বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী - বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি জেনে নিন বিস্তারিত
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা জানতে চায় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি? তারা আসলে কি কাজ করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। কিন্তু তারা সঠিক তথ্য জানতে পারে না। তবে আপনারা এই পোস্টটি থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এই সম্পর্কে আশা করছি সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। কারণ এই পোস্টটিতে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ভূমিকা - বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ একটি স্থল শাখা হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের ভূখণ্ড রক্ষা করা এবং বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষায় সহায়তা করা এবং দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। সাধারণত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ধরনের কর্মকাণ্ডই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ধারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত হয়।
তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যেটি হচ্ছে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের সকলেরই জানা উচিত বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি। এছাড়াও আমাদের আরো জানা উচিত যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্লোগান কি, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান কে ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা সেনাপ্রধানের নাম কি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ ওয়ারেন্ট অফিসার কাকে বলে
যা আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা
শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে
এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি আপনারা বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন। এবং যেই তথ্যগুলো আপনাদের বিভিন্ন
পরীক্ষায়ও কাজে লাগবে। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী
কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এই সম্পর্কে।
মিলিটারি শব্দের অর্থ কি? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি
মিলিটারি একটি ইংরেজি শব্দ। যার বাংলা অর্থ হলো সামরিক, সেনাবাহিনীর
সম্বন্ধীয়, সৈনিক, সশস্ত্র বাহিনী, যুদ্ধপ্রিয়, সৈন্যবল, লড়াইয়ে। মিলিটারি বা
সাময়িক বাহিনী হলো একটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা ও
আক্রমণকারী বাহিনী। যারা দেশের রাজনৈতিক লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে থাকে।
মিলিটারীদের একটি স্বতন্ত্র ইউনিফর্ম থাকে। যা দেখলে বোঝা যায় যে এরা মিলিটারি
বা সামরিক বাহিনী। এখন আপনি যদি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্লোগান কি জেনে নিন - বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্লোগান হলো সমরে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে, শান্তিতে
আমরা। তবে যদি বিস্তারিত ভাবে বলি তাহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্লোগান নিচে
দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যখন কেউ সেনাবাহিনী বার সৈনিক হিসেবে জয়েন দেয় তখন তাকে যে সকল বাক্য পাঠ করতে হয় তা হলো। প্রশ্ন আমি কে? উত্তর আমি একজন গর্বিত সৈনিক। আমি পরাজয়কে জয় করতে ভালোবাসি। আমার হৃদয়ে বা কাছে পরাজয়ের কোনো স্থান নেই। সবাই যেখানে থমকে দাঁড়ায়, আমি সেখান থেকেই শুরু করতে ভালবাসি। একজন সৈনিক সবসময় তার দেশ পিতা-মাতা, তার সহযোদ্ধা এবং প্রশিক্ষকদের কথা মনে করে একজন সৈনিক তার দুর্বলতাকে সাহসও পরিণত করে।
আরো পড়ুনঃ ওয়ারেন্ট অফিসার গ্রেড কত
একজন সৈনিক সব সময় শারীরিকভাবে থাকে দুর্বার এবং কঠোর পরিশ্রমে থাকে মানসিকভাবে সুদৃঢ়। আবারো প্রশ্ন আমি কে? আমি একজন গর্বিত মায়ের গর্বিত সৈনিক। কেউ একজন সৈনিকের অস্তিত্বকে খাটো করে দেখতে পারবে না। কেউ একজন সৈনিকের সক্ষমতাকে কোন ধরনের সীমাব বা আবদ্ধতা দিয়ে আবদ্ধ করতে পারবে না। একজন সৈনিকের থাকে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস যা তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যত অসম্ভব কাজ আছে তা সম্ভব করার পথে।
