দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ জেনে নিন

আপনি কি পিরিয়ড বা মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন? যদি উত্তর "হ্যাঁ" হয়, তাহলে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্য। কেননা, আজকের পোষ্টটিতে আমরা দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়, দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ ও করণীয়, হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ ও করণীয় এবং অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ ও করণীয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেই দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ ও করণীয় কি?

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ
আপনি যদি মাসিক বা পিরিয়ড এর সমস্যায় পড়ে থাকেন, তাহলে নিচের পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আশা করি, আপনারা দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকা - দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ জেনে নিন

মেয়েদের সাধারণত সময়মতো নিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোন মেয়ের যদি অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড হয় তাহলে সেই মেয়ের স্বাস্থ্যে অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে থাকে। মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড একেবারে বন্ধ হওয়ার মূল কারণ হলো পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (POS) নামক হরমোন। আরো অনেক কারণ রয়েছে যেগুলোর জন্য মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে আবার নির্দিষ্ট সময় নাও হতে পারে। এই সময় ভয় না পেয়ে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ভালো একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

আবার আমাদের মাঝে অনেকেই জানতে চায় দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি? না হলে এর করনীয় কি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্যই আজকের এই পোস্টটি আমরা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আপনারা যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন আশা করি মাসিক বা পিরিয়ড সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ ও করণীয়

মহিলা বা মেয়েদের শরীরে ঘটে যাওয়া একটি সাধারণ বা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলো মাসিক বা পিরিয়ড অথবা ঋতুস্রাব। অনেক সময় মেয়েদের এই মাসিক বা পিরিয়ড আপনি যাই বলেন সময়মতো নিয়মিত হয় না। যার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমন- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গর্ভাবস্থা, ওজনের ওঠানামা, মেনোপজ, স্ট্রেস ইত্যাদি আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে একজন মেয়ের নির্দিষ্ট সময়মতো মাসিক বা পিরিয়ড হয় না। 

এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় একজন মেয়ের দুই মাস বা তার অধিক সময় ধরে মাসিক বা পিরিয়ড হয় না। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

  • গর্ভাবস্থাঃ সাধারণত মেয়েদের বা মহিলাদের পিরিয়ড বা মাসিক মিস হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো গর্ভাবস্থা। গর্ভাবস্থায় একজন মেয়ে বা মহিলার শরীরে সাধারণত হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (এইচসিজি) নামক হরমোন তৈরি হয় যা একজন মেয়ের শরীরে ডিম্বস্ফোটন বন্ধ করে দেয় এবং মাসিক বা পিরিয়ড চক্র বন্ধ করে দিতে পারে। তাই যখন একজন মেয়ে বা মহিলা যৌ*নভাবে সক্রিয় থাকে এবং এবং দুই বা তার অধিক সময় ধরে মাসিক মিস করে তাহলে সেই মেয়ে বা মহিলার গর্ভাবস্থা বাতিল করার জন্য একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত।
  • স্ট্রেসঃ একজন মেয়ে বা মহিলা যখন অতিরিক্ত শারীরিক চাপের মধ্যে থাকে তখন তার শরীরে একটি কর্টিসল নামক উপাদান তৈরি হয় যা শরীরের হরমোনের উৎপাদনকে প্রবাহিত করতে পারে। যার ফলে একজন মেয়ে বা মহিলার মাসিক বা পিরিয়ড চক্র অনিয়মিত হতে পারে।
  • মেনোপজঃ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলো মেনোপজ। যা একজন মহিলার ৪০ বছরের শেষের দিকে এবং ৫০ বছরের প্রথম দিকে ঘটতে পারে। এই সময় একজন মেয়ে বা মহিলার শরীরে ধীরে ধীরে মাসিকের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, যার ফলে তার শরীরে মাসিক বা পিরিয়ড স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতাঃ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা যেকোনো সময় একজন মেয়ে বা মহিলার মাসিক বা পিরিয়ড চক্রকে ব্যাহত করতে পারে। সাধারণত দুটি হরমোন মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোন দুটি হলো-  ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন। এই দুটি হরমোন যখন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তখন মেয়েদের শরীর ডিম্বস্ফোটন করতে পারে না যার ফলে তাদের মাসিক বা পিরিয়ডের অনুপস্থিত দেখা যায়।
  • থাইরয়েড ব্যাধিঃ থাইরয়েড ব্যাধি সাধারণত একজন মেয়ের গ্রন্থের মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি আন্ডারঅ্যাক্টিভ থাইরয়েড ব্যাধি একজন মেয়ের নিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড না হওয়ার কারণ হতে পারে। সাধারণত একজন মেয়ে যখন পিল খায় তখন তার থাইরয়েড ডিসঅর্ডার হয়ে যায় ফলে তার পিরিয়ড বা মাসিক মিস হতে পারে।
  • ওজনের ওঠানামাঃ শরীরের ওজনের ওঠানামা একজন মেয়ে বা মহিলার মাসিক বা পিরিয়ড চক্রকে প্রবাহিত করতে পারে। সাধারণত যখন একজন মেয়ের শরীরে বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) এর মাত্রা বেশি থাকে তখন তার শরীরে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন উৎপন্ন হয় যার ফলে তার অনিয়মিত মাসিক হতে পারে ইত্যাদি।

