কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
আপনি কি কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি থেকে কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। এছাড়াও এই পোস্টটি থেকে আপনারা সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও পেস্তা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ভূমিকা
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে- নিয়মিত যদি কেউ ৩ থেকে ৪ টি কাজুবাদাম খায়। তাহলে তার শরীরের নানা পুষ্টিকর উপাদানের অভাব দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে যা আমাদের শরীরকে সুস্বাস্থ্য রাখতে প্রচুর ভূমিকা পালন করে। কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে আশ ও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে- যারা নিয়মিত কাজুবাদাম খায় তারা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। তাই আমাদের নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানে না।
তাই আমরা এই পোস্টটিতে কাজুবাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ পেস্তা বাদামের
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা এই
পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
কাজু বাদামের উপকারিতা জেনে নিন
কাজু বাদাম এমন একটি জিনিস যার সাথে প্রায় আমরা সবাই পরিচিত। কাজু বাদাম খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। যে কোন খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে কাজু বাদামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে কাজুবাদাম যে শুধুমাত্র বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে তা কিন্তু নয়। পুষ্টিগুণ এবং শারীরিক উপকারিতার দিক দিয়ে আপনি যদি বিবেচনা করেন তাহলে কাজু বাদামের কোন বিকল্প নেই।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়
তাই সমস্ত চিকিৎসকেরাই খাবারের তালিকায় কাজু বাদাম যোগ করতে বলেন। কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিংক, কপার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন এবং আরো নানাবিধ খনিজ পদার্থ। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কাজু বাদামের উপকারিতা অনেক বেশি। চলুন এবার তাহলে আমরা কাজুবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
- রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, কারণ আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এর সমাধান। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রোটিন ও ফাইবারে ভরা এই কাজুবাদাম যদি কেউ নিয়মিত খায় তাহলে তার শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এছাড়াও কাজু বাদামে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কাজু বাদামে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল যার আমাদের শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রতিদিন তিন থেকে চারটি কাজ বাদাম খাওয়া উচিত।
- হার্ট সুস্থ রাখেঃ হার্ট আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা খুবই জরুরী। হার্টের নানা রকম সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক পদার্থ। আর কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক পদার্থ থাকে। এছাড়াও কাজুবাদামে রয়েছে আরজেনিক নামক একটি উপাদান আছে যা হার্ট কে সুস্থ রাখে এবং হার্টের গরম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কাজুবাদামে রয়েছে ওলিসিক নামক এক ধরনের মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যা আমাদের দেহের ভালো কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি করেএবং খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ৩ থেকে ৪ টি করে কাজু বাদাম খাবেন। তাহলে আপনার হার্টে সুস্থ থাকবে।
- ত্বক ও চুলের সমস্যা দূর করেঃ কাজু বাদাম যে শুধুমাত্র পুষ্টিগুনে ভরপুর তাই নয়। কাজুবাদাম আমাদের ত্বক ও চুলের জন্যও খুবই উপকারী। কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে জিংক, ম্যাগ্নেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস আছে যা আমাদের ত্বক ও চুল ভালো রাখে। এছাড়াও এটি প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত একটি উপাদান। যা আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কাজুবাদামে কপার নামক পদার্থ থাকে যা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুলকে সুন্দর করে তোলে।
- হাড় শক্ত করেঃ কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি আরও নানা ধরনের খনিজ পদার্থ থাকে। যা আমাদের দেহের হারকে মজবুত করতে প্রচুর ভূমিকা পালন করে। তাই আপনাদের যাদের হার দুর্বল তারা নিয়মিত তিন থেকে চারটি করে কাজু বাদাম খেতে পারেন।
- অ্যানিমিয়া দূর করেঃ আপনি যদি নিয়মিত কাজুবাদাম খান। তাহলে আপনার শরীরের লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বেড়ে যাবে। যা আপনার শরীরের অ্যানিমিয়া নামক রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কাজুবাদাম আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ বর্তমানে চিকিৎসকরা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও বৃদ্ধদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা আমাদের দেহের নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের টিস্যুগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে। এবং ব্রেনের কসমেটিক ফাংশনের উন্নতি করে। এজন্য কাজুবাদামকে ব্রেনের পাওয়ার বুস্টার বলা হয়।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ আমরা সবাই জানি ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। কিন্তু এই রোগ প্রতিরোধ করতে কাজু বাদামের ভূমিকা অপরিসীম। আপনি জানলে অবাক হবেন যে কাজু বাদামে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট নামক পদার্থ যা আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধবেষ্টনী গড়ে তোলে। এছাড়াও টিউমার প্রতিরোধ কাজু বাদামের ভূমিকা অপরিসীম।
