গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত কি কি খাওয়া যাবে না জানুন
আমরা সবাই প্রায় কম বেশি গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছি। এই সমস্যাটি মূলত পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার কারণে হয়। পেটে গ্যাস হওয়ার ফলে অনেক সময় পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধ ইত্যাদি সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। আপনিও যদি এই সমস্যায় পরে থাকেন এবং জানতে চান যে গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এবং কি কি খাওয়া যাবে না তাহলে এই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করব গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এবং কি কি খাবার খাওয়া যাবে না এই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
ভূমিকা - গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত
গ্যাস বা গ্যাস্ট্রিকের সাথে পরিচিত না এমন মানুষ মনে হয় নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় 90% এরও বেশি মানুষ গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন। প্রথমে গ্যাস পরে গ্যাস্ট্রিক যা হয় মূলত অতিরিক্ত পরিমাণে তেল যুক্ত খাবার, মসলাযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়ার কারণে। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা গ্যাস্ট্রিককে সাধারণভাবে নেই। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয় সম্পূর্ণই বোকামি।
কারণ গ্যাস্ট্রিক থেকে শরীরে আলসার, ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, হাড়ের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি আরও নানান বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। এই গ্যাস্ট্রিক শুরু হয় মূলত গ্যাসের ব্যথা থেকে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এবং গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকা উচিত।
আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগ কি ভাল হয় কিডনির সমস্যা হলে কি খাবেন
তাই আপনাদেরকে জানানোর জন্য বা আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা
এই পোস্টটিতে গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত, গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া
যাবেনা, তলপেটে গ্যাস হওয়ার কারণ কি এবং পেটে গ্যাস হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়
এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা পোস্টটি পড়ে এই বিষয়টি
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গ্যাস্ট্রিক মানে কি ও কাকে বলে - গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা মনে করেন যে গ্যাস এবং গ্যাস্ট্রিক দুইটা একই জিনিস। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দুইটা আলাদা সমস্যা এবং এদের চিকিৎসাও সম্পূর্ণ আলাদা। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত গ্যাস্ট্রিক মানে কি এবং গ্যাস মানে কি। চলুন তাহলে জেনে নেই গ্যাস্ট্রিক মানে আসলে কি।
গ্যাস্ট্রিক বলতে বোঝায় পেটের উপরিভাগে যদি ব্যথা হয়, পেটে জ্বালাপোড়া করে, অল্প পরিমাণে খেলেই পেট ভরা ভরা মনে হয় এবং পরিমিত খাবারও যদি কেউ শেষ করতে না পারে ইত্যাদি সাধারণত এই সমস্যাগুলোকেই গ্যাস্ট্রিক বলা হয়ে থাকে।
আবার অন্যভাবে যদি বলি তাহলে যখন আমাদের শরীরের পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং তা থেকে যদি ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাহলে তাকে গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি বলা হয়। এটি হওয়ার মূল কারণ সাধারণত অতিরিক্ত ঝাল, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া।
আশা করছি আপনারা গ্যাস্ট্রিক বলতে কি বুঝায় তা বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেই যে তলপেটে গ্যাস হওয়ার কারণ কি এবং গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
তলপেটে গ্যাস হওয়ার কারণ কি কি
পেটে গ্যাসের সমস্যা নেই এমন বাড়ি মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন প্রায় সব বাড়িতেই পেটে গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে এই সমস্যাটি বাঙ্গালীদের মধ্যে বেশি। গ্যাস সাধারণত আমাদের শরীরের অন্ত্রে তৈরি হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে একজন মানুষের দিনে ৫ থেকে ১৫ বার পায়ুপথ দিয়ে গ্যাস বের হবে এটাই স্বাভাবিক।
আরো পড়ুনঃ কিডনির সমস্যা হলে কি খেতে হয়?
