মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বিন্দু, আপনারা কি মধু তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারণ এই পোস্টটিতে মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসী পাতা মুখে দিলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে বহুবিধ গুনাগুন। যেগুলো আমাদের সকলেরই জানা দরকার। তাই এই পোস্টটিতে আমরা মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা তুলে ধরেছি। এছাড়াও তুলসী পাতার বিভিন্ন ব্যবহার তুলে ধরেছি।মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি জেনে নিন
মধু ও তুলসী পাতার মধ্য রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুনাগুন। মধু তুলসীপাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও মধু ও তুলসী একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান যা কাশি কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমাতে কাজ করে।
তুলসী ও মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এটি ত্বককে প্রশমিত করে এবং এলার্জি কমায়। এছাড়াও মধু ও তুলসী পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলো।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও ভিটামিন। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এছাড়াও এটি কয়েক হাজার বছর ধরে সর্বরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
- ঠান্ডা থেকে রক্ষা করেঃ তুলসী ও মধু ঠান্ডা থেকে আমাদেরকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে।
- হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখেঃ মধু ও তুলসী পাতা আমাদের শরীরে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক ভূমিকা পালন করে। মধু ও তুলসী পাতা সাধারণত আমাদের শরীরের কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শরীরের রক্তে সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে আমাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়া সম্ভব না অনেক কমে যায়।
- এলার্জি কমায়ঃ এলার্জি রোগের অন্যতম প্রতিষেধক হলো মধু ও তুলসী পাতা। মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক নামক উপাদান যা আমাদের ত্বককে প্রশমিত করে এবং এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।
- অকালবার্ধক্য কমায়ঃ আপনি যদি অকালবার্ধক্য থেকে বাঁচতে চান তাহলে মধু ও তুলসী পাতা সেবন করুন। কারণ মধু তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যা আমাদের শরীরকে অকালবার্ধক্য থেকে বাঁচিয়ে রাখে।
- কিডনিতে পাথরঃ কিডনির পাথর দূর করার অন্যতম ওষুধ হলো তুলসী পাতা। মধু ও তুলসী পাতার মিশ্রণ সাধারণত কিডনিতে পাথর থেকে মুক্তি দেয়। এই মধু ও তুলসী পাতা আমাদের শরীরের কিডনিতে যে বিষাক্ত পদার্থ থাকে সেই বিষাক্ত পদার্থকে সরিয়ে আমাদের কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ কাজু বাদামের উপকারিতা
এছাড়াও মধু ও তুলসী পাতার অনেক উপকারিতা আছে যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। আর এটি
যেহেতু সর্বরোগের ওষুধ হিসেবে হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই আপনারা মধু ও
তুলসী পাতা সেবন করতে পারেন।
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ তুলসী পাতা সম্পর্কে আমাদের কারো অজানা নয়। তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে। আপনি যদি খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে অবাক হয়ে যাবেন। খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম।
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়া আমাদের পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী এবং এটি দ্রুত আমাদের শরীরের মেটাবলিক সিস্টেম মেরামত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন তুলসীপাতা সেবন করেন তাহলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা বদহজমের মতো ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবেন। তুলসী পাতায় রয়েছে আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করার ক্ষমতা।
নিয়মিত তুলসী পাতা সেবন করার ফলে তুলসী পাতায় উপস্থিত বিভিন্ন উপকারী উপাদান আমাদের শরীরের টক্সিন নামক পদার্থকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও খালি পেটে তুলসী পাতা সেবন করার ফলে আমাদের শরীরের ব্যাঘাত জনিত যত সমস্যা থাকে সেই সমস্যাগুলো তাড়াতাড়ি দূর করা যায়।
আপনি যদি নিয়মিত তুলসী পাতা সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের সুগার কন্ট্রোল করতে
পারবেন। এছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাশি বা জমা কফ তুলতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম।
মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার। আপনি যদি আপনার মুখে
