ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি জানুন বিস্তারিত
একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন তার মাঝে একটি কৌতুহল কাজ করে সেটি হলো তার গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। আর গ্রাম অঞ্চলের অনেক মা, মাসিমা, পিসিমারা নাকি বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখে বলে দিতে পারে গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে। কিন্তু এখন বিষয় হচ্ছে সেই লক্ষণ গুলো কি বা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি? চলুন তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ, কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ভূমিকা - ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
প্রত্যেক নারীর জীবনে প্রেগন্যান্সির বা অন্তঃসত্তার নয় মাস সময় খুবই বিশেষ একটি সময়। এই সময় একজন নারীর শরীরে নতুন একটি প্রাণ তিলে তিলে বেড়ে ওঠে। আর এই সময় একজন নারীর যে অনুভূতি হয় সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন তার মধ্যে নানান ধরনের কৌতূহল কাজ করে। আর এই সময় আশেপাশে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় সেটি হলো গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। আর বর্তমানে ১০০% এর ৭০% ই বাবা-মা চাই যেন তার প্রথম সন্তান ছেলে হয়।
আরো পড়ুনঃ নোরিক্স ট্যাবলেট খেলে কি হয়
আর এই নিয়ে গ্রামের অনেক মা মাসিমারা নাকি গর্ভবতী মায়ের কিছু লক্ষণ দেখেই বলে দিতে পারে যে আপনার ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। এখন কথা হচ্ছে মেয়ে বা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি? এই সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলেছে? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন। এছাড়াও এই পোস্টটি থেকে আপনারা আরো জানতে পারবেন, ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে, কন্যা ও ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ, ছেলে সন্তান কত মাসে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাই বিস্তারিত পোস্টটি পড়ুন।
ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ জানার আগে চলুন আগে ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ ইদানিং অনেকেই গুগল বা অন্যান্য ব্রাউজারে ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে এই বিষয়টি লিখে সার্চ করে জানতে চায়। তাই এই পোস্টটির এই প্যারাতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে। এছাড়াও এই পোস্টটি থেকে আপনারা আরো জানতে পারবেন ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ, ছেলে সন্তান কত মাসে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। এখন চলুন ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে তা জেনে নেই।
একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার ৫ মাস চলতে থাকা অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের গর্ভের বাচ্চা বেশ নড়াচড়া করে। তবে এই সময় অনেক গর্ভবতী মাই বুঝতে পারেনা। তবে যখন ৫ মাস শেষ হয় এবং ৬ মাসের শুরুর দিকে গর্বের বাচ্চার নড়াচড়া একজন গর্ভবতী মা বুঝতে পারে। এই সময় গর্ভের বাচ্চা যদি ছেলে হয় তাহলে গর্ভবতী মায়ের পেটের ডান পাশে বেশি নড়াচড়া করবে। অর্থাৎ বলা যাচ্ছে ছেলে সন্তান একজন গর্ভবতী মায়ের পেটের ডান পাশে নড়াচড়া করে।
আরো পড়ুনঃ নোরিক্স পিল মাসে কয়টা খাওয়া যায়
যদিও এই কথাটি বিজ্ঞানের কথা নয় তারপরও এই কথাটি আবার ফেলে দেওয়ার মত না। অতীতে
যারা এই কথা বলেছে তাদের দশজনের মধ্য সাত জনের কথাই ঠিক হয়েছে। তাই ধরে নেওয়া
যায় ছেলে সন্তান পেটের ডান দিকে নড়াচড়া করে। এখন চলুন কন্যা ও ছেলে সন্তান
হওয়ার লক্ষণ সমূহ জেনে নেই এবং সাথে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও জেনে নেব যেটি
আমরা প্রথম প্যারাটিতে উল্লেখ করেছিলাম।
কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ
একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন তার মনে প্রথমেই যে চিন্তাটি আসে সেটি হলো তার গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। যদিও ২০ সপ্তাহ পর আলট্রাসনো গ্রাফের মাধ্যমে জানতে পারা যায়। কিন্তু অনেক দেশে আলট্রাসনো করা নি*ষিদ্ধ রয়েছে। তাই বিভিন্ন লক্ষণের মাধ্যমে জেনে নিতে হয় যে গর্ভের সন্তান কন্যা হবে নাকি ছেলে হবে। আবার অনেকেতো কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কেও জানতে চাই। তাই এই প্যারাটিতে আমরা কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো তুলে ধরবো।
- যদি গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারীর চুলের সৌন্দর্যতা বা উজ্জ্বল্যতা হারিয়ে যায়। বা গর্ভবতী নারীর চুল দিনে দিনে রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। তাহলে ধরে নিতে পারেন এটি কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
- গর্ভাবস্থায় যদি একজন গর্ভবতী নারীর চেহারার সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায়। তাহলে ধরে নিতে পারেন এটি কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
- গর্ভাবস্থায় যদি একজন গর্ভবতী নারীর মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে। তাহলে ধরে নেওয়া যায় এটি কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
- গর্ভাবস্থায় যদি কোন নারীর সকালে বেশি অলসতা দেখা দেয়। তাহলে ধরে নিতে পারে এটি কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ ইত্যাদি।
যদিও উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু এই লক্ষণ
গুলো সেই আদিম কাল থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে। এবং যারা এই লক্ষণগুলো বলেছেন তাদের
দশজনের মধ্যে সাতজনের কথায় ঠিক হয়েছে। তাই লক্ষণগুলো ফেলে দেওয়ার মতোও নয়।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ জেনে নেই।
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
পরিবারে যখন নতুন কোন সদস্য আসার সংবাদ কোন পিতা-মাতা শুনে তখন 100 ভাগের 70
ভাগ পিতা মাতার মনেই আকাঙ্ক্ষা জাগে যে তাদের প্রথম সন্তান যেন ছেলে হয়। যার
কারণে অনেক পিতা মাতা গুগলে সার্চ করে জানতে চাই যে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ
সমূহ সম্পর্কে। তাই এই পোস্টটিতে আমরা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ আপনাদেরকে
জানিয়ে দেবো। যেগুলোর ভিত্তিতে আপনারা খুব সহজেই গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা
শনাক্ত করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মেহরোগ থেকে মুক্তির উপায়
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
বমির প্রবণতা
অনেকে বলে থাকেন যদি কোন অন্তঃসত্ত্বা নারীর মর্নিং সিকনেস অর্থাৎ বমির প্রবণতা বেশি থাকে তাহলে তার মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ মেয়ে হলে শরীরের হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয় যার কারণে এই সময় অন্তঃসত্ত্বা নারী বেশি বমি করে। দ্য ল্যানসেট নামক একটি পত্রিকায় যদিও এটি প্রকাশিত হয়েছিল বটে। কিন্তু পরবর্তীতে এটি নিয়ে আর গবেষণা করা হয়নি। আর যদি এর ঠিক উল্টোটা ঘটে অর্থাৎ মর্নিং সিকনেস বা বমির প্রবণতা কম থাকে তাহলে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
চুলের অবস্থা
বলা হয়ে থাকে গর্ভাবস্থায় যদি কোন গর্ভবতী মায়ের চুল খুব পাতলা, চুলের
সৌন্দর্যহীনতা ও উজ্জ্বল্যহীন হয়ে পড়ে তাহলে এটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান হওয়ার
লক্ষণ। আর যদি এর ঠিক উল্টোটা হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
খাবারের অবস্থা
গর্ভাবস্থায় যদি কোন গর্ভবতী নারী মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ
করে। তাহলে এটি মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ। আর যদি লবণ জাতীয় বা মিষ্টি বাদে
অন্যান্য খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে তাহলে এটি ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
ঘুমের অবস্থা
গর্ভাবস্থায় একজন নারী যদি নিজের অজান্তেই বেশিরভাগ সময় ডান দিক ফিরে ঘুমিয়ে
পড়ে। তাহলে এটি কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ। আর যদি এর উল্টোটি হয় তাহলে বলা
যায় এটি ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
ইউরিনের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের ইউরিনের পরিবর্তন দেখা যায়। এই সময় যদি
গর্ভবতী মায়ের মাঝে মাঝে প্রস্তাবের রং স্বাভাবিক না হয়ে সাদা ঘোলাটে হয়।