তবে যদি কারো এর থেকে বেশি বের হয় তাহলে কিন্তু এটি স্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে তার পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস রয়েছে।আর এই তলপেটে গ্যাস হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। এবং এই পোস্টটিতে গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এই নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
বেশি বাতাস নিঃশ্বাসের ফলেঃ
অনেক সময় মুখ দিয়ে বেশিবাতাস শ্বাস নেওয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরের গ্যাস তৈরি করে আমাদের শরীরে অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং সেখানে থাকা জীবাণু। এক্ষেত্রে আপনি যদি বেশি গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তাহলে এটি একটি আপনার গ্যাসের কারণ হতে পারে।
খারাপ অভ্যাসের ফলেঃ
আমাদের মাঝে অনেকেরই কিছু খারাপ অভ্যাস রয়েছে।যেমন চুইংগাম খাওয়া, মিছিল করা ইত্যাদি। যেগুলোর ফলে আমাদের মুখ দিয়ে শরীরের ভিতর অত্যাধিক পরিমাণে বাতাস যায় এবং এর থেকে গ্যাস হতে পারে। আবার তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ার অভ্যাসের ফলেও গ্যাস হতে পারে।
কার্বনেটেড পানীয় খাওয়ার ফলেঃ
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের কার্বনেটেড পানীয় পাওয়া যায়। যেমন বিয়ার, সোডা, কোক ইত্যাদি। যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট নামক গ্যাস থাকে। তাই এই জাতীয় পানীয় সেবন করলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর আপনারা যারা গ্যাসের সমস্যায় ইতিমধ্যে আছেন তারা এই জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করে দিন।
ঘুমানোর সময় মুখ খোলা রাখলেঃ
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা রাতে ঘুমানোর সময় মুখ খোলা রেখে বা নাক ডেকে ঘুমায়। এক্ষেত্রে তার মুখ দিয়ে প্রচুর পাতা শরীরের ভিতরে যায় যা থেকে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনারা যারা রাতে ঘুমানোর সময় মুখ খোলা রেখে ঘুমান তারা এই অভ্যাসটি বর্জন করুন।
খাবারের কারণেঃ
বর্তমানে পেটে গ্যাস হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো খাবার। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঝাল যুক্ত, মসলাযুক্ত, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার, কোল ড্রিংকস ইত্যাদি খাবারগুলো খান। তাহলে আপনার পেটে গ্যাস হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ এই জাতীয় খাবার গুলো শরীরে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি করতে পারে। এমন কিছু খাবার যেগুলো গ্যাস তৈরি করে যার নাম হলো দুধ, দুধের তৈরি খাবার, আটা বা গমের তৈরি খাবার, মটর, ব্রকলি বা শাক, সাইলিয়াম আসযুক্ত খাবার ইত্যাদি যেগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। আবার অনেক সময় পেটে খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার কারণেও গ্যাস হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা ধীর হজমঃ
আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং আপনার শরীরের যে খাবার অন্ত্র রয়েছে তা যদি ধীরে ধীরে কাজ করে তাহলে এটি থেকে আপনার পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ দীর্ঘক্ষণ শরীরের পাকস্থলীতে খাবার জমে থাকলে শরীরের জীবাণু গুলো সক্রিয় হয়ে যায় এবং পেটে গ্যাস উৎপন্ন করে ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো মূলত উপরে উল্লেখিত কারণ গুলোর মধ্যেই কোন না কোন ভাবে পড়ে যায়। তাই তলপেটে গ্যাস হওয়ার মূল কারণ কটা উপরে তুলে ধরা হলো। এখন আপনারা যদি গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে জানতে চান এবং পেটে গ্যাস হলে কি কি লক্ষণ তা জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
পেটে গ্যাস হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় জেনে নিন
আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি গ্যাসের সমস্যায় ভুগছি। আবার অনেকেই আছে যারা পেটে গ্যাসের সমস্যাকে সাধারণভাবে দেখে। আসলে মোটেও এটি সাধারণ কোন সমস্যা নয়। পেটে গ্যাসের সমস্যা খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার চিকিৎসা না করেন তাহলে এই সমস্যাটি থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে তাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ২৮,০০০ মানুষ এই গ্যাসের সমস্যায় ভোগে।