করণীয়ঃ

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা

আপনি যদি উপরে উল্লেখিত সমস্যাই আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার যা করণীয় হবে তা নিম্নে দেওয়া হলো।

  • আপনার গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করুন
  • একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রধান কার সাথে পরামর্শ করুন
  • আপনার মানসিক চাপের মাত্রা কমিয়ে ফেলুন
  • যেকোনো অন্তর্নিহিত চিকিৎসা পরিস্থিতি সমাধান করার চেষ্টা করুন
  • একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রেখে চলুন
  • হরমোন সংক্রান্ত গর্ভনিরোধক বিবেচনা করুন
  • নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে
  • আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন
  • কাঁচা হলুদ বা কাঁচা পেঁপে সেবন করতে পারেন ইত্যাদি।

দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়

দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য সাধারণত মেয়েদের অনেক ধরনের উপায় অনুসরণ করতে হয়। যেমন ধরেন মেয়েদের নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়, বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করতে হয় ইত্যাদি। এছাড়াও আরো কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে দ্রুত মাসিক হওয়া সম্ভব। সেগুলো হলো- মেয়েদের দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য পার্সলে ব্যবহার করা। কারণ এটি অনেক আগে থেকেই ঐতিহ্য গতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

এছাড়াও পেঁপে, আদা চা, ধনে বীজ ইত্যাদি খাবার গুলো মেয়েদের দ্রুত মাসিক হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক উপযোগী। আবার অ্যালোভেরার সাথে ঘৃতকুমারী মিশিয়ে সেবন করলে মেয়েদের দ্রুত মাসিক হয়। এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিছু খাবার যেমন- গাজর, হলুদ, গুড়, খেজুর, স্যামন মাছ, কুমড়া, কাজুবাদাম, আঙ্গুর, আনারস, টক দই ইত্যাদি খাবারগুলো মেয়েদের দ্রুত মাসিক হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ

অনেক সময়ই দেখা যায় মেয়েদের হঠাৎ করে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার মধ্যে কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হলো।

  • প্রজনন হরমোনগুলোর প্রাকৃতিক ক্রম হ্রাস পাওয়া কারণে অনেক সময় মেয়েদের হঠাৎ করে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়।
  • ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য মেয়েদের শরীরে কেমোথেরাপি এবং রেডিও থেরাপি প্রয়োগ করার ফলে অনেক সময় দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে হঠাৎ করেই পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • ডিম্বাশয় এর প্রাথমিক অসম্পূর্ণতার কারণে অনেক সময় মেয়েদের হঠাৎ করে পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
  • হৃদরোগ, মূত্র ধারণে সমস্যা, অস্থি ভঙ্গুরতা ইত্যাদির কারণে অনেক সময় মেয়েদের শরীরে হঠাৎ করে পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • মেয়েদের শরীরের ওজনের ওঠানামার কারণে অনেক সময় হঠাৎ করেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই অনেকগুলো লক্ষণ বা কারণ দেখা যায় যেমন- অনিয়মিত স্রাব, যৌ*না*ঙ্গের শুষ্কতা, ঘুমের নানা রকম সমস্যা, চুল পড়ে যাওয়া, মানসিক অস্থিরতা, পেটে মেদ জমা, সন্তান ধরনের ক্ষমতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি যেগুলোর কারণে মেয়েদের হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করনীয়