দুর্গন্ধ দূর করতে চান তাহলে চার পাঁচটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে
পারেন। এছাড়াও খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার আরো অনেক উপকারিতা আছে যেগুলো
আমরা অন্য একটি পোস্ট থেকে জানতে পারবো। এখন আপনি যদি তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা কি জানুন
চা পান করতে আমরা সবাই পছন্দ করি। অনেকে আবার এই চা নেশার মতো পান করে। যারা নিয়মিত চা পান করে তাদের কাছে এটি নেশার মত হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ এই চা পানের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনেকে আদা চা, দুধ চা, লেবু চা, রং চা ইত্যাদি খায়। যদিও এই চা গুলোর অনেক উপকারিতা আছে কিন্তু তুলসী পাতার চায়ের উপকারিতা এই চা গুলোর চাইতে আরো অনেক বেশি।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
তুলসী পাতার চা কে ভেষজ চা ও বলা হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তুলসী পাতাকে
ভেষজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তুলসী পাতার
বহুবিধ ব্যবহারের জন্য এই তুলসী পাতাকে “ঔষধি গাছের রানী বলা হয়”। কারণ তুলসী
পাতার চা এর অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো নিম্নে দেওয়া হলো।
- সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করে তুলসী পাতার চা
- শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তুলসী পাতার চা
- তুলসী পাতার চা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম
- স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে
- মুখ ও দাঁতের দুর্গন্ধ দূর করতে ভূমিকা রাখে তুলসী পাতার চা
- বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে
- রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তুলসী পাতার চা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম তুলসী চা
- তুলসী চা ভালো ঘুমের জন্য উপকারী
- তুলসী চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
- পেটের পিড়া দূর করতে সক্ষম তুলসী চা
- বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম তুলসীতা
- কিডনিতে পাথর জমতে বাধা সৃষ্টি করে তুলসী চা
- তুলসী চা দৈহিক ওজন কমাতে পারে
- স্তন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে তুলসী চা বিশেষ ভূমিকা পালন করে
- লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সক্ষম তুলসী চা ইত্যাদি।
শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
যদিও মধু ও তুলসী পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি আপনার শিশুকে
পরিমাণের তুলনায় বা নিয়ম না মেনে তুলসী পাতা খাওয়ান তাহলে কিন্তু উপকারের
চাইতে আপনার শিশুর ক্ষতি বেশি হবে। তাই শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেই শিশুদের তুলসী পাতা
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
প্রথমে কয়েকটি ভালো ভালো তুলসী পাতা গাছ থেকে ছিড়ে নিন। তারপর সেই তুলসী পাতাগুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে দেড় কাপ পরিমাণ পরিষ্কার পানি নিতে হবে এবং সেই পানিতে পরিষ্কার করে রাখা তুলসী পাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে।
এবার সেই পাত্রটি চুলা বা উনুনের উপর রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট জ্বাল পেরে তুলসী পাতা গুলোকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তুলসী পাতাগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে পানিটা ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি ছাঁকনি দিয়ে তুলসী পাতাগুলোকে ছেঁকে তুলে নিতে হবে। এবার তুলে নেওয়া তুলসী পাতা গুলোর সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে শিশুদেরকে খাওয়াতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়
এখন আপনার শিশুর বয়স যদি ১ বছরের নিচে হয় তাহলে ২ চামচ পরিমাণ খাওয়াতে হবে আর
বয়স যদি ১ বছরের উপরে হয় তাহলে ৪ থেকে ৫ চামচ পরিমাণ খাওয়াতে হবে। আশা করি
আপনারা শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
কাশি দূর করতে তুলসী পাতা এক কার্যকারী মহাঔষধ। হলে যেকোন ওষুধের তুলনায় বেশি
কার্যকরী হলো তুলসী পাতা। যা বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। তুলসী পাতা
সেবনের ফলে খুব সহজেই কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এই কাশি থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য তুলসী পাতা সেবনের কিছু নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম গুলো জানা খুবই
জরুরী। তাই চলুন কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম জেনে নেই।
প্রথমে ১ টি বা ২ টি তুলসী পাতা, ২ টেবিল চামচ মধু, আদা, আধা চিমটি পরিমাণ হলুদের
গুঁড়া, আধা চিমটি পরিমাণ লং পেপার, আধা চিমটি পরিমাণ কালো গোলমরিচ এই সব কিছু
একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর সেখান থেকে ৫