তাহলে এটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার লক্ষণ। আর যদি ঠিক এর উল্টোটা হয় তাহলে
পুত্র সন্তান জন্মের লক্ষণ।
বেবি বাম্প দেখে বোঝা
অনেক সময় বেবি বাম্প দেখে ছেলে সন্তান হবে না মেয়ে সন্তান হবে তা বোঝা যায়। এক্ষেত্রে যদি বেবি বাম্প নিচের দিকে ঝোলানো থাকে তাহলে মনে করা হয় এটি ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ। আর যদি এর উল্টোটা হয় তাহলে ধরে নেওয়া হয় এটি কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
আরো পড়ুনঃ মেহ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
মুড সুইং
বলা হয়ে থাকে একজন গর্ভবতী মায়ের যদি মেয়ে সন্তান হয় তাহলে তার ঘন ঘন মুড
সুইং হয় আর কথায় কথায় তার রাগ ও কান্না পেয়ে থাকে। আর আপনার একটা জিনিস
খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন। মেয়েরা জন্ম থেকেই কিন্তু বেশি ঢংঙ্গের হয়। এবার যদি
উল্টোটা হয় তাহলে ধরে নেওয়া হয় ছেলে সন্তান হবে।
পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
গর্ভাবস্থায় যদি একজন গর্ভবতী নারী পায়ের পাতা দিনের অধিকাংশ সময় ঠান্ডা হয়ে
যায়। তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে তা ছেলে সন্তান জন্ম হতে চলেছে।
ওজন বৃদ্ধি
সাধারণত যখন একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভে ছেলে সন্তান হয় তখন তার দৈহিক ওজন বেড়ে
যায় এবং পেট আগের তুলনায় একটু ফোলা দেখায়। প্রসঙ্গত, মেয়ে সন্তান হলে গর্ভবতী
মায়ের সারা শরীরে মেদের হার বৃদ্ধি পায় এবং মুখও ফুলে যায়। আর এটির মাধ্যমে
অনেকাংশে বুঝতে পারা যায় যে গর্ভে ছেলে সন্তান আছে নাকি মেয়ে সন্তান
ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, উপরে উল্লিখিত লক্ষণ গুলোর যদিও কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তারপরও আদিমকালের মানুষের ব্যাখ্যা মতে এই লক্ষণগুলো ফেলে দেওয়ার মতোও না। তবে আমরা এই সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও জানিয়ে দেবো এই পোস্টের শেষের দিকে। তাই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানতে পড়তে থাকুন।
ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়
আমাদের মাঝে অনেকেই জানতে চায় যে ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়। চলুন তাহলে ছেলে
সন্তান কত সপ্তাহে হয় তা জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া নিষ্কাশন হতে কত সময় লাগে
সত্যি কথা বলতে ছেলে অথবা মেয়ে যেই সন্তানই হোক না কেন তা আলাদা আলাদা সপ্তাহে হয় না। একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভে ছেলে সন্তান থাকুক আর মেয়ে সন্তান থাকুক স্বাভাবিকভাবে তার গঠন সম্পন্ন হতে ৩৭ সপ্তাহ সময় লাগে। এরপর নারীদের প্রসব বেদনার উপর ভিত্তি করে ডেলিভারি করা হয়। অর্থাৎ যার যখন প্রসব বেদনা উঠবে তখন ডেলিভারি করা হয়। তবে ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান এর গঠন সম্পন্ন হতে ৩৭ সপ্তাহ সময় লাগে।
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ নিয়ে শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদিও
এই লক্ষণ গুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিজ্ঞান কি বলে এই
সম্পর্কে? বিজ্ঞানের মতে, যখন পুরুষ ও নারীর শুক্রাণুর সাথে
ডিম্বাণু মিলে যায় তখন নারীর গর্ভে শিশু বাবা-মার শরীর থেকে ২৩ টি ক্রোমোজোম
পেয়ে যায় আর এই সময়ই শিশুর লি*ঙ্গ, চুলের রং, চোখের মনি রং ইত্যাদি মতো সব
বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ হয়ে যায়। একজন নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১১সপ্তাহের মাথায়
শিশুর যৌ*নাঙ্গ তৈরি হওয়া শুরু হয়।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া ও ব্রণের মধ্যে পার্থক্য কি
এবং ২০ সপ্তাহ পর আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে তা জানা যায়। যদিও অনেক দেশে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে গর্বের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে তার সনাক্ত করা নি*ষিদ্ধ রয়েছে। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি কিছু জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে তাদেরকে জানার সুযোগ করে দিন। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url