মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় জেনে নিন বিস্তারিত
মোবাইল আমাদের সকলেরই দৈনন্দিন কাজের নিত্য প্রয়োজনীয় সঙ্গী। তাই সব দিক বিবেচনায় আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় এই ডিভাইসটি ভালো হওয়া আবশ্যক। অন্যথায় আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। তাই আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় বা মোবাইল কেনার আগে কি জানা থাকা দরকার এই সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় এই সম্পর্কে।
ভূমিকা - মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয়
বর্তমানে যারা নতুন মোবাইল কিনবে তাদের মনে সব সময় একটি প্রশ্ন ঘুরঘুর করে। সেটি হলো মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয়ে দেখতে হয়, কি কি বিষয় দেখলে আমি ভালো একটি মোবাইল কিনতে পারবো ইত্যাদি। আবার অনেকে এটি মনে করে যে বেশি টাকার মোবাইল ভালো হয় আর কম টাকার মোবাইল খারাপ হয়। আসলে এটি তাদের ভুল ধারণা। মোবাইলের ভালো মন্দ নির্ভর করে মোবাইলে কি ধরনের পার্টস ইউজ করা হয়েছে তার ওপর। এখন যে নতুন মোবাইল কিনবে সে হয়তো চিন্তায় পড়ে যাবেন যে তাহলে কোন পার্টস গুলো দেখবো।
কোন পার্টস গুলো দেখলে আমি একটি ভালো মোবাইল নির্বাচন করতে পারবো। আপনাদের এই
চিন্তা দূর করার জন্যই আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা করবো মোবাইল কেনার আগে কি
কি বিষয় দেখতে হয়, কি কি বিষয় জানা থাকলে আপনি ভালো একটি মোবাইল নির্বাচন করতে
পারবেন এই সম্পর্কে। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয়
দেখতে হয় বা ফোন কেনার আগে যা জানা থাকা দরকার এই সম্পর্কে।
মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয়?
মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় বা কি কি বিষয় জানা থাকা দরকার এটি নির্ভর করে আপনি কি উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোনটি ক্রয় করবেন বা কি কাজের জন্য মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করবেন তার ওপর। এখন আপনি যদি গেম খেলার জন্য একটি মোবাইল ফোন কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই ফোনটির প্রসেসর, রাম, স্টোরেজ, ডিসপ্লে এই চারটি বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে। আবার আপনি যদি শুধু ফটোগ্রাফি করার জন্য মোবাইল ফোন ক্রয় করেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক সিম রিপ্লেস করতে কত টাকা লাগবে
তাহলে আপনাকে সেই ফোনটির ক্যামেরা কেমন, স্টোরেজ কতটুকু আছে, সেই ফোনটিতে সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন সিস্টেম আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর নজর দিতে হবে। আর আপনি যদি সর্বোপরি একটি ভালো মোবাইল কিনতে চান। তাহলে আপনাকে মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হবে বা মোবাইল কেনার আগে কোন বিষয় গুলো জানা থাকতে হবে তা আমরা নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি। তাই মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় এই সম্পর্কে জানার জন্য পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
মোবাইল কেনার আগে প্রসেসর কেমন তা দেখবেন
মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় এর মধ্যে প্রথমে আপনি যে বিষয়টি দেখবেন সেটি হলো মোবাইলের প্রসেসর। কারণ প্রসেসরকে মোবাইলের হার্ট বলা হয়। হার্ট ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না। তেমনি প্রসেসর ছাড়া মোবাইলে চলে না। অনেকে আবার এই প্রসেসরকে মোবাইলের মস্তিষ্কের সাথে তুলনা করেছে। এই প্রসেসর এর মাধ্যমেই একটি মোবাইলের কমান্ড প্রসেসিং হয়। তাই আপনি যখন কোন মোবাইল কিনবেন তখন দেখবেন সেই মোবাইলটিতে কোন পুরাতন প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।
যদি পুরাতন প্রসেসর ব্যবহার করা হয় তাহলে সেই মোবাইলটি না কেনাই ভালো হবে। কারণ
প্রসেসর আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক স্পিড, ক্যামেরার পারফরম্যান্স, গেমিং
পারফরমেন্স, ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ মোবাইলের সামগ্রিক বিষয়ের উপরে প্রভাব
ফেলে। এখন প্রশ্ন হল আপনি মোবাইলের জন্য ভালো প্রসেসর কিভাবে বাছাই করবেন।
