বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন কত মাস জেনে নিন বিস্তারিত
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যাদের স্লোগান হলো দেশের তরে। অর্থাৎ তারা সব সময় দেশের স্বার্থে নিয়োজিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিতে রয়েছে যেমন সুযোগ-সুবিধা তেমনি আছে কঠিন প্রশিক্ষণ। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাস হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করার আগে অবশ্যই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাস এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। যা আমরা এই পোস্টটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ভূমিকা - বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যার নাম শুনলেই মনের মধ্যে একটি দেশপ্রেম ও বীরত্বের ভাব চলে আসে। তবে যারা স*ন্ত্রা*সী তাদের মনে চলে আসে ভয়। কারণ স*ন্ত্রা*সীরা বাংলাদেশের পুলিশদেরকে দেখে ভয় না পেলেও সেনাবাহিনীদেরকে দেখলে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শত্রুদের জম এবং ভালো মানুষদের বন্ধু।
তাইতো আমাদের মাঝে অনেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। অনেকেই জানতে চাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীদের কে ট্রেনিং এ কি কি শেখানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ট্রেনিং সেন্টার গুলো কোথায় অবস্থিত ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান কে ছিলেন
এই প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানা আসলে জরুরী তাদের জন্য যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে ইচ্ছুক। তাই চলুন আর দেরি না করে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাস এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই। যেগুলো আপনাদের অনেক কাজে দেবে বলে আশা করছি।
সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কি কি জেনে নিন - বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন
যদি একজন সেনাবাহিনী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে। যদিও
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং বিষয়টি সম্পূর্ণ সিক্রেট একটি বিষয়। যা
সম্পর্কে বাইরের মানুষ সম্পূর্ণভাবে জানে না। তারপরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু
কিছু ট্রেনিং রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে প্রায় সকলেই জানে। সেই বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী ট্রেনিং কি কি এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের পোস্টটি সাজিয়েছি। নিচে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ট্রেনিং কি কি তা তুলে ধরা হলো। এবং বিস্তারিতভাবে নিচে
বর্ণনা করা হলো।
- হাইকিং
- ম্যাপ তৈরি
- ফায়ারিং
- মিশন সম্পন্ন করা
- প্যারা জাম্পিং
- প্রাথমিক চিকিৎসা
- সার্ভাইবাল
- রেপলিং জাম্প
- এয়ার জাম
- ওয়াটার ট্রেনিং
- গ্যাগিং ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত ট্রেনিং গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবচেয়ে কঠিন কিছু
ট্রেনিং সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
সার্ভাইবাল
সে এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে মূলত একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শেখানো হয় কিভাবে
একজন শূন্য ৩ থেকে ৪ দিন বা ৭ দিন না খেয়ে বাঁচতে পারে। বা কিভাবে একটি বিরূপ
পরিবেশে বাঁচতে হবে এই সম্পর্কে। এই ট্রেনিং পদ্ধতিতে মূলত বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর সৈন্যদের এমন একটি জঙ্গলে রেখে আসা হয় যেখানে খাবারের কোন
ব্যবস্থা থাকে না, যেই জঙ্গলে কোন ফলমূল থাকে না ইত্যাদি। এই রকম পরিবেশে একজন
সৈনিক কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবে বা বাঁচাবে তা মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সৈন্যদেরকে শিখিয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সেনা প্রধানের নাম কি?
