বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত জেনে নিন
পুরো পৃথিবীতে প্রায় ৫,৫০০ এরও বেশি বিমান এয়ারলাইন্স কোম্পানি রয়েছে। যেখানে প্রায় লক্ষাধিক বিমানবালা বা এয়ারহোস্টেজ কাজ করে। আপনি যদি উচ্চবিলাসী সম্পূর্ণ চাকরি করতে চান তাহলে আপনার জন্য বিমানবালা চাকরিটি পারফেক্ট। তবে আপনাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এই সম্পর্কে জানতে হবে। যা আপনারা এই পোস্টটি থেকে জানতে পারবেন। কারন এই পোস্টটিতে আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
ভূমিকা - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত
পৃথিবীর মধ্যে যতগুলো বিমান এয়ারলাইন্স কোম্পানি রয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় কর্মী বাহিনী হলো বিমানবালা বা এয়ারহোস্টেজ। কোন কোন জায়গায় এদেরকে আবার ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বা কেবিন ক্রু বলা হয়। বিমানবালারা মূলত বিমানের যাত্রাবাহী যাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে যায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই চাকরিতে রয়েছে যেমন সুযোগ সুবিধা তেমনি রয়েছে একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। এর পাশাপাশি তো একটি হ্যান্ডসাম স্যালারি থাকছেই। তাইতো বর্তমানে “বিমানবালা” বাংলাদেশের অনেকেরই স্বপ্নের বা পছন্দের একটি চাকরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বিমানের কেবিন ক্রু এর কাজ কি?
তবে ইদানিং অনেকেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত, তাদের কাজ কি, বিমানবালা হতে কি কি যোগ্যতা লাগে ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন করছেন। তাই এই পোস্টটিতে আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। চলুন তাহলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এ সম্পর্কে জেনে নেই।
বিমানবালার কাজ কি - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালা বা
এয়ারহোস্টেজের চাকরি করতে অধিক পছন্দ করে বা অধিক আগ্রহী। তারাই মূলত বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন বিমানবালার কাজ কি, একজন বিমানবালা হওয়ার পর কি
কি করতে হয় এ সম্পর্কে জানার জন্য অধিক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যা আমরা এই
পোস্টটিতে তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিমানবালার
কাজ কি জেনে নেই।
- যাত্রীদের খাবার পরিবেশন করা।
- বিমানের ভিতরের অংশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
- যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসন খুঁজে পেতে সাহায্য করা।
- ওভারহেডে মালপত্র উঠানামাতে সাহায্য করা।
- যাত্রীদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া।
- যাত্রীদের টিকেট মিলিয়ে দেখা।
- যাত্রীদের মালপত্র নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করা।
- কিভাবে সিট বেল্ট লাগাতে হয় তা যাত্রীদেরকে শিখিয়ে দেওয়া।
- পাইলটদের পক্ষ থেকে বিমান ওঠানামা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যাত্রীদের কে জানিয়ে দেওয়া ইত্যাদি।
মোটকথা হলো যাত্রীদের যাত্রা শুরু হওয়া থেকে শুরু করে যাত্রা শেষ হওয়া
পর্যন্ত যাবতীয় কাজ বিমানবালাদের করতে হয়। শুধুমাত্র পাইলটের কাজ বাদে।
বিমানবালা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত
বিমানবালা বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষেরই একটি পছন্দের চাকরি। তবে এই চাকরির এমন কিছু তথ্য আছে যা অনেকেই জানেনা। তাই চলুন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেই।
পুরো পৃথিবীতে রোমান্টিক পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম পেশা হলো বিমানবালা। এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর নারীরা কাজ করে। যারা সব সময় থাকে শান্ত এবং হাসি খুশি। আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা মনে করেন যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালাদের কাজ হলো শুধু যাত্রীদের খাবার পরিবেশন করা, বিমান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যাত্রীদের সেবা করা।
আরো পড়ুনঃ এমিরেটস কি বিবাহিত কেবিন ক্রু নিয়োগ করে
কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবায়ালাদের মূল কাজ হলো বিমানের পাইলটের সহায়ক হওয়া বা জরুরী পরিচিতি সামাল দেওয়ার সক্ষমতা থাকা। আপনি কি জানেন আমাদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবায়ালাদের কখন পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমানের দরজা বন্ধ করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের পারিশ্রমিকের হিসাব করা হয় না।
এটাতে শুধুমাত্র আকাশে কত ঘন্টা বিমান চলেছে তার ওপর ভিত্তি করে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। একটি তথ্য অনুসারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানের বেশিরভাগ যাত্রীরা খাদ্য হিসেবে মুরগির মাংস পছন্দ করে। যার কারণে বিমানের ভিতরের প্রথম দিকে যাত্রীরা মুরগির মাংস পায় এবং শেষের দিকে যাত্রীরা মাছ পায়। এই সময় বিমানবায়ালারা পেছনের যাত্রীদেরকে বলেন যে মাছটি একজন বিশেষ শেফ দ্বারা রান্না করা হয়েছে।