ক্ষেত্রে আপনি মোবাইলের জন্য ভালো প্রসেসর বাছাই করতে ৩ টি বিষয় দেখতে হবে।
১। কোর সংখ্যাঃ সাধারণত আপনার মোবাইলের প্রসেসরের কোর সংখ্যা যত বেশি হবে আপনার মোবাইলটি তত দ্রুত কাজ করবে। তাই মোবাইল কেনার সময় দেখবেন আপনার প্রসেসরের কোর কতটুকু আছে। এক্ষেত্রে বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রসেসরের কোর সংখ্যা রয়েছে যেমন ডুয়েল কোর, কোয়াড কোর, অক্টা কোর ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডুয়েল কোর বলতে ২ টি কোরকে বোঝায়, কোয়াড কোর বলতে ৪ টি কোরকে বোঝায় এবং অক্টা কোর বলতে ৮ টি কোরকে বোঝায়।
২। ক্লক স্পিডঃ আপনি যদি গেমিং স্মার্টফোন কেনেন তাহলে আপনাকে নজর দিতে হবে প্রসেসরের ক্লক স্পিডের উপর। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের প্রসেসরের ক্লক স্পিড যত বেশি হবে আপনার ফোনটি তত ভালো গেমিং পারফরমেন্স দেবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করার নিয়ম
৩। ন্যানোমিটার প্রযুক্তিঃ ন্যানোমিটার বলতে মোবাইলের প্রসেসরের ভিতরে থাকা ডাটা ট্রানজিস্টর এর দূরত্বকে বোঝানো হয়। একটি মোবাইলের ভিতরে অনেকগুলো ডাটা ট্রানজিস্টর সেকশন থাকে। যেখানে প্রসেসর এক ট্রানজিস্টর থেকে অন্য ট্রানজিস্টরে ডেটা আদান প্রদান করে। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের প্রসেসরের ট্রানজিস্টরের দূরত্ব যত কম হবে,
তত তাড়াতাড়ি মোবাইলের প্রফেসর ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবে। এবং মোবাইলের শক্তিও অনেক কম খরচ হবে। উদাহরণস্বরূপ- ১১ ন্যানোমিটারের একটি প্রসেসরের চাইতে ৭ ন্যানোমিটারের একটি প্রফেসর দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবে এবং আপনার মোবাইলের ব্যাটারি চার্জও অনেক কম খরচ হবে।
বিঃদ্রঃ আপনি আপনার মোবাইলের প্রসেসর সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত তিনটি বিষয় দেখবেন। এবং কখনোই ডুয়েল কোর বা কোয়াড কোর এর প্রসেসর ক্রয় করবেন না। সবসময় মোবাইলের জন্য অক্টা কোর এর প্রসেসর ক্রয় করার চেষ্টা করবেন।
মোবাইল কেনার আগে র্যাম কতটুকু আছে তা দেখবেন
মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো মোবাইল র্যাম। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা মনে করে, যে মোবাইলের র্যাম যত বেশি সেই মোবাইল তত ভালো পারফরম্যান্স দেবে। আসলে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক ধারণা নয়। কারণ বর্তমান বাজারে অনেক ধরনের র্যাম রয়েছে। যেমন- এলপি ডিডিআর4 (LP- DDR4) এবং এলপি ডিডিআর5 (LP- DDR5) ইত্যাদি।
এখন আপনাদেরকে একটি উদাহরণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিচ্ছি বিষয়টি। ধরুন একটি মোবাইলের র্যাম 8 জিবি এবং সেই মোবাইলের র্যামটির ধরন যদি এলপি ডিডিআর4 (LP- DDR4) হয় তাহলে সে মোবাইল ডাটা স্পিড হবে (3200*8) অর্থাৎ 25600 এমবিপিএস।
আরো পড়ুনঃ হারানো বাংলালিংক সিম তুলতে কত টাকা লাগে
আবার ধরুন অন্য একটি একটি মোবাইলের র্যাম 4 জিবি এবং সেই মোবাইলের র্যামটির ধরন যদি এলপি ডিডিআর5 (LP- DDR5) হয় তাহলে এই মোবাইলটির ডাটা স্পিড হবে (6400*4) অর্থাৎ 25600 এমবিপিএস।
এখন আপনি যদি বিষয়টি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে শুধুমাত্র র্যামের ধরনের কারণে 8 জিবি র্যাম যে স্পিডের ডাটা ট্রান্সফার করবে ঠিক সেই স্পিডেই 4 জিবি র্যাম ডাটা ট্রান্সফার করবে। তাই মোবাইল কেনার সময় শুধুমাত্র মোবাইলের বেশি র্যাম দেখবেন না। র্যামের ধরন দেখে মোবাইল কিনবেন। আর র্যামের ধরন যত নতুন হবে আপনার মোবাইলের ব্যাটারি ব্যাকআপ, পারফরম্যান্স ও মাল্টিটাস্কিং তত ভালো হবে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইল কেনার আগে স্টোরেজ কতটুকু আছে তা দেখবেন
মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় এর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্টোরেজ। আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা মোবাইলের স্টোরেজ বেশি দেখে ফোন ক্রয় করে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মোবাইলের স্টোরেজ বেশি দেখে ফোন ক্রয় করা বোকামি হবে। কারণ মোবাইলের ভিতরে যে স্টোরেজ ডিভাইসটি দেওয়া হয় সেটির অনেক ধরন রয়েছে। যেমন- ইএমএমসি (EMMC) এবং ইউএফএস (UFS) স্টোরেজ ডিভাইস।