রেপলিং জাম্প
রেপলিং জাম্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যতম একটি কঠিন ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ। এই ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণে মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈন্যদেরকে অনেক উঁচু থেকে মাথা নিচের দিয়ে দড়ির উপর এক হাত দিয়ে পুরো শরীরের ভর করে জাম্প করতে হয়। যা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ও মারাত্মক। একজন সাহসী এবং কঠোর মনোবল সম্পূর্ণ সৈনিকই পারে এই রকম প্রশিক্ষণে সফল হতে।
এয়ার জাম্প
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যতম একটি কঠিন প্রশিক্ষণ হলো এয়ার জাম্প। এই
ট্রেনিংয়ে বা প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈন্যদেরকে কখনো ২০০০ মিটার
উচ্চতা বা কখনো ৪০০০ মিটার উচ্চতা থেকে জাম্প করতে হয়। এই প্রশিক্ষণ বা
ট্রেনিং টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং মারাত্মক। কারণ যদি কখনো এত উপর
থেকে জাম্প করার পর কোন সৈনিক প্যারাসুট ওপেন করতে না পারে তাহলে সে
নির্ঘাত মৃত্যুর মুখে পড়বে। তাই এই ট্রেনিং টি বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর সৈনিকদের
জন্য কঠিন একটি প্রশিক্ষণ বলে বিবেচিত।
ওয়াটার ট্রেনিং
এই ট্রেনিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈন্যদেরকে কখনো আবর্জনা যুক্ত ড্রেন
আবার কখনো নদীর ঘোলা পানিতে আবার কখনো কোন বিষাক্ত পানিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
সৈন্যদেরকে প্রশিক্ষণের জন্য নামিয়ে দেওয়া হয়। এই ট্রেনিং টি সৈনিকদের কাছে
বেশি কষ্টকর হয় শীতের সময়। কারণ শীতের সময় পানি অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে। এই
ট্রেনিং টির জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। কখনো রাত দশটা কখনো বারোটা আবার কখনো
বা ভোর বেলা সৈন্যদেরকে এই ট্রেনিং করতে হয়।
গ্যাগিং ট্রেনিং
এই ট্রেনিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের সৈনিকদের হাত এবং পা বেঁধে
দেয়। এবং মুখের ভিতর কোন একটা জিনিস লাগিয়ে দিয়ে রশি দিয়ে পিছনের দিকে টেনে
ধরে। যেখানে সৈনিকদের মেরুদন্ডের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। এই ট্রেনিং করতে অনেক
সৈনিক কান্না করে ফেলে। কারণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ট্রেনিং এর মধ্যে এটি
সবচেয়ে কঠিন ট্রেনিং বলে বিবেচিত।
আশা করছি আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কি কি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন। যদিও এই বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সিক্রেট বিষয়।
তারপরও কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো সিক্রেট না। এখন আপনারা যদি বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাসে এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি
পড়তে থাকুন।
সেনাবাহিনীর ডিউটি কত ঘন্টা জেনে নিন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঘন্টা নেই। তাদেরকে ২৪ ঘন্টায় প্রস্তুত থাকতে হয়। কারণ তারা দেশের স্বার্থে কাজ করে। তবে সাধারণভাবে সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক হিসেবে দৈনিক ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। অনেক সময় ২০ ঘন্টার উপরেও সৈনিকদের ডিউটি করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কত নাম্বার 2023?
আপনারা সেনাবাহিনীর ডিউটি কত
ঘন্টা এই সম্পর্কে হয়তো জেনে গেলেন। কিন্তু জানেন কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
ট্রেনিং কত দিন হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন কারণ নিচের
দিকে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাস হয় তা উল্লেখ
করেছি।
সেনাবাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার কোথায় কোথায় অবস্থিত
আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা জানতে চায় যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার কোথায় কোথায় অবস্থিত। আসলে যারা সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে চান। তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে এ বিষয়গুলো জানা খুবই জরুরী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মূলত দেশের স্বাধীনতা, ভূমির অখন্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীদের কে বিভিন্ন স্থানে ট্রেনিং করানো হয়। তার মধ্যে
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি একটি। এটি বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর
অধিভুক্ত। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের চট্টগ্রাম শহরের
নিকটবর্তী ভাটিয়ারী নামক স্থানে অবস্থিত।
এছাড়া বাংলাদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীদের প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং দেওয়ার জন্য
বেশ কিছু ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। যেমন
১। আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার এন্ড স্কুল, যেটি টাঙ্গাইলে ঘাটাইল নামক স্থানে
অবস্থিত। যেটিকে শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাস বলা হয়।
২। অর্ডন্যান্স কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, যেটি গাজীপুরে অবস্থিত এবং এটিকে সবাই রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস নামে চেনে।
৩। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, যেটি পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত। অনেক এটিকে চট্টগ্রাম সেনানিবাস নামে চেনে।
৪। ময়নামতি সেনানিবাস বা স্কুল অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, যেটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত।
