চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় জেনে নিন
আপনি কি চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত? আপনি না চাইতেই কি আপনার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে? আপনি কি চুল পড়া বন্ধ করতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিন চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়। কারণ এই আর্টিকেলটিতে আমরা চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
ভূমিকা - চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আমরা সাজিয়েছি চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় নিয়ে। কারণ, বর্তমানে মাথার চুল পড়ে যাওয়া আমাদের সকলেরই কমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মাঝে অনেকেরই মাথায় চুল না চাইতেই পড়ে যাচ্ছে। কোনভাবেই চুল পড়া প্রতিরোধ করতে পারছে না। অনেকে আবার চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অনেক ধরনের ওষুধের ব্যবহার করে।
যা থেকে সে উপকার তো পাচ্ছেই না বরং মাথার চুল আরো বেশি পড়ছে। তাই এই পোস্টটিতে আমরা চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। যা থেকে আপনারা চুল পড়া তো বন্ধ করতে পারবেনই সাথে আপনাদের মাথার চুলের পারবেন চুলের ঔজ্জ্বল্য। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় সম্পর্কে।
চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়
মাথার চুল পড়ে যাওয়া এমন একটি সমস্যা যেই সমস্যাই নারী এবং পুরুষ উভয়ই ভোগেন। আর এই সমস্যাটি নিয়ে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই খুবই চিন্তিত রয়েছে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই চুলের সঠিক যত্ন নিলেই আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এবং চুলে ফিরে আসবে ঔজ্জ্বল্য। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় জেনে নিতে হবে। কারণ এই উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন। তাই চলুন চুল পড়া বন্ধ করার জন্য জেনে নেই চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়। যা আমরা এই পোস্টটিকে আলোচনা করেছি।
মেথির ব্যবহার - চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় এর মধ্যে মেথির ব্যবহার অন্যতম। আমরা
অনেকেই জানি মেথি আমাদের পেটের গ্যাস দ্রুত দূর করতে সক্ষম। কিন্তু চুলের যত্নে
মেথির ব্যবহার এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তবে মেথিও চুল পড়া বন্ধ করতে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে মেথি আবার চুল পড়া
বন্ধ করার জন্য কিভাবে ব্যবহার করবো। হ্যাঁ, চুল পড়া বন্ধে মেথি ব্যবহার করতে
পারবেন।
আরো পড়ুনঃ তলপেটে গ্যাস হওয়ার কারণ কি কি
চুল পড়া বন্ধে মেথির ব্যবহার করার নিয়ম হলোঃ প্রথমে পরিমাণ মতো মেথি নিতে হবে তারপর সেই মেথিগুলো রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এভাবে সারা রাত মেথিগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সকালে সেই ভেজানো মেথি গুলো একটি ব্লেন্ডার মেশিন এর সাহায্যে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। আপনারা চাইলে এই পেস্ট সরাসরি তুলে লাগাতে পারেন অথবা এই পেস্টের সাথে পরিমাণ মতো দই ও মধু মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন। চুলে লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এটি ব্যবহারে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহার - চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়
চুল পড়া বন্ধ করতে অ্যালোভেরার ভূমিকা অপরিসীম। আমরা অনেকেই জানি অ্যালোভেরা ত্বকের যত্নে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে এটি চুল পড়া বন্ধ করতেও অনেক উপকারী। অনেক ডাক্তার চুল পড়া বন্ধ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পরামর্শ দেয়। এছাড়াও অ্যালোভেরার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন এটি আমাদের শরীরের হার্ট ভালো রাখে, ত্বক ভালো রাখে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ইত্যাদি সাহায্য করে থাকে।
শুধু যে শরীরের জন্যই অ্যালোভেরা উপকারী তা কিন্তু নয় এটি আমাদের চুল পড়া বন্ধ করতেও বা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও দারুন ভাবে কাজ করে এটি। অ্যালোভেরা আমাদের মাথার চুলের খুশকি দূর করে, চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় গুলোর মধ্যে অ্যালোভেরা কিভাবে ব্যবহার করবেন।
এটি ব্যবহার করার নিয়ম হলোঃ প্রথমে কিছু অ্যালোভেরা নেবেন তারপর সেই অ্যালোভেরার খোসা ছাড়িয়ে তার ভেতর থেকে জেল বের করে নেবেন। তারপর সেই জেল গুলো একটি ব্লেন্ডার মেশিন এর সাহায্যে পেস্ট তৈরি করে নেবেন। তারপর সেটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে লাগিয়ে নেবেন অথবা গোসল করার দু'ঘণ্টা আগে চুলে লাগিয়ে নেবেন। এছাড়াও এই অ্যালোভেরার জেলের সাথে আপনারা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত জেনে নিন