এবং এটি শুধু এই বিমানেই পরিবেশন করা হয়। সব বিমানবায়ালারাই যাত্রীদের
প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন। এবং এরা একজন গর্ভবতী নারীর ডেলিভারিও করতে
পারেন। কিন্তু এই কাজটি তারা তখনই করতে পারবে যখন বোর্ডে কোন ডাক্তার না থাকবে।
এছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কিছু সিক্রেট তথ্য নিয়ে নিচে আলোচনা করা
হলো।
আমরা যারা বিমানে প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করি তারা অনেকেই বিমানের ভিতরে অনেক সময় টুংটাং শব্দ শুনতে পাই। যার অর্থ যাত্রীরা কেউ বুঝতে পারে না তবে বিমানবালা ঠিকই বুঝে। এই শব্দের ভিতর বিভিন্ন কোড লুকিয়ে থাকে যা শুধুমাত্র পাইলট এবং বিমানবালা ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না। তাদের এই কোড ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করার কারণ হলো যাতে করে তাদের গোপন মেসেজ যাত্রীরা শুনে চিন্তিত বা অসুস্থ হয়ে না পড়ে।
তারা এ কোডের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করে থাকে। যেমন ধরুন, একবার শব্দ করার অর্থ হলো সামনে বাতাসের গতিবেগ প্রবল রয়েছে, দুইবার শব্দ করার অর্থ হলো বিমান ১০ হাজার ফিটের উপর দিয়ে চলছে এবং তিনবার শব্দ করার অর্থ হলো বিমানে কোন ঝামেলা হয়েছে। আর যখন এরকম কোন সিগন্যাল আসে তখন বিমানবালারা দ্রুত তাদের সিটে বসে সিট বেল্ট বেঁধে নেই।
এছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানওয়ালারা বিশেষ কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ এদের মধ্যে ব্যবহার করে থাকে। যেগুলোর মাধ্যমে তারা নিজেদের মধ্যে প্রাইভেট কথাবার্তা আদান-প্রদান করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ- পাইলটের কেবিন থেকে একবার শব্দ হলে তার মানে দাঁড়ায় আপনি ফ্রি থাকলে আমার সাথে কফি খেতে চলে আসতে পারেন আবার বিমানবালাদের কাছ থেকে তিনবার শব্দ হলে তার অর্থ দাঁড়ায় আমাদের কাছে একজন অসুস্থ রোগী আছে যার দ্রুত চিকিৎসা দরকার।
আপনি বিমানে ওঠার পর আশেপাশে তাকাবেন এটাই স্বাভাবিক। এবং তাকিয়ে আপনি দেখতে পাবেন কেউ ঘুমিয়ে আছে, কেউ জানালা দিয়ে আকাশ দেখছে, কেউ মোবাইল গেম নিয়ে ব্যস্ত আছে, কেউ খাবার খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত আছে ইত্যাদি। তবে এমন যদি হয় যে আপনি পাশে তাকিয়ে দেখলেন যে একজন মারা গেছে তখন আপনার কি অবস্থা হবে ভাবুন। তাই এই অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য বিমানবালাদের স্পেশাল ট্রেনিং দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ একজন কেবিন ক্রু এর বেতন কত?
তবে বিমানে যখন একজন যাত্রী মারা যায় সে অবস্থায় একজন বিমানবালার করার কিছুই থাকে না। তারা তো আর মৃত ব্যক্তিকে বিমান থেকে ফেলে দিতে পারবে না। তবে তারা পর্যাপ্ত চেষ্টা করে যাতে করে পাশের যাত্রীরা মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে না পারে। বেশিরভাগ সময়ই বিমানবালারা মৃত ব্যক্তিদের ডাবল সিট বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখে এবং অতিরিক্ত একটি চাদর দিয়ে ঢেকে দেয় যাতে করে অন্য যাত্রীরা বুঝতে পারে যে সে ঘুমিয়ে আছে।
আবার কোন কোন সময় মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে ফাস্ট ক্লাস কেবিনেও রাখা হয়। এখন আসি সেফটি সম্পর্কি তথ্যে। আপনারা যারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করেছেন তারা জানেন যে বিমানে ওঠার পর বিমানওয়ালারা সেফটি সম্পর্কিত একটি অ্যানাউন্স দেয়। যা অনেকের কাছে বোরিং লাগে কিন্তু এটি আপনার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় তাদের কথাগুলো গুরুত্বসহকারে শোনা এবং সেফটি ইকুইপমেন্টগুলো ডাবল চেক করা উচিত। এখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এই সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
বিমানবালা কি প্রথম শ্রেণীর অফিসার জেনে নিন
আপনাদের মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে বিমানবালা কি প্রথম শ্রেণীর অফিসার
পদের চাকরি কিনা। হ্যাঁ বিমানবালা বা কেবিন ক্রু বা এয়ারহোস্টেজ একটি
প্রথম শ্রেণীর অফিসার পদের চাকরি। যার কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বিমান বালা হওয়ার জন্য আবেদন করছে। আপনিও চাইলে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বিমানবালা চাকরি করে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এবং
উপার্জন করতে পারেন মোটা অংকের অর্থ। এখন আপনি যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমানবালা বেতন কত এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পড়তে থাকুন।
বিমানবালা হওয়ার যোগ্যতা কি - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত
বর্তমানে এয়ারহোস্টেজ বা বিমানবালা অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি পেশা। যাদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আকাশ কন্যা বলেও অভিহিত করা হয়। বর্তমানে অনেক তরুণীর এটি একটি পছন্দের চাকরি। এই কাজে আপনি সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে দেশ-বিদেশে বিমান এয়ারলাইন্সের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
আরো পড়ুনঃ কেবিন ক্রু হওয়ার যোগ্যতা কি