একজন সৈনিকের অভিধানে পরাজয় বা পিছুয়াটা নামে কোন শব্দ থাকে না। একজন সৈনিক ব্যর্থতা এবং ভুল করার সংজ্ঞা জানেনা। একজন সৈনিকের হৃদয়ে কোন দুর্বলতা স্থান পায় না। আবারো প্রশ্ন আমি কে? আমি একজন বাংলা মায়ের গর্বিত সৈনিক। একজন সৈনিকের সাথে সব সময় তার সহযোদ্ধারা থাকে। তারা তাদের শরীরের ঘাম রক্ত আর অশ্রু বিসর্জন দিতে জানে। সহযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে একজন সৈনিকের পাশে থাকে।
একজন সৈনিক কখনোই তার সহযোদ্ধাদেরকে শত্রুর সামনে মাথা নিচু হতে দিতে পারেনা। একজন সৈনিক সবসময় হাসিমুখে যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাপিয়ে পড়ে। যুদ্ধক্ষেত্রে একজন সৈনিক হয়ে ওঠে আক্রমণাত্মক এবং হিংস্র। কোন শত্রুই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সৈনিককে দমিয়ে রাখতে পারে না। একজন সৈনিক সব সময় যুদ্ধক্ষেত্রে শুধু বিজয়েরই অর্থ বুঝে পরাজয়ের অর্থ বোঝেনা। এখন আপনি যদি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান কে ছিলেন? বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৭ই এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কে এম শফিউল্লাহ কে বাংলাদেশের
সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালনার
দায়িত্বে ছিলেন এম এ জি ওসমানী। যিনি মূলত বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন সময়ে
মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন।
আরো পড়ুনঃ ওয়ারেন্ট অফিসার এর কাজ কি
তবে অনেকেই মনে করেন যে আব্দুর রব স্বাধীন প্রথম বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন।
এটি একটি ভুল ধারণা তিনি ছিলেন মূলত মুক্তি বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ। যাকে কিনা 1971
সালে চিফ অফ স্টাফ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এখন
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি
সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সেনা প্রধানের নাম কি?
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা অনেক সময় জানতে চান বাংলাদেশের প্রথম মহিলা
সেনাপ্রধানের নাম কি? এই প্রশ্নটির উত্তর জানা অবশ্য জরুরী। কারণ অনেক সময় অনেক
পরীক্ষাই এই প্রশ্ন দেখা যায়। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায়। তাই এই
প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জেনে নেওয়া উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেই বাংলাদেশের প্রথম
মহিলা সেনাপ্রধানের নাম কি ছিল।
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সেনাপ্রধান বা মেজর ছিলেন মেজর জেনারেল সুসানে গীতি। যিনি কিনা ২০১৮ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর প্রথম নারী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হিসেবে উত্তীর্ণ হন। সুসানে গীতি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন। রাজশাহীতেই তার পড়াশোনা শেষ করেন। এবং ১৯৮৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
এরপর ১৯৯৬ সালে সুসানে গীতিকে প্রথম নারী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী
ডাক্তার হিসেবে ক্যাপ্টেন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবং সে এই সময়েই এই পদে যোগদান
করেন। এরপর কাজ করতে করতে ২০১৮ সালে পদোন্নতি পেয়ে সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হন।
এখন আপনি যদি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
কাজকে এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন ।
সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তা কে জেনে নিন
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা জানতে আগ্রহী সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদার
কর্মকর্তা কে এই সম্পর্কে। যা আমরা এই পোস্টটিতে তুলে ধরেছি।
সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদার যিনি কর্মকর্তা রয়েছেন তার নাম হলো “জেনারেল
মার্ক এ. মিলি”। যিনি সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিপস অফ স্টাফ এর ২০ তম
চেয়ারম্যান। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রধান সাময়িক উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা
সচিব এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান।
আরো পড়ুনঃ ওয়ারেন্ট অফিসার এর বেতন কত
জেনারেল মার্ক এ. মিলিই হলেন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এবং
একজন রাষ্ট্রপতি। যার উপর সেনাবাহিনীর অনেক কিছু নির্ভর করে। তার ওপর অনেক
দায়িত্ব থাকে। এখন আমাদের জানা দরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এবং
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কে। যা এ পোস্টটিতে নিচের দিকে
আলোচনা করা হয়েছে। তাই পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কত নাম্বার 2023?