এতে চুলের তেলের ভাব দূর হয়ে যাবে। আর যাদের চুল ভেঙে যায় তারা অ্যালোভেরার সাথে ডিম ও দই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নেবেন। তাহলে দেখবেন আপনার ভেঙে যাওয়া চুল দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার এটি ব্যবহার করুন। তাহলে আপনি নিজেই এর ফলাফল দেখতে পাবেন।
মেহেদি ও সরিষার তেল এর ব্যবহার - চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়
চুল পড়া বন্ধ করতে সেই আদিমকাল থেকেই মেহেদী পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। মেহেদী
পাতাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেমন এসিড, এন্টিফাঙ্গাল, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল,
এন্টি মাইক্রোভিয়াল ইত্যাদি যা চুলকে লম্বা, উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর এবং চুল পড়া
বন্ধ করতে সাহায্য করে। এবং সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন যা
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও সাহায্য করে। এখন এটি কিভাবে
ব্যবহার করবেন বা এটি কিভাবে তৈরি করবেন এই প্রশ্নটি হতেই পারে।
এটি ব্যবহার করার নিয়ম হলোঃ প্রথমে ২৫০ গ্রাম খাঁটি সরিষার তেল সংগ্রহ করবেন। তারপর একটি পাতিল অথবা কড়াই নিয়ে তার ভেতর তেলটুকু ঢেলে নেবেন। এরপর সেই তেলের ভিতরে এক কাপ পরিমাণ মেহেদী পাতা দিয়ে চুলাতে গরম করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত মেহেদি পাতাগুলো ব্রাউন কালার না হয় ততক্ষণ। এক্ষেত্রে মেহেদি পাতাগুলো অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।
এরপর সেই মিশ্রণটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নেবেন। এরপর পরিষ্কার একটি ছাকনা
দিয়ে সেই মিশ্রণটি থেকে তেলটুকু বের করে নেবেন। তারপর সেই তেল সপ্তাহে দুই থেকে
তিনবার চুলে ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল অনেক উজ্জ্বল ও
লম্বা হবে।
পেঁয়াজের রস এর ব্যবহার - চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় গুলোর মধ্য পেঁয়াজের রসের
ব্যবহার অন্যতম। পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া তো বন্ধ হবেই
সাথে মাথায় নতুন চুল গজাবে। অনেক ডাক্তাররা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এবং নতুন
চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ পেঁয়াজের
রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে এবং চুল পড়া
বন্ধ করতে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হতে পারে এটি কিভাবে ব্যবহার করবেন।
আরো পড়ুনঃ অ্যাসপারাগাস কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর
চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার নিয়মঃ প্রথমে একটি
বড় সাইজের পেঁয়াজ নিয়ে সেটি কয়েকটি টুকরো করে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে
ধুয়ে একটি ব্লেন্ডার এর সাহায্যে মিশ্রণ করে নেবেন। তারপর সেই মিশ্রণটি থেকে
পাতলা কাপড় ব্যবহার করে পেঁয়াজের রসটুকু আলাদা করে নেবেন। এরপর সেই রস সরাসরি
মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নেবেন। এক্ষেত্রে এই রস মাথায় লাগানোর সময় আঙ্গুল
দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করবেন তাহলে রসটি আপনার মাথার চুলের গোড়ায় ভালোভাবে
পৌঁছাতে পারবে।
এই রস মাথায় লাগানোর ঘন্টা খানেক পর মাথায় শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে চুলটা ওই
ভাবেই রেখে দেবেন। তারপর চুলগুলো শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুলগুলো পরিষ্কার করে
নেবেন। এভাবে মাসে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার এই পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুন। তাহলে আপনি
আপনার চুলের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।
ডিমের কুসুম ও মধু এর ব্যবহার - চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায়
ডিমের কুসুম ও মধু ব্যবহার করে চুল পড়া বন্ধ করা যে সম্ভব এটি অনেকেই জানেনা।
ডিমের কুসুম ও মধু চুলে ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দূর হবে, চুলের আগা ফেটে যাওয়া
দূর হবে, চুলের গোড়া মজবুত হবে ইত্যাদি আরো অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। এসেছে
ডিমের কুসুম ও মধু এর হেয়ার প্যাকটি কিভাবে তৈরি করবেন জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ গরম পানি খেলে কি কিডনি ভালো থাকে
প্রথমে একটি ডিম সংগ্রহ করবেন। তারপর সেই ডিমটি ভেঙ্গে ডিমের সাদা অংশটি আলাদা
করে কুসুমটি বের করে নেবেন। এরপর সেই কুসুমের সাথে পরিমাণ মতো মধু নিয়ে নেবেন।
এরপর মধু ও ডিমের কুসুমটি ভালোভাবে মিশিয়ে নেবেন। এরপর সেই মিশ্রণটি চুলের
আগা থেকে গোরা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন। এটি চুলে লাগানোর পর ঘন্টাখানেক
