কিডনি রোগ কি ভাল হয় কিডনির সমস্যা হলে কি খাবেন জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো সেই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। আলোচ্যবিষয়টি হলো কিডনি রোগ কি ভাল হয়, কিডনির সমস্যা হলে কি খেতে হয় ইত্যাদি। অনেক সময় অনেকেই এই প্রশ্নটি করে যে কিডনি রোগ কি ভাল হয়? তাই এই পোস্টটিতে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ভূমিকা - কিডনি রোগ কি ভাল হয়
কিডনির সমস্যা খুবই মারাত্মক একটা সমস্যা। কারণ কিডনি আমাদের শরীরের মহামূল্যবান দুটি অঙ্গ। বর্তমানে কিডনি রোগের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিডনির সমস্যা অনেক কারণে হতে পারে যেমন প্রস্রাব আটকে রাখা, লবণ বেশি খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান না করা, কোমল পানীয় খাওয়া, শরীরের ডায়াবেটিস থাকলে, ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়া, অতিরিক্ত কায়িক শ্রম, ঘুম কম হওয়া, বেশি বেশি প্রোটিন খাওয়া ইত্যাদি কারণে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
তাই কিডনি ভালো রাখতে অবশ্যই এই কারণগুলো বর্জন করুন। বর্তমানে সময়ে কিডনির
সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে কিডনি রোগ কি ভাল হয় নাকি।
কিডনির সমস্যা হলে কি খেতে হয়, গরম পানি খেলে কিডনি ভালো থাকে কিনা এই বিষয়গুলো
সম্পর্কে জানতে চাই। তাই এই পোস্টটিতে আমরা কিডনি রোগ কি ভালো হয় নাকি, কিডনি
সমস্যা হলে কি খেতে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই
কিডনি রোগ কি ভালো হয় নাকি এই সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কিডনির সমস্যা হলে কি খেতে হয়?
বর্তমানে দিন দিন যেন কিডনির সমস্যা বেড়েই চলছে। এই কিডনির সমস্যা বেড়ে চলার কারণ হিসেবে যেটাকে দায়ী করা যায় সেটি হলো মানুষের জীবন যাপনের পরিবর্তন, খাদ্য ভেজাল। এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনি নষ্ট করার অন্যতম একটি প্রধান কারণ। এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন কারণে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
যাই হোক কারণগুলো আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়। আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা
করবো কিডনির সমস্যা হলে কি খেতে হয় ও কিডনি রোগ কি ভাল হয় নাকি এই
সম্পর্কে। একজন মানুষের শরীরে যখন কিডনির সমস্যা দেখা দেয় তখন তাকে অবশ্যই তার
জীবন যাপন বদলাতে হবে। তাকে খাবার খাওয়ার সময় হিসাব করে খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কিডনির কাজ কি
আপনি কি জানেন যে শরীরে একটি কিডনি ভালো থাকলেই বেঁচে থাকা সম্ভব। কিন্তু যখন
দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে তখন কিন্তু কোন ভাবেই বেঁচে থাকা সম্ভব। তাই কিডনির
সমস্যা নিয়ে সবসময় সচেতন থাকা উচিত। কিডনির সমস্যা হলে মূলত কিডনির সমস্যা দূর
করতে পারে এই রকম উপাদান সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। এখন চলুন কিডনির
সমস্যা হলে কি খেতে হবে তা জেনে নেই।
সবজি
আপনার যদি কিডনির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ শাকসবজি, কিছু পিচ্ছিল জাতীয় গারো রঙের লাল শাকসবজি এড়িয়ে চলতে হবে। কিডনি রোগীদের যে সকল সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এমন কিছু সবজি হলো যেমন আলু, মিষ্টি আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, মুলা, পুঁইশাক, টমেটো এবং যেকোন বিচি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর বিপরীতে আপনাকে চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, লাউ, করলা, সজনা, পেঁপে, হেলেঞ্চা শাক ইত্যাদি শাকসবজি খাবেন। তাহলে খুব সহজেই আপনি কিডনির সমস্যা দূর করতে পারবেন।
ফল
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ভাবে যে কিডনির সমস্যা হলে ফল খাওয়া যাবে না। আসলে
এটি তাদের ভুল ধারণা, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন কিছু ফল রয়েছে যা কিডনির
সমস্যার দূর করতে খুবই উপকারী। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শরীরে রক্তের
পটাশিয়ামের মাত্রা বিবেচনা করে ফল নির্বাচন করে খেতে হবে। এক্ষেত্রে কম
পটাশিয়ামযুক্ত ফল যেমন আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, নাশপাতি ইত্যাদি ফল খেতে
পারেন কিডনির সমস্যা দূর করার জন্য।
প্রোটিন ও আমিষ
আমরা সবাই জানি আমাদের দেহ গঠনের জন্য প্রোটিন ও আমিষ খুবই প্রয়োজনীয় খাবার।
তবে আমাদের মাঝে যারা কিডনি রোগের সমস্যায় আছে তাদের শরীরে যদি প্রোটিন ও আমিষের
মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে কিডনি রোগীদের সমস্যা হতে পারে। আবার আপনি যদি প্রোটিন ও
আমিষের মাত্রা একেবারেই কমিয়ে দেন তাহলে কিন্তু আপনি আবার পুষ্টিহীনতায় ভুগবেন।
তাই আপনার যদি কিডনির সমস্যাও থাকে তারপরও প্রোটিন ও আমিষ জাতীয় খাবার খাবেন তবে
সেটি অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে। প্রোটিন ও আমিষ জাতীয় কিছু খাবার