আরো পড়ুনঃ ফোড়া থেকে কি ক্যান্সার হয়
যার বেশির ভাগই হলো পুরুষ এবং যাদের বয়স প্রায় ৬৫ বছরেরও বেশি। পেটে গ্যাস হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়। গ্যাস থেকে গ্যাস্ট্রিক আর এটি অবহেলা করলে হতে পারে আরও নানান সমস্যা যেমন লিভার সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি। তবে আপনি বা আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ সম্পর্কে কোন জ্ঞান থাকে এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে থাকেন।
তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে সতর্ক থাকতে পারবেন। তাই পেটে গ্যাস হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এই সম্পর্কে জানা জরুরী। যা আপনারা এই প্যারাটি থেকে জানতে পারবেন। কারণ এই প্যারাটিতে আমরা পেটে গ্যাস হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এই সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
এবং এই পোস্টটিতে আরো আলোচনা করেছি গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এবং কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা এই সম্পর্কেও। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন এখন তাহলে আমরা পেটে গ্যাস হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় বা প্রকাশ পায় তা জেনে নেই।
- বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
- পেটে ব্যথা হওয়া।
- পেটের বাম পাশে ব্যথা হতে পারে।
- পেট ফাঁপা বা পেট ফুলে যেতে পারে।
- বুক জ্বালাপোড়া করবে।
- পেট জ্বালাপোড়া করবে।
- মাথা ঘুরাবে।
- অল্প পরিমাণে খেলেই পেট ভরে যাবে।
- খিদে লাগলেও খাইতে মন চাবে না।
- আলসার হবে।
- বদহজম।
- কালো, ট্যারি ষ্টুল।
- অ্যাসিড রিফ্লাক্স।
- অন্ত্রের গতিবিধির পরিবর্তন ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো নানান ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো যদি আপনার মাঝে দেখতে পান তাহলে অবশ্যই অবহেলা না করে দ্রুত ভালো চিকিৎসা করুন। এখন চলুন আমরা জেনে নেই গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এবং গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না এই সম্পর্কে।
গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত জেনে নিন
গ্যাসের সমস্যা খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। গ্যাসের ব্যথা থেকে হতে পারে শরীরের বড় কোন ক্ষতি যেমন ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি। আর বর্তমানে বাংলাদেশে গ্যাসের সমস্যায় ভুগছে এমন রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাইতো সবাই বর্তমানে উঠে পড়ে লেগেছে জানার জন্য যে গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এবং গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এই সম্পর্কে।
গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে জানার জন্য তারা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করছে যেখানে তারা হয়তো সঠিক তথ্য পাচ্ছে না। তাই এই পোস্টটিতে আমরা গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে এবং গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এই সম্পর্কে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
যদিও এই প্যারাটি থেকে শুধু আপনারা গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং পরের পার্টি থেকে জানতে পারবেন গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এই সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ
বর্তমান সময়ে সকলেরই পেটে গ্যাস কমবেশি রয়েছে। তবে এই গ্যাস থেকে যদি ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং সেই ব্যথা সহনীয় পর্যায়ের বাইরে চলে যায়। তাহলে অতিসত্বর একজন ভালো ডাক্তার দেখিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। এর পাশাপাশি আপনারা গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু খাবারের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কারণ এই খাবারগুলো করতে খুবই উপকারী। চলুন তাহলে গ্যাসের ব্যথা দূর করতে পারে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নেই।
গ্যাসের ব্যথা কমায় টক দইঃ