অনেক সময় বিভিন্ন পরীক্ষায় বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে। যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কত নাম্বার পজিশনে রয়েছে। ২০২৩ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার এর একটি র্যাংকিং অনুযায়ী সামরিক শক্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় ৪০ তম অবস্থানে রয়েছে। এবং সেনাবাহিনীর শক্তিশালীর দিক থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৪৯ তম অবস্থানে রয়েছে। যেখানে গত বছরের বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৬ তম।
যা গত এক বছরের ব্যবধানেই ৪০ তম স্থানে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাড়িয়েছে তাদের বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র
গোলাবারদ। যা আমরা নিচে থেকে জানতে পারবো। কারন নিচে আমরা বাংলাদেশের সেনাবাহিনী
কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেখানে এই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা
করবো। তাই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়তে
থাকুন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি? জেনে নিন
আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করবে। যারা দেশকে ভালোবাসে দেশকে রক্ষা করতে চায় তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে স্বপ্ন দেখে। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করার আগে অবশ্যই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। কারণ আপনি যদি এই সম্পর্কে আগেই জেনে নেন তাহলে যোগদান করার পরে আপনার কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজগুলো সহজ মনে হবে।
তাই এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এই সম্পর্কে এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। তবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কে আমরা পরে প্যারাটিতে আলোচনা করেছি। এখন এই প্যারা থেকে আপনারা শুধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে এই প্যারা থেকে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ কি এই সম্পর্কে জেনে নেই।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট। বা ভিন্ন ভিন্ন কোর অথবা পদ। যাদের কাজও ভিন্ন ভিন্ন। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মূল বা প্রাথমিক কাজ হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, দেশের ভূখণ্ড যাতে অখন্ড না হয় তা থেকে রক্ষা করা, দেশের ভিতরে সকল ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দুর্যোগের সময় সিভিল প্রশাসনে যারা থাকে তাদেরকে সহযোগিতা করা।
আরো পড়ুনঃ বিবাহিত নারী কি কেবিন ক্রু হতে পারবে
এই কাজগুলোই মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাথমিক বা মূল কাজ। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিতে বা কোর ভিত্তিতে কাজের ভিন্নতা রয়েছে। নিচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কিছু কাজ তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এমওডিসি পদের কাজ
এমওডিসি এর পূর্ণরূপ হল মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স কন্সটেবলারি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
এই পদে যে সেনারা কাজ করে তাদের কাজ হলো সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট গার্ড
দেওয়া। এদেরকে মূলত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গেট সমূহের ডিউটি করার জন্য নিয়োগ
দেওয়া হয়।
এএসসি বা আর্মি সার্ভিস কোর এর কাজ
এদের কাজ হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফ্রেশ এবং ড্রাই রেশন, এবং সেনাবাহিনীদের
গাড়ি চলাচলের তেল সহ আরো ইত্যাদি জিনিস সরবরাহ করা।
এএমসি বা আর্মি মেডিকেল কোর এর কাজ
এদের কাজ হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যারা কাজ করে তাদের চিকিৎসা প্রদান করা
এবং সেনাদের পরিবারের সদস্যদেরও চিকিৎসা প্রদান করা।
অর্ডন্যান্স এর কাজ
এদের কাজ হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধ এবং শান্তিকালীন সময়ের জন্য ব্যবহৃত
বিভিন্ন জিনিস যেমন সাজ সরঞ্জাম, পোশাক, নৃত্য ব্যবহারের দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি
জিনিসপত্র সেনাবাহিনীদের সুবিধার্থে সরবরাহ করা।
ইএমই বা ইলেকট্রনিক এন্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই কোরে যারা কাজ করে তাদের কাজ হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র ও গাড়ি তৈরি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যান্য বিভিন্ন
যন্ত্র ও যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা।
মিলিটারি পুলিশের কাজ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশের কাজ হলো সেনানিবাস এর ভিতরে পুলিশিং
এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজ করায় নিয়োজিত থাকে। এরা মূলত ট্রাফিক
নিয়ন্ত্রণ করে।
এইসি বা আর্মি এডুকেশন কোর এর কাজ
এদের কাজ হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
নিয়ন্ত্রণ করা। এবং সেখানে শিক্ষকতা করা ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত ডিপার্টমেন্টের কাজগুলো ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরো অনেক কাজ