যার ফলে বিমানবায়ালাদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্সে বিমানবালা হিসেবে চাকরি করার জন্য আপনাকে জানতে হবে এখানে চাকরি
নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে এই সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিমানবালা হওয়ার
জন্য কি যোগ্যতা লাগে তা জেনে নেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন বিমানবালা হওয়ার জন্য যোগ্যতা হিসেবে ন্যূনতম এইচএসসি বা এ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। একজন বিমানবালার বয়স সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সের মধ্য হতে হয়। আর বিমানবালা হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বর্তমানে মেয়েদেরই বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এক্ষেত্রে মেয়েদের উচ্চতা সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি হতে হবে। আর শরীরের ওজন উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
চোখের দৃষ্টি শক্তি ক্ষমতা অবশ্যই ৬/৬ হতে হবে এবং শরীরের দৃশ্যমান অংশগুলোতে
কোন ধরনের ট্যাটু বা কাটা দাগ থাকা যাবে না। এক্ষেত্রে বিমানবায়ালাদের অবশ্যই
১৫ থেকে ২০ মিটার সাঁতার কাটতে পারার সক্ষমতা থাকতে হবে। জঙ্গলে কিভাবে বাঁচতে
হবে এ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে ইত্যাদি। এখন আপনি যদি বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পড়তে থাকুন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত?
বর্তমানে আকর্ষণীয় বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি পেশাগত রোমাঞ্চের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালা চাকরি অত্যন্ত লোভনীয়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অনেককেই বিমানবালা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকলেই আপনিও পেতে পারেন এই চাকরি। তবে বিমানবালা বলতে শুধু মেয়েদেরই বোঝানো হয়।
ছেলেদেরকে কেবিন ক্রু বলা হয়। তবে বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বিমানবালা হিসাবে নারীদের চাহিদায় সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে অবিবাহিত মেয়েরা অগ্রাধিকার বেশি পায়। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। যার ফলে অনেকেই এই চাকরির জন্য তেমন আগ্রহ দেখায় না।
তবে আপনি যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত এ সম্পর্কে জানেন
তাহলে তার এই চাকরি করার জন্য প্রবল আগ্রহী হয়ে পড়বেন। চলুন তাহলে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালা বেতন কত জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কমার্শিয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ কি
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দেশীয় বিমানবালাদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক
বেতন শুরু হয় ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন। আর বিদেশি এয়ারলাইন্স এর ক্ষেত্রে
বিমানবায়ালাদের বেতন শুরু হয়ে থাকে ১ লাখ টাকাও বেশি থেকে। এছাড়াও আপনি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালার পেশা থেকে আরও বিভিন্নভাবে অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানবালাতে দিচ্ছে নানা ধরনের সুযোগ
সুবিধা। যেখানে আপনি পাবেন বেতন ভাতা, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, ফাইভ
স্টার হোটেলে থাকার সুযোগ, বিমান এয়ারলাইন্সের নিজস্ব পরিবহন
ব্যবস্থা ইত্যাদি।
এছাড়া আপনি যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বিমানবালা হিসেবে ভালো
পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন তাহলে থাকছে প্রমোশন এর সুযোগ। সবমিলিয়ে বর্তমানে
বিমানবালার চাকরিটি স্মার্ট শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের জন্য লোভনীয় একটি চাকরি।
দিন যত যাচ্ছে ততই যেন এই পেশায় প্রবেশের জন্য মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে।
৫০ বছর বয়সে কি বিমানসেবিকা হওয়া যায় নাকি
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালা চাকরিটি সকলের পছন্দ হওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ৫০ বছর বয়সে কি বিমান সেবিকা হওয়া যায় নাকি বা যাবে কিনা? উত্তর হলো হ্যাঁ আপনি ৫০ বছর বয়সেও একজন বিমানসেবিকা হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যোগদান করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এবং ৫০ বছর বয়সেও আপনার ভারি কাজ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিকিউরিটি গার্ড ক্যাজুয়াল এর কাজ কি
যদিও ৫০ বছর পার হওয়ার পরে কারো ভারী কাজ করার সামর্থ্য থাকে না। যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি একজন বিমানসেবিকা হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে জয়েন দিতে পারবেন। তবে শুধু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সই নয় পৃথিবীর প্রায় সকল এয়ারলাইন্সে সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সের মধ্য নারীদের বিমানবালা বা বিমানসেবিকা হিসেবে নিয়োগ দেয়। এক্ষেত্রে যারা অবিবাহিত তাদেরকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়। আশা করছি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url