রেখে তারপর ভেজষ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এভাবে অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিন
বার এটি ব্যবহার করুন।
অলিভ অয়েল, জিরা ও মধু এর ব্যবহার
চুল পড়া বন্ধ করতে অলিভ অয়েল, জিরা ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এটি
ব্যবহার করার সময় এটি যেভাবে তৈরি করবেন তা হলো। প্রথমে চার ভাগের
একভাগ অলিভ অয়েল লেভেল তারপর তাতে এক চা চামচ জিরা ৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর
একটি ছাকনা দিয়ে সেই অলিভ অয়েলটি থেকে তেল আলাদা করে নেবেন। তারপর সেই তেলে
পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করবেন অথবা ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে
নেবেন। এভাবে আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এভাবে
সপ্তাহে একবার লাগালে আপনার চুল পড়া দ্রুতই বন্ধ হয়ে যাবে।
নারিকেল দুধের ব্যবহার
আমরা অনেকেই চুলের যত্নে নারিকেলের তেল ব্যবহার করি কিন্তু নারিকেলের দুধও যে ব্যবহার করা যায় এটি সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। নারিকেলের দুধ চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং একটি চুল লম্বা করতেও সাহায্য করে। এতে কোন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নেই, সুতরাং এটি আপনারা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।
নারিকেলের দুধ চুলের যত্নে ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাদের দরকার হবে একটি নারকেল ও একটি শাওয়ার ক্যাপ। এরপর নারকেলটি থেকে নারকেল গুলো কুড়িয়ে নেবেন। এরপর পরিষ্কার একটি সুতি কাপড়ের ভিতর কুড়ানো নারকেল গুলো রেখে ভালোভাবে চেপে চেপে নারকেলের দুধ বের করে নেবেন। এরপর সেই দুধটুকু হালকা গরম করে নেবেন।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ফোড়া দূর করার ৫ উপায়
এরপর সেই দুধটুকু ঠান্ডা হলে আপনার মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নেবেন। এরপর একটি শাওয়ার ক্যাপ মাথায় লাগিয়ে রাখ। এভাবে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করুন। তারপর চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল গুলো ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন তাহলে আপনার চুল কেমন সুন্দর হবে তেমন মজবুত হবে এবং চুল পড়াও বন্ধ হয়ে যাবে।
নিমপাতার ব্যবহার
সেই আদিমকাল থেকেই ত্বক ও চুলের যত্নে নিমপাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের মাথার ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এছাড়াও নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক নামক উপাদান যা মাথার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আর আমরা এটা জানি যে মাথার ত্বক ভালো থাকলেই চুল ভালো থাকবে। তাই মাথার ত্বক ভালো রাখা জরুরি। এছাড়া নিমপাতা চুল পড়া বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই আপনারা যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুবই কার্যকারী। এক্ষেত্রে এটি কিভাবে ব্যবহার করবেন এটি নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে। তবে চিন্তা নেই প্রশ্নর সমাধানও আপনাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। চুল পড়া বন্ধ করতে নিমপাতা ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনাকে ১০ থেকে ১২ টি অথবা ১৫ থেকে ২০ টি নিম পাতা সংগ্রহ করবেন। তারপর সেগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন।
আরো পড়ুনঃ স্থায়ীভাবে ত্বক সাদা করার ঘরোয়া উপায়
তারপর সেগুলো পাটায় বেটে রস বের করে নেবেন। এরপর সেই রসের সাথে পরিমাণ মতো নারকেলের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নেবেন। এরপর সেই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নেবেন। লাগানোর পর আধা ঘন্টা অপেক্ষা করবেন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এভাবে অন্তত সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া দ্রুতই বন্ধ হয়ে যাবে। এবং চুলের গোড়া অনেক মজবুত হবে।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে আমরা চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৮ উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনি যদি চুল পড়ার সমস্যায় পড়ে থাকেন বা কোনভাবেই আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে পারছেন না এরকম সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি উপায়ই চুল পড়া বন্ধ করতে অনেক উপযোগী। আশা করছি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর আপনি যদি এইরকম আরো স্বাস্থ্য টিপস পেতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের এই Blogger Mamun ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এবং এই পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url