যেমন মাছ, দুধ, মাংস, ডিম ইত্যাদি।
লবণ
কিডনি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ বা সোডিয়াম খুবই ক্ষতিকর। কারণ এতে
থাকা উপাদানগুলো শরীরের রক্তচাপ, ইডিমা, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা এবং শরীরে পানির
পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তবে লবণ খাওয়া আবার
একেবারে বাদও দেওয়া যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মতো লবণ বা
সোডিয়াম খেতে হবে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত
সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাবার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এরকম কিছু খাবার
যেমন চিপস, চানাচুর, আচার, পাপড় ইত্যাদি যা শুধু কিডনি রোগীদের চিকিৎসার
জন্যই নয় বরং কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সেবন
আপনি যদি কিডনি সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সেবন করুন।
একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন আপনার শরীরের জন্য কতটুক পরিমাণ পানি প্রয়োজন।
সেই অনুযায়ী নিয়মিত পানি সেবন করবেন। কারণ আপনি যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে
পানি পান না করেন তাহলে আপনার শরীরে কিডনির উপর এক্সট্রা প্রেসার পড়ে। যার ফলে
আপনার শরীরের কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা চালিয়ে যেতে পারে না। তাই কিডনি
ভালো রাখতে বা কিডনির সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সেবন
করুন।
অলিভ অয়েল
শুধুমাত্র ত্বকই নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্যও অলিভ অয়েল অনেক উপকারী। সম্প্রতি
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নানাবিধ
স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড যা কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটাতে
প্রচুর ভূমিকা রাখে। আপনারা যারা কিডনির সমস্যায় আছেন বা কিডনি সুস্থতা রাখতে
চান তারা অবশ্যই রান্নায় কিংবা সালাদে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ কি কি? জেনে নিন
এছাড়াও আরো অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো কিডনির সমস্যা দূর করতে সক্ষম। তবে উপরে
উল্লেখিত খাবার গুলো যদি আপনি নিয়মিত আপনার খাবার তালিকায় যোগ করতে পারেন তাহলে
অবশ্যই অনেক উপকারিতা পাবেন। এখন আপনি যদি কিডনি রোগ কি ভালো হয় নাকি এই
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
অ্যাসপারাগাস কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর - কিডনি রোগ কি ভাল হয়
আমাদের অনেকেই জানতে চান বা প্রশ্ন করেন যে অ্যাসপারাগাস কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর কিনা? আসলে দেখুন কোন খাবারই কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। আপনি যে কোন খাবার, হোক সে খাবারটি পুষ্টিগণের ভরপুর কিন্তু আপনি যদি সেই খাবারটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হবেন। তাই কোন খাবারই ভুলে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না।
অ্যাসপারাগাস নামক এই খাবারটির অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এই খাবারটি শরীরের দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা মেটাতে সক্ষম। এই খাবারটি শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে, শরীরের রক্তনালীর অবস্থানের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। এই খাবারটি কিডনির জন্যও খুবই উপকারী। এই খাবারটি কিডনি কে উদ্দীপিত করে থাকে।
এই খাবারটিকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই
উপকারী। তবে কিডনি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় পটাশিয়াম খুবই ক্ষতিকর। তাই
যাদের সমস্যা আছে তারা ভুলেও এই খাবারটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না।
অ্যাসপারাগাস নামক খাবারটি কিডনির জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয় তবে অবশ্যই
অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। আর আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এখন কিডনি
রোগ কি ভাল হয় নাকি এই সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
গরম পানি খেলে কি কিডনি ভালো থাকে - কিডনি রোগ কি ভাল হয়
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে খারাপ প্রশ্ন করেন যে গরম পানি খেলে কি কিডনি ভালো থাকে কিনা? আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। আমরা সবাই জানি যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে কিডনি ভালো থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন গুলো বেরিয়ে যায়, তো ভালো থাকে, ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ইত্যাদি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে গরম পানি নিয়ে।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ভালো রাখতে যেসব ফল খাবেন দেখে নিন
অনেকেই প্রশ্ন করে যে গরম পানি খেলে কি কিডনি ভালো থাকে কিনা। আসলে গরম