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় অনেক মেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তারা ভাবে এই বুঝি আমি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলাম। আসলে বিষয়টি এমন নয়। হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যা ইতিমধ্যে আপনারা উপরের প্যারা থেকে জানতে পেরেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করণীয় কি। হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে যা করণীয় তা নিচে দেওয়া হলো।

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি

  • মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করতে হবে
  • নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে
  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
  • থাইরয়েড হলে তার চিকিৎসা করতে হবে
  • নিয়মিত ১০ দিন আদার রস গুড় দিয়ে খেতে হবে
  • কাঁচা পেঁপে খেতে হবে
  • দিনে দুবার এক চিমটি করে হলুদ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে
  • এক চামচ অ্যালোভেরার জুস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে
  • খেজুর, দারুচিনি খেতে পারেন ইত্যাদি।

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা আমাদের মাঝে অনেকেই এই সম্পর্কে জানতে চায়। আমাদের মাঝে অনেকেই মনে করে যে যদি নিয়মিত মাসিক না হয় তাহলে এটি বাচ্চা হওয়া লক্ষণ। হ্যাঁ, যদি কোন বিবাহিত মহিলার নির্দিষ্ট সময় ধরে বা বেশি সময় ধরে মাসিক না হয় তাহলে তার বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে একেবারে সঠিকভাবে বলা যাবে না যে মাসিক না হলেই শুধু বাচ্চা হবে। আসলে মাসিক বন্ধ হওয়ার আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সেই কারণগুলোর জন্য একজন মহিলার মাসিক অনিয়মিত বা নির্দিষ্ট সময় নাও হতে পারে।

সাধারণত একজন পুরুষের শুক্রাণু এবং একজন মেয়ের ডিম্বাণু যখন এক জায়গায় হয় তখন মেয়েরা গর্ভধারণ করে। এবং এই সময় সাধারণত মেয়েদের মাসিক হয় না। কারণ এই সময়ে মেয়েদের মাসিকের রক্ত দিয়ে তার বাচ্চা বড় হতে থাকে। তাই এটি ধরে নেয়া হয় যে যখন একজন বিবাহিত মহিলার নির্দিষ্ট সময় ধরে যদি মাসিক না হয় তাহলে সে গর্ভধারণ করেছে।

মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে

আমাদের মাঝে অনেকে প্রশ্ন করে মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে? মাসিক বন্ধ হলে যা করতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
  • সুষম ও প্রোটিন জাতীয় খাবার নিয়মিত খাবার তালিকায় যোগ করতে হবে।
  • গুড় দিয়ে আদা চা সেবন করতে হবে।
  • কাঁচা পেঁপে বা পা কাপা পেঁপে খেতে হবে।
  • হলুদ, দারুচিনি, খেজুর ইত্যাদি খাবার গুলো খেতে হবে।
  • আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন কারণ এটি মেয়েদের মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগ ব্যায়াম করতে হবে।
  • বিটরুট সেবন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ইত্যাদি।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

বিবাহিত অথবা অবিবাহিত যেকোনো মেয়েদের জন্য মাসিক একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এই মাসিক বা পিরিয়ড অনেক সময় অনেক কারণে অনিয়মিত হতে পারে। অনেক সময় অনেকেই আমাদেরকে প্রশ্ন করেন অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো কি কি। অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণগুলো হলো।

আরো পড়ুনঃ মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি

  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ
  • হঠাৎ করে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে ফেলা
  • হঠাৎ করে শরীর ওজন কমিয়ে ফেলা
  • জরায়ুর টিউমার ও এন্ডোমেট্রিওসিস
  • মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা
  • থাইরয়েডের সমস্যা
  • পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এবং কপাটি ব্যবহার করা
  • কিশোর বয়সে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে অনিয়মিত ঋতুস্রাবে সমস্যা হতে পারে।
  • বেশি পরিমাণে রক্তপাত হওয়া এবং পরিমাণের চেয়ে বেশি রক্ত যাওয়া।
  • মানসিক অশান্তি এবং মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ।
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
  • মেনোপজ হলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
  • স্ট্রেস হলে অনিমিত মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ইত্যাদি।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক বিন্দু, এতক্ষণে হয়তো আপনারা দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আসলে মাসিক মেয়েদের খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। আর এই স্বাভাবিক ঘটনা যদি কোন কারণে অস্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে মেয়েদের প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। তাই আপনার যদি দুই মাস বা তার অধিক সময় ধরে মাসিক বা পিরিয়ডের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকুন।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url