফোড়ার মুখে লাগিয়ে দেবেন। তাহলে অল্প
সময়ের মধ্যেই ফোড়াটি পেকে যাবে এবং ফেটে ভেতর থেকে পুঁ*জ বেরিয়ে যাবে।
কাটা নন্টেশাক গাছের শিকড়
প্রথমে কাটা নন্টেশাক গাছের শিকড় সংগ্রহ করবেন। এটি সাধারণত আপনারা গ্রাম
অঞ্চলের দিকে পাবেন শহরের দিকে পাবেন না। এরপর এই শিকরটির সাথে পরিমাণ মতো গরুর
দুধ এবং পানি নিয়ে পাটাই বেটে নেবেন। তারপর সেই বাটা মিশ্রনটি ফোড়ার উপর
ভালোভাবে লাগিয়ে দেবেন। তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ফোড়াটি পেকে ফেটে ভিতর
থেকে পুঁ*জ বেরিয়ে যাবে।
আকন্দ গাছের আঠার ব্যবহার
এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয় তখন যখন একটি ফোড়া পেঁকে যায় কিন্তু ফেটে যায় না। এক্ষেত্রে আপনারা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আকন্দ গাছ সংগ্রহ করবেন, তারপর সেখান থেকে আঠা বের করে নিবেন। এরপর সেই আঠাটুকু ফোড়ার মুখের উপর লাগিয়ে দেবেন। তাহলে দেখবেন খুব কম সময়ের মধ্যেই ফোড়াটা ফেটে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া থেকে কি ক্যান্সার হয়
এরপর কিছু পরিমাণে নিমপাতা নেবেন এবং সেই নিম পাতাগুলো সরিষার তেলে গরম করে একটি মিশ্রণ তৈরি করবেন। তারপর সেই মিশ্রণটি ঠান্ডা করে ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিবেন। তাহলে সেই ফাটা ফোড়াটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
গাঁদা পাতার ব্যবহার
যখন দেখবেন কোনভাবেই আপনার ফোড়া পেকে যাচ্ছে না। তখন এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে কিছু গাঁদা পাতা সংগ্রহ করবেন। তারপর সেই পাতাগুলো ভালোভাবে
বেটে নেবেন এবং হালকা গরম করে নিবেন। এরপর সেই মিশ্রণটি ফোড়ার উপর ভালোভাবে
লাগিয়ে দিন। তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার ফোড়াটি পেকে যাবে।
নিমুকা লতা গাছের পাতার ব্যবহার
নিমুকা লতা গাছের পাতা ফোড়া পাকানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকারী। প্রথমে কিছু
নিমুকা লতা গাছের পাতা সংগ্রহ করবেন। এরপর সেই পাতাগুলো ভালোভাবে বেটে একটি
মিশ্রণ তৈরি করে নেবেন। এরপর সেই মিশ্রণটি ফোড়ার উপর ভালোভাবে লাগিয়ে দেবেন।
তাহলে দেখবেন তিন থেকে চার দিনের মধ্যে আপনার ফোড়া পেকে যাবে। এবং ফেটে ভিতর
থেকে পুঁ*জ বের হয়ে যাবে।
ভ্যাল্লা গাছের ছালের ব্যবহার
ভ্যাল্লা গাছের ছাল ফোড়া পাকানো এবং সেই ফাটানোর জন্য খুবই কার্যকারী। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ভ্যাল্লা গাছের ছাল সংগ্রহ করবেন। এই গাছটি আপনারা গ্রামাঞ্চলের দিকে পাবেন। এরপর সেই ছাল গুলো ভালোভাবে পাটায় বেটে নেবেন। তারপর সেই মিশ্রণটি ফোড়ার মুখে লাগিয়ে দিবেন। তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়ার জন্য দিনে দুবার লাগাবেন। তাহলে তিন চার দিনের মধ্যেই ফলাফল পাবেন।
তিলের তেল ও নিশিন্দা পাতার রস
দ্রুত ফোড়া পাকানোর জন্য তিলের তেল ও নিশিন্দা পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথমে কিছু তিলের তেল সংগ্রহ করবেন এবং নিশিন্দা পাতা বেটে তার রস বের করে
নেবেন। এরপর তিলের তেল এবং নিশিন্দা পাতার রস ভালোভাবে মিশিয়ে নেবেন। এরপর সেই
মিশ্রণটি ফোড়ার উপর ভালোভাবে লাগিয়ে দেবেন। শুধু ফোড়ার মুখে নয় ফোড়ার
চারপাশেও ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন। এতে আপনার ব্যথাও কমে যাবে এবং খুব তাড়াতাড়ি
ফোড়া পেকে যাবে।
পানের পাতার ব্যবহার
পানির পাতা ফোড়া পাকানো এবং সারিয়ে তোলার জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এজন্য
প্রথমে একটি পানের পাতা সংগ্রহ করবেন। এরপর সেই পাতাটির উল্টো পিঠে পরিমাণ মতো ঘি
মাখিয়ে (অবশ্যই খাটিঁ ঘি) ফোড়ার উপর বসিয়ে দেবেন। তাহলে খুব অল্প সময়ের
মধ্যেই ফোড়াটি পেকে এবং ফেটে যাবে।
হলুদের গুড়োর ব্যবহার
হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফ্লিমটারি রয়েছে। যা ফোড়া পাকিয়ে তুলতে এবং সারিয়ে তুলতে খুবই উপযোগী। এটি ব্যবহারে আপনারা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ফোড়া থেকে মুক্তি পাবেন।
আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এক চামচ
পরিমাণ হলুদ সংগ্রহ করবেন এরপর এর সাথে পরিমাণ মত দুধ মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি
করে নেবেন। এরপর ফোড়ার উপর ভালোভাবে লাগিয়ে দেবেন। ভালো ফলাফল পেতে এভাবে
প্রতিদিন অন্ত তিনবার লাগাবেন।
অর্জুন গাছের পাতার ব্যবহার
ফোড়া পাকানোর জন্য অর্জুন গাছের পাতা সেই আদিমকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি
খুবই কার্যকারী একটি উপাদান। এটি ব্যবহারে খুব দ্রুত ফোড়া পাকে এবং ফেটে যায়।
এটি ব্যবহারের তেমন কোন নিয়ম নেই শুধু একটি পাতা সংগ্রহ করে সেই পাতা দিয়ে
ফোড়া ঢেকে রাখলে ফোড়া পেঁকে ও ফেটে যাবে। এরপর এই পাতার রস ক্ষতস্থানে লাগালে
খুব দ্রুত সেই ক্ষত শুকিয়ে যাবে ইত্যাদি।
আশা করছি আপনারা এতক্ষণে ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। আপনি যদি দ্রুত ফোড়া পাকাতে চান তাহলে অবশ্যই এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার
করতে পারেন।
উপসংহার - ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট - ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
এতক্ষণ আপনাদের সাথে ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এবং ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সহ ফোড়া সম্পর্কে আরো নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমার অভিজ্ঞতা থেকে একটি পরামর্শ দিচ্ছি। ফোড়া হলে সেটি পাকানোর জন্য ট্যাবলেট না খেয়ে অবশ্যই ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করুন।
আরো পড়ুনঃ কিডনি বিক্রি হাসপাতাল বাংলাদেশ
আমি নিজেও ঘরোয়া উপায় গুলো
এপ্লাই করে উপকৃত হয়েছি। আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। কারণ ফোড়া
খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যা*ধি। তাই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। ভালো থাকবেন
সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url