৫। মাঝিরা সেনানিবাস বা নন-কমিশন্ড অফিসারস একাডেমী, যেটি বাংলাদেশের বিখ্যাত জেলা বগুড়া জেলায় অবস্থিত।
এছাড়াও বাংলাদেশের ভিতরে আরো অনেক সেনানিবাস রয়েছে যেখানে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীদের কে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এখন আপনারা যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
ট্রেনিং কত দিন বা কত মাসে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
সেনাবাহিনীতে বয়স কত লাগে ২০২৩
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বয়স কত লাগে এই সম্পর্কে। তাই
এই পোস্টটিতে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বয়স কত লাগে এই সম্পর্কে আলোচনা
করেছি। এবং এর পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন এই সম্পর্কেও
আলোচনা করেছি। যদিও এই প্যারাটি থেকে আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত
দিন তা জানতে পারবেন না। এ সম্পর্কে জানতে পারবেন পোস্টটির নিচের দিক থেকে। এই
প্যারা থেকে শুধু আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বয়স কত লাগে এই সম্পর্কে জানতে
পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী জেনে নিন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বয়সের ক্ষেত্রে দুটি ট্রেড রয়েছে। ট্রেড দুটি হলো
- সাধারণ ট্রেড বা (GD)
- টেকনিক্যাল ট্রেড বা (TT)
সাধারণ ট্রেড বা (GD)
সাধারণ ট্রেড এর ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত হিসাব করলে ১৭
বছর এর কম এবং ২০ বছর এর বেশি হবে না তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাধারণ ট্রেড
এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
টেকনিক্যাল ট্রেড বা (TT)
টেকনিক্যাল ট্রেড এর ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৩ মাস ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত হিসাব করলে
১৭ বছর এর কম এবং ২১ বছরের বেশি হবে না তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টেকনিক্যাল
ট্রেড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ট্রেডেই পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই আবেদন করতে পারবেন। এখন আপনারা যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
এসএসসির পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করা যাবে কি
আমাদের মাঝে অনেকেরই প্রশ্ন এসএসসির পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করা যাবে
কিনা। হ্যাঁ আপনি এসএসসির পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন। তবে
এক্ষেত্রে আপনার এসএসসির রেজাল্ট ৪.৫০ এর উপরে হতে হবে। আর আপনি যদি
এইচএসসি পরীক্ষার পর সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার এসএসসি
অথবা এইচএসসি যেকোনো একটিতে জিপিএ ৫ এবং অন্য একটিতে ৪.৫০ থাকতে হবে। এখন চলুন
আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ট্রেনিং কত দিন করতে হয় এই সম্পর্কে জেনে নেই।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন?
আমাদের মাঝে যারা নতুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে ইচ্ছুক। তাদের
অনেকেরই প্রশ্ন যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাস হয়ে থাকে।
আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
তবে সাধারণভাবে একজন সৈনিকের ট্রেনিং মূলত ৩ মাস বা ৬ মাস হয়ে থাকে। যা
আমরা যদি দিনে হিসাব করি তাহলে ৯০ দিন বা ১৮০ দিন হয়।
সেনাবাহিনীর ট্রেনিং মানেই সহজ কোনো বিষয় না। সেনাবাহিনীদের অনেক কঠিন কঠিন প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং দেওয়া হয়। এই ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন সৈনিককে শক্তিশালী ও সাহসী সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়। একজন সৈনিক যখন ট্রেনিংরত অবস্থায় থাকে তখন তার মাথায় শুধু একটাই চিন্তা আসে কিভাবে এই ট্রেনিং শেষ করা যায়।
আরো পড়ুনঃ ওয়ারেন্ট অফিসার এর বেতন কত
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক সৈনিক আছে যারা এই ছয় মাস বা তিন মাসে ট্রেনিংই
সহ্য করতে পারে না। অনেকে পালিয়ে চলে আসে। কিন্তু যারা এই ৯০ দিন বা ১৮০ দিনের
ট্রেনিং শেষ করতে পারে। তাদেরকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সৈনিক হিসেবে নিয়োগ
দেয়। এবং তারপরে একজন সৈনিকের সৈনিক জীবন শুরু হয়। যেখানে সে অনেক
সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। আশা করছি আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা
কত মাস হয় তা জানতে পেরেছেন।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ এতক্ষণ আপনাদের সাথে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং কত দিন বা কত মাস হয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীদের কি কি ট্রেনিং দেওয়া হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ট্রেনিং সেন্টার গুলো কোথায় অবস্থিত ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি মানে একটি অন্যরকম ব্যাপার। এই চাকরিতে আপনি পাবেন যেমন সম্মান তেমনি পাবেন সুযোগ-সুবিধা।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যারা
দেশের জন্য প্রাণ দেয় তাদেরকে রোজ হাশরে শহীদদের কাতারে দাঁড় করানো হবে। আর এই
সেনাবাহিনী হলো একমাত্র পথ যেখানে আপনি শহীদের মর্যাদা পাবেন। আশা করছি আপনাদের
কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতেও পেরেছেন। আজ এ
পর্যন্তই আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আপনাদেরকে আরো ভালো ভালো পোস্ট উপহার
দিতে পারি।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url