পেটে গ্যাস হয় মূলত বদহজম থেকে। আর এই বদহজম দূর করতে সাহায্য করে টক দই। এবং গ্যাসের ব্যথাও দূর করতে সহায়ক এটি। এক্ষেত্রে আপনারা গ্যাসের ব্যথা দূর করতে টক দইয়ের সাথে জিরা গুড়া, পরিমাণ মতো বিট লবণ ও পানি মিশিয়ে শরবতের মতো বানিয়ে খেতে পারেন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি গ্যাসের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
গ্যাসের ব্যথা কমায় মৌরিঃ
মৌরি পেট ঠান্ডা রাখতে প্রচুর ভূমিকা পালন করে। এবং পেটের গ্যাসের ব্যথা কমাতেও মৌরি খুবই কার্যকারী। মৌরিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা পেটে জমে থাকা গ্যাস শুষে নেয় এবং পেটের গ্যাসের ব্যাথা নিমিষেই দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মৌরি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও দূর করতে পারে।
গ্যাসের ব্যথা কমায় লবঙ্গঃ
পেটের গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য অন্যতম একটি উপায় হতে পারে লবঙ্গ। আমরা অনেকেই জানি যে লবঙ্গ শুধু সর্দি, কাশি, ঠান্ডার জন্যই উপকারী। তবে লবঙ্গ যে পেটের গ্যাসের ব্যথা কমাতে সক্ষম এটি অনেকেই জানেনা। পেটের গ্যাসের ব্যথা কমাতে লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার। লবঙ্গে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই সাহায্য করে তাই আপনারা এটি সেবন করতে পারেন।
শসা সেবন করুনঃ
শসা খুবই উপকারী একটি খাবার। এটি যেমন শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনি পেট ঠান্ডা রাখতে ও পেটের গ্যাস কমাতে প্রচুর ভূমিকা রাখে। শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটের গ্যাসের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করছি আপনারা গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
বিঃদ্রঃ পেটে গ্যাসের ব্যথা যখন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাবে তখন অবশ্যই ভালো একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করবেন।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না জেনে নিন
প্রথমে গ্যাস তারপরে গ্যাস্টিক তারপর শুরু হয় শরীরে নানান সমস্যা। বুক জ্বালা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব,সঠিক সময় সূচিকিৎসা না করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিক বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো খাবার। বেশিরভাগ মানুষেরই গ্যাস্ট্রিক হয় মূলত অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার, বেশি মসলাযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে।
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার থেকে বাঁচতে এই খাবারগুলো বর্জন করুন
তাইতো চিকিৎসকেরা গ্যাস্ট্রিক রোগীদের এই সকল খাবার পরিহার করতে বলেন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গ্যাস্ট্রিক হলে খাওয়া যাবে না। চলুন আমরা নিচে থেকে জেনে নেই গ্যাস্টিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এবং সেই খাবার গুলোর নাম।
- অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার।
- রান্না করা ছোলা বেশি খাওয়া যাবেনা।
- মূলা খাওয়া যাবেনা।
- পরোটা খাওয়া যাবে না।
- খাবার খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিটের মধ্যে পানি পান করা যাবে না।
- তেলে ভাজা জিনিস যেমন পুরি, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ খাওয়া যাবেনা।
- মুখি কচুর তরকারি।
- মুগ ও মসুরের ডাল।
- বরবটি ও শিম।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার।
- কোমল পানীয়।
- বিভিন্ন প্যাকেট জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
আপাতত উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো একজন গ্যাস্ট্রিক রোগীকে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন একজন চিকিৎসক। আশা করছি আপনারা গ্যাসের ব্যথা হলে কি করা উচিত এবং গ্যাস্টিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক বিন্দু, এতক্ষণ আপনাদের সাথে গ্যাসের ব্যাথা হলে কি করা উচিত এবং গ্যাস্টিক হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না এই বিষয়গুলো সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা পুরো পোস্টটি পড়ে সকল বিষয় বুঝতে পেরেছেন। আর যদি কোন বিষয়ে বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন। এবং আপনারা আরো কি ধরনের পোস্ট পড়তে চান তা আমাদের জানাবেন। আমরা আপনাদের চাহিদার মত পোস্ট লেখার চেষ্টা করবো।। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।।
good information