করে। যেগুলো আমরা অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। এখন চলুন
আমরা বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কে জেনে নেই।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী জেনে নিন
বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে এমন একটি সময় চলছে। যে সময়ে পুরো পৃথিবীর সবগুলো
দেশিই তাদের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী করার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অনেক
দেশ তাদের সাময়িক বাহিনী শক্তিশালী করে ফেলেছে। তার মধ্যে কিছু দেশ রয়েছে যেমন
চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, আমেরিকা ইত্যাদি আরো অনেক দেশ রয়েছে যারা সাময়িক
বাহিনী শক্তিশালী দিক থেকে অনেক এগিয়ে।
তবে সাময়িক বাহিনী শক্তিশালীর দিক থেকে বাংলাদেশও কিন্তু পিছিয়ে নেই। বর্তমানে
বাংলাদেশেও তাদের সেনাবাহিনী বা সামরিক বাহিনী শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। যা ঘটেছে লাস্ট কয়েক
বছরের মধ্যে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা উপরে আলোচনা
করেছি।
আরো পড়ুনঃ ইতিহাদ নাকি এমিরেটস কোনটি ভালো
এখন আমরা বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং সাময়িক দিক থেকে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর কি কি রয়েছে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশের সাময়িক বাহিনী মূলত তিন ভাগে বিভক্ত। যার মধ্যে রয়েছে।
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- বাংলাদেশের নৌবাহিনী ও
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
এ পোস্টটিতে আমরা বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কে আলোচনা করবো। পুরো পৃথিবীতে অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীর শক্তির তালিকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রয়েছে ৪৯ তম অবস্থানে। যা গত বছরে ৪৭ তম অবস্থানে ছিল। কিন্তু এই বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি সূত্রটির কারণে দুই ধাপ পিছিয়ে গেছে। তারপরও বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈন্য রয়েছে প্রায় ১,৬৫,০০- মতো।
এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধ ট্রাঙ্ক রয়েছে ৬২০ টি এবং আর্মড বিকলস রয়েছে ১৩,১০০ টি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে সেলফ প্রোপেল্ট আর্টিলারি রয়েছে মাত্র ৩০ টি। এছাড়াও টাউট আর্টিলারি রয়েছে ৩৭০ টি এবং রকেট আর্টিলারি রয়েছে ৭০ টি। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈন্য পরিবহনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিমান।
বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈন্য পরিবহনের জন্য পরিবহন বিমান রয়েছে মাত্র ৩ টি, ইউটিলিটি বিমান আছে মাত্র ১ টি। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে বেসিক ট্রেনার এয়ারক্রাফট রয়েছে মাত্র ৪ টি এবং লাইট ট্রেইনার বিমান রয়েছে মাত্র ৫ টি। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে ছোটখাটো আক্রমণে সক্ষম এমন সমরস্ত্র বিশিষ্ট ৫ টি আধুনিক রাশিয়ান এম আই- 171 হেলিকপ্টার রয়েছে।
এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে পানিতে সৈন্যদের পরিবহনের জন্য ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট জাহাজ রয়েছে ৪ টি এবং ১৫০ থেকে ১৭০ টির মত স্পিডবোট রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে। মোটামুটি এই ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্রশস্ত্র। এখন এই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বলা যায় যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আগের চাইতে বর্তমানে অনেক শক্তিশালী হয়েছে।
যদিও বিশ্ব র্যাংকিং এ দুই ধাপ পিছিয়ে গেছে তারপরও অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীর
শক্তির তুলনায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অনেক শক্তিশালী। আশা করছি আপনারা
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এই সম্পর্কে একটা প্রোপারলি ধারণা
পেয়েছেন।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক কিন্তু আজকের পোস্টটি আমরা, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী,
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ কি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্লোগান কি, বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর প্রথম নারী সেনাপ্রধান কে ছিলেন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে
সাজিয়েছিলাম। যা কিনা আপনারা ইতিমধ্য পড়েছেন। আসলে একজন বাংলাদেশ হিসেবে আমাদের
প্রত্যেকেরই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ
কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা জরুরী। আশা করি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে।
যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকবেন। আশা করছি
পোস্টটি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে।। আর সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ।।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url