মিলি পরিমাণ রস বের করে দিনে ২ থেকে ৩ বার সেবন করতে হবে। তাহলে কাশি থেকে খুব
সহজে উপশম পাওয়া যায়।
বিঃদ্রঃ যেহেতু তৈরিকৃত কাশির জন্য তুলসী পাতার ওষুধটির সব উপাদানেই গরম প্রকৃতির তাই ২ সপ্তাহ সেবন করার পর এটি সেবন করা বন্ধ করে দিতে হবে। আর অবশ্যই তৈরিকৃত ওষুধটি একটি ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে।
তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় জানুন
তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। তুলসী পাতা রয়েছে অনেক ঔষধি গুনাগুন। তবে আমাদের মাঝে অনেকেই যে জিনিসটি জানে না সেটি হল তুলসী পাতা মুখে দিলে কি হয়। তুলসী পাতা মুখে দিলে ত্বক সুন্দর, আকর্ষণীয় ও উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও মুখের ব্রণ ও ত্বকের দাগ দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম।
তুলসী পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের ত্বককে
রিফ্রেশ বা সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা সেবন করলে যেমন উপকার পাওয়া যায়
তেমনি এই পাতা বেটে মুখে দিলে মুখের উজ্জ্বলতা, মুখের যাবতীয় দাগ, মেছতা
ইত্যাদি মুখ থেকে দূর হয়ে যায়। তবে তুলসী পাতা মুখে দেওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে।
নিয়মটি নিম্নে দেয়া হলো-
প্রথমে ১০ থেকে ১৫ টি তুলসী পাতা কাছ থেকে তুলে নিন। তারপর সেই পাতাগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে সেই পাতাগুলো ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে নিন। এবার তুলসী পাতার পেস্টের সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এবার সেই পেস্টটি সপ্তাহে ৩ দিন মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক গুলো জেনে নিন
তুলসী পাতা সেবন করে আমরা যেমন উপকার পায় তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও
রয়েছে।মাত্রাতিরিক্ত তুলসী পাতা সেবনের ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটতে
পারে। এছাড়াও আরো নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে যেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ চোখের সমস্যা দূর করার উপায়
- গর্ভবতী মহিলা এবং গর্ভস্থ মায়েদের জন্য তুলসী পাতা সেবন করা নিরাপদ নয়। এই সময় তুলসী পাতা সেবন করলে তারা নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে। তাই এই সময় তুলসী পাতা সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।
- তুলসী পাতা সেবনের ফলে সাধারণত আমাদের দেহের রক্তের ঘনত্ব কমে যায়। তাই যারা রক্তের ঘনত্ব কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাচ্ছেন তারা তুলসী পাতা সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
- তুলসী পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। যা ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ আয়ুর্বেদ ২০০০ সালে একটি সমীক্ষায় জানিয়েছেন। তাই মাত্রাতিরিক্ত তুলসী পাতা সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।
- তুলসী পাতার মূল উপাদান হলো ইউজিনল। অতিরিক্ত পরিমাণে ইউজিনল আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর প্রভাবে আমাদের শরীরে শ্বাসকষ্ট, কফ ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত নির্গত হতে পারে। এছাড়াও অত্যাধিক পরিমাণে ইউজিনল এর প্রভাবে আমাদের শরীরের লিভারের ক্ষতি, বমি বমি ভাব, দ্রুত হৃস্পন্দনম, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। তাই মাত্রাতিরিক্ত তুলসী পাতা সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।
- যারা ইতিমধ্যে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা যদি তুলসী পাতা সেবন করেন তাহলে তাদের শরীরের সুগারের মাত্রা বেশি কমে যেতে পারে। তাই এই সময় তুলসী পাতা সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।
- যেকোনো ধরনের অপারেশনের আগে বা পরে তুলসী পাতা সেবন করা ক্ষতিকর। কারণ এটি আমাদের শরীরে রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে তুলসী পাতার তেল ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই তেল অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ইত্যাদি।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা, খালি পেটে
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, শিশুদের তুলসী পাতা
খাওয়ার নিয়ম, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা
হয়েছে। আশা করি আপনারা তুলসী পাতা সম্পর্কে পুরো বিষয়টি বুঝতে
পেরেছেন। আর যদি কোন বিষয় বুঝতে না পারেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে
কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর এই রকম আরো পোস্ট পড়তে নিয়মিত আমাদের
ব্লগার মামুন
এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url