- (EMMC) ইএমএমসিঃ এই স্টোরেজ ডিভাইসটি অনেক পুরাতন ধরনের একটি স্টোরেজ ডিভাইস। এই ডিভাইসটি মোবাইলের ক্যামেরা পারফরম্যান্স, গেমিং পারফরম্যান্স ও ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো দিতে পারে না।
- (UFS) ইউএফএসঃ এই স্টোরেজ ডিভাইসটি বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি স্টোরেজ ডিভাইস। এই স্টোরেজ ডিভাইসটি মোবাইলের ক্যামেরা পারফরম্যান্স, গেমিং পারফরম্যান্স ও ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক ভালো দিতে পারে। এছাড়াও এই স্টোরেজ ডিভাইসটিতে মোবাইলের অনেক ফিচার সাপোর্ট করে।
তাই আপনারা মোবাইল কেনার সময় অবশ্যই সেই মোবাইলের স্টোরেজ ধরন দেখে ক্রয়
করবেন।
মোবাইলে কোন ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখবেন
আমরা অনেকে চাই মোবাইলে স্বাচ্ছন্দে ভিডিও দেখতে। এক্ষেত্রে আপনি যদি স্বাচ্ছন্দে
মোবাইলে ভিডিও দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে ভালো হতে হবে। এখন
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি তাহলে মোবাইলের জন্য ডিসপ্লে কিভাবে বাছাই করবেন। ডিসপ্লে
বাছাই করার ক্ষেত্রে আপনি নিচেও লিখিত কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল চার্জ দিলে গরম হয় কেন
- ডিসপ্লে নিটস
- টাস স্যাম্পলিং রেট
- ডিসপ্লে টাইপ
- ডিসপ্লে রেজুলেশন
- রিফ্রেশ রেট
ডিসপ্লে নিটসঃ আমাদের মাঝে যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকে, সূর্যের আলোতে চলাফেরা করে তাদের জন্য মূলত মোবাইলের ডিসপ্লে নিটস আছে এরকম ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইল কেনা দরকার। কারণ যে মোবাইলের ডিসপ্লে নিটস যত বেশি হবে, সেই মোবাইলের ব্রাইটনেস তত বেশি হবে। তাই আপনারা যারা আলোতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তারা মোবাইল কেনার সময় অবশ্যই এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।
টাস স্যাম্পলিং রেটঃ টাচ স্যাম্পলিং রেট বলতে বোঝায় মোবাইলের ডিসপ্লে টাচ করার সাথে সাথে সেই ফোনটি কত দ্রুত কাজ করে এটিকে। তাই আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোনটি স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই টাচ স্যাম্পলিং রেট বেশি এমন ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইল ক্রয় করবেন। তাহলে আপনি মোবাইলটি স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিসপ্লে টাইপঃ বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ডিসপ্লে রয়েছে। যেমন- Amoled, Amoled plus, Amoled super plus, IPS, LCD, গরিলা ইত্যাদি ডিসপ্লে পাওয়া যায়। এই ডিসপ্লেগুলোর মধ্যে Amoled এর সকল ডিসপ্লেগুলোই অনেক ভালো। তাই আপনারা যারা মোবাইল কিনবেন তারা অবশ্যই ডিসপ্লের টাইপ বিবেচনা করে মোবাইল ফোন ক্রয় করবেন।
ডিসপ্লে রেজুলেশনঃ যে মোবাইলের ডিসপ্লের পিপিআই যত বেশি হবে সেই
মোবাইলের ডিসপ্লের কোয়ালিটি বা রেজুলেশন তত ভালো হবে। তাই আপনি যখন নতুন মোবাইল
ফোন কিনবেন তখন অবশ্যই সেই মোবাইলের ডিসপ্লে রেজুলেশন এর পিপিআই রেটটা দেখে ক্রয়
করবেন।
রিফ্রেশ রেটঃ এটি মূলত যারা গেমিং মোবাইল ইউজ করে তাদের জন্য। কারণ
গেম খেলার জন্য মোবাইলের রিফ্রেশ রেট অনেক বেশি হতে হয়। কিন্তু নরমালি এটি
সাধারণ ব্যবহারকারীদের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। আশা করছি আপনারা মোবাইল
কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় তার মধ্যে ডিসপ্লের বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইলে ক্যামেরার কোয়ালিটি কেমন তা জেনে নেবেন
মোবাইলে ক্যামেরার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। এখন আপনি যদি
ভালো ছবি তুলতে চান বা নিজের মোবাইল দিয়ে হাই কোয়ালিটি ছবি তুলতে চান তাহলে
অবশ্যই মোবাইল কেনার আগে আপনি ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন ক্যামেরা আছে এমন মোবাইল
ক্রয় করবেন।
সাধারণত 13 এম্পিয়ার এবং 16 এম্পিয়ার এর ক্যামেরা দিয়েই ভাল কোয়ালিটির ছবি
তোলা যায়। তবে আপনি যদি আরও বেশি ভালো কোয়ালিটির ছবি তুলতে চান। তাহলে অবশ্যই
আপনাকে 48 এম্পিয়ার বা এর বেশি এম্পিয়ার আছে এমন ক্যামেরা যুক্ত মোবাইল ফোন
ক্রয় করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে কত পারসেন্ট চার্জ দেওয়া উচিত?