পানি সেবন করলে ঠান্ডা পানির তুলনায় আরো বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। কারণ গরম
পানিতে পানির সকল গুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। এছাড়াও গরম পানির আরো বিশেষ কিছু উপকারিতা
আছে যা নিচে তুলে ধরা হলো।
গরম পানি ঠান্ডা পানির তুলনায় আরো ভালোভাবে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন নামক পদার্থ
বের করে দিতে সাহায্য করে।
- গরম পানি আমাদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- গরম পানি আমাদের শরীরের অন্ত্রের সচলতা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
- আপনি যদি গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।
- গরম পানি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- গরম পানি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ইত্যাদি।
তাই গরম পানির উপকারিতা গুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা বলতেই পারি যে গরম পানি খেলে
কিডনি অবশ্যই ভালো থাকে। তবে অবশ্যই সেই গরম পানি টি সহনীয় হতে হবে। অতিরিক্ত
গরম পানি আবার সেবন করবেন না। এখন চলুন আমরা কিডনি রোগ কি ভাল হয় নাকি তা জেনে
নেই।
কিডনির জন্য ক্র্যানবেরি জুস কতটুকু খাওয়া উচিত
আপনি কি জানতে চান কিডনির জন্য ক্র্যানবেরি জুস কতটুকু খাওয়া উচিত। যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্যারাটি থেকে যে কিডনির জন্য ক্র্যানবেরি জুস কতটুকু খাওয়া উচিত।
অনেকেই মনে করেছিল যে কিডনিতে পাথর হওয়াকে প্রতিরোধ করবে ক্র্যানবেরি জুস। কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্র্যানবেরি জুস আসলে কিডনিতে পাথর হওয়াকে প্রতিরোধ করে না বরং কিডনিতে পাথরের গঠন বাড়াতে পারে। কিডনির সাধারণ একটি পাথর যার নাম ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর যা ক্র্যানবেরি জুস খাওয়ার ফলে বাড়তে পারে।
তবে ক্র্যানবেরি জুসের কিন্তু অনেক উপকারিতা আছে। তাই এই জুসটি খাওয়া আবার বাদও দেওয়ার কোন উপায় নেই। তাই প্রতিদিন অন্তত এক কাপ অর্থাৎ 236 মিলি বা তার কম ক্র্যানবেরি জুস খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আশা করছি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেই কিডনি রোগ কি ভাল হয় নাকি এই সম্পর্কে।
কিডনি রোগ কি ভাল হয়
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছেন আবার অনেকে
চিন্তায় আছেন যে কিডনি রোগ ভালো হবে কিনা? চলুন তাহলে জেনে নেই যে কিডনি রোগ কি
ভাল হয় নাকি এই সম্পর্কে।
কিডনির সমস্যা খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। তাইতো প্রতিবছর দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার
কিডনি সচেতনা বৃদ্ধির জন্য কিডনি দিবস পালন করা হয়। সাধারণত কিডনির সমস্যা
হওয়ার বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন বমি বমি ভাব, পায়ে পানি আসা,
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, প্রস্রাবের সমস্যা, অতিরিক্ত ক্লান্ত ও দুর্বল লাগা, পেটে
ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব,
বিভ্রান্তি বা মানসিক পরিবর্তন, বেদনাদায়ক পেটের ব্যথা ইত্যাদি। মূলত এইসব লক্ষণ
দিয়েই শুরু হয় কিডনির রোগ।
আরো পড়ুনঃ পাছায় ফোড়া হলে করণীয়
কিডনির রোগ এমন একটি রোগ যা খুব সহজেই শনাক্ত করা যায় না। সাধারণত একজন মানুষের শরীরে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কিডনি যদি ভালো থাকে। তাহলে তার কোন সমস্যা হয় না। সে স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারে। তবে কিডনির সমস্যাটি সে বুঝতে পারে বয়সের শেষের দিকে। আর তখন সে চিন্তায় পড়ে যায় যে কিডনি রোগ কি ভাল হয় নাকি। হ্যাঁ, বর্তমানে কিডনির সমস্যার জন্য অনেক উন্নতমানের চিকিৎসা বের হয়েছে। যেই চিকিৎসা গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার কিডনি রোগ ভাল করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার অনেক অর্থ খরচ করতে হবে। আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
লেখকের শেষকথা
এতক্ষণ আপনাদের সাথে কিডনি রোগ কি ভালো হয় কিডনির সমস্যা হলে কি খাবেন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এবং এই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। ধরুন আপনি একটি কম্পিউটার কিনেছেন। সেই কম্পিউটারটি প্রথম অবস্থায় আপনাকে যেরকম সার্ভিস দেবে কিন্তু যখন এটি একবার নষ্ট হবে তারপর সার্ভিসিং করে আনার পরে কিন্তু আপনাকে কম্পিউটারটি প্রথমবারের মতো সার্ভিস দেবে না।
কিডনির বিষয়টিও ঠিক এরকম। কিডনি ভালো থাকা অবস্থায় আপনি যেরকম জীবন যাপন করতে পারবেন এবং কিডনিতে কোন রোগ হলে সেটি চিকিৎসা করে ভালো করার পরে কিন্তু সেরকম জীবন যাপন করতে পারবেন না। তবে আপনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। আগের মত আর কাজ করতে পারবেন না। তাই কিডনি সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকুন। কারণ স্বাস্থ্যই সকল, সুখের মূল।।ধন্যবাদ।।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url