ক্যামেরার কোয়ালিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ৩ টি বিষয়ের উপর লক্ষ্য
রাখতে হবে। কারণ শুধুমাত্র ক্যামেরার মেগাপিক্সেল বেশি হলেই ছবি ভালো হয় না।
ক্যামেরার কোয়ালিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে ৩ টি বিষয় লক্ষ্য করবেন তা হলো-
- ক্যামেরা হার্ডওয়ার
- ক্যামেরার লেটেস্ট স্টোরেজ টাইপ
- সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন
আশা করছি আপনারা মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় তার মধ্যে ক্যামেরার
বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইলে কোন সাইজের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখবেন
নতুন মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই আপনারা সেই মোবাইলটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি টা লক্ষ্য রাখবেন। কারণ একটি মোবাইল সক্রিয় রাখতে ব্যাটারির ভূমিকা অপরিসীম। একটি ব্যাটারির কতদিন ব্যাকআপ দিবে সেটি নির্ভর করে সেই ব্যাটারির সাইজের উপর। তাই মোবাইল ফোন কেনার সময় আপনারা 4000 MAH থেকে 5000 MAH ব্যাটারি সাইজ আছে এমন মোবাইল ফোন ক্রয় করবেন। তাহলে সেই ফোনটি আপনার কে ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে। আশা করছি আপনারা মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় এর আরেকটি বিষয়ে ব্যাটারির ব্যবহার বুঝতে পেরেছেন।
সফটওয়্যার আপডেট হবে কিনা তা জেনে নিবেন
মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করবেন সেটি হলো সফটওয়্যার আপডেট। কারণ সফটওয়্যার আপডেট একটি মোবাইলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বাজারে অনেক ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা দীর্ঘ সময় ধরে সফটওয়্যার আপডেট দেয়। এক্ষেত্রে আপনাদের এই বিষয়টির উপর নজর দেওয়া উচিত হবে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম জেনে নিন
কারণ একটি মোবাইলে যখন সফটওয়্যার আপডেট দেয়া হয় তখন সেই মোবাইলের সফটওয়্যার
জনিত অনেক সমস্যা অটোমেটিক্যালি সমাধান হয়ে যায়। এছাড়াও সমস্যা সমাধান হওয়ার
পাশাপাশি আরো নতুন ফিচার যুক্ত হয়। তাই মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই সফটওয়্যার
আপডেট আছে কিনা সেই বিষয়টি লক্ষ্য করবেন।
বিক্রয় পরবর্তী সেবা দেবে কিনা তা জেনে নেবেন
নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে বিক্রয় পরবর্তী সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মোবাইল
একটি ইলেকট্রনিক জিনিস। এটি যখন তখন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যে
প্রতিষ্ঠানের বা ব্র্যান্ডের মোবাইল কিনবেন সেটি যদি আপনাকে বিক্রয় পরবর্তী সেবা
না দেয় তাহলে আপনি বিরাট সমস্যায় পড়বেন। তাই মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই দেখবেন
যে আপনি যে মোবাইলটি কিনছেন সেই মোবাইল প্রতিষ্ঠানটি কি আপনাকে বিক্রয় পরবর্তী
সেবার দেবে কিনা। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় বা মোবাইল ফোন কেনার আগে যা জানা দরকার এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয় দেখতে হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। দেখুন মোবাইল আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তাই সেই মোবাইলটি অবশ্যই ভালো হওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ 10000 টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন 2023
আরেকটি ভালো মোবাইল ক্রয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো দেখতে
হবে। তাহলে আপনি একটি ভালো মোবাইল ক্রয় করতে পারবেন। আর একটা কথা এই পোস্টটি যদি
আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে বা আপনি এই পোস্টটি দ্বারা যদি উপকৃত হন তাহলে
অবশ্যই এই পোস্টটি অন্যদের কাছে শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকবেন। ভালো থাকবেন
সুস্থ থাকবেন।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url