- দাঁত ও মুখের সমস্যা দূর করেঃ কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস। যা আমাদের মুখের দাঁতকে করে শক্তিশালী ও মুখগহ্বরের নানা রকম সমস্যা দূর করে। তাই আপনি যদি দাঁতকে শক্ত করতে চান তাহলে প্রতিদিন কাজু বাদাম খান।
- সংক্রমণ দূর করেঃ কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে জিংক নামক পদার্থ থাকে। যা আমাদের দেহকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি ইনফেকশন এর শিকার হন তাহলে নিয়মিত কাজুবাদাম খান। তাহলে অতি তাড়াতাড়ি সংক্রমণ থেকে বেঁচে যাবেন।
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখেঃ কাজু বাদামের অন্যতম একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে ভালো রাখে। তাই আপনি যদি দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে চান বা প্রখর করতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত কাজুবাদাম খান।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কাজুবাদামের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আমাদের দেহের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি বদহজমজনিত কোন সমস্যায় থাকেন তাহলে অবশ্যই নিয়মিত কাজুবাদাম খান।
এছাড়াও কাজুবাদামের আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে যেগুলো বলে আসলে শেষ করা যাবেনা।
তাই আমাদের নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়া উচিত।
কাজু বাদামের অপকারিতা জেনে নিন
আমরা সবাই জানি প্রত্যেকটি জিনিসেরই ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। কাজুবাদামেরও
ভালো গুনাগুনের পাশাপাশি কিছু খারাপ গুণাগুণ রয়েছে। উপর থেকে এতক্ষণ আমরা
কাজুবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা কাজুবাদামের কিছু অপকারিতা
সম্পর্কে জানব।
আরো পড়ুনঃ চোখের সমস্যা দূর করার উপায়
- অ্যালার্জি হতে পারেঃ যেসব ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালার্জি রয়েছে তারা যদি কাজুবাদাম খায় তাহলে তাদের অ্যালার্জি আরো বেড়ে যাবে। কারণ কাজুবাদামে মধ্যেও ও রয়েছে অ্যালার্জি। তাই আপনি যদি অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কাজুবাদাম থেকে দূরে থাকুন। কারন আপনার জন্য কাজু বাদাম অপকারী।
- ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকেঃ আপনি যদি দিনে ১৫ টির বেশি কাজু বাদাম খান তাহলে ওজন কমার বদলে বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
- ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারেঃ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কাজুবাদাম খান। তাহলে আপনার শরীরের ওজন বাড়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিসও বেড়ে যাবে। এছাড়াও যাদের ব্লাড প্রেসার কম তারাও সমস্যায় পড়বেন।
- সার্জারি জনিত সমস্যাঃ আপনার যদি সার্জারি হয় তাহলে সার্জারীর দুই সপ্তাহ আগে বা পরে কাজুবাদাম খাওয়া উচিত না। কারণ এই সময় কাজুবাদাম খেলে আপনি নানা রকম সমস্যায় পড়তে পারেন।
- গ্যাস্টিকের সমস্যাঃ আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা পেট ফেঁপে যাওয়ার সমস্যাই থাকেন তাহলে কাজুবাদাম খাওয়া বন্ধ করে দিন বা খুবই কম খান।
- কিডনি জনিত সমস্যাঃ অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু বাদাম খেলে আমাদের শরীরে কিডনিতে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত কাজুবাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এই ছিল কাজুবাদামের অপকারিতা। তবে কাজু বাদামের অপকারিতার চাইতে উপকারিতা পরিমাণ
অনেক বেশি। তাই আপনি যদি উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলোই আক্রান্ত না থাকেন। তাহলে
নিয়মিত কাজুবাদাম খান।
সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে কিছু
উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো-
১। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ৩ থেকে ৪ টি কাজুবাদাম খান তাহলে আপনার ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
২। নিয়মিত সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খেলে ইউরিক অ্যাসিড হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩। পুরুষত্ব ধরে রাখতে সাহায্য করে এই কাজুবাদাম। তাই নিয়মিত সকালে কাজুবাদাম খাওয়া উচিত।
৪। নিয়মিত সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুনঃ চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম
৫। আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
৬। কাজুবাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খাওয়া উচিত।
৭। কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই কাজুবাদাম।
৮। কাজুবাদাম আমাদের ত্বককে করে উজ্জ্বল ও চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
পেস্তা বাদামের উপকারিতা জেনে নিন
পেস্তা বাদামের সাথে মোটামুটি আমরা সবাই পরিচিত। পেস্তা বাদাম দেখতে উজ্জ্বল সবুজ
রঙের এবং এটি খুব সুস্বাদু একটি বাদাম। পেস্তা বাদামের দাম অন্যান্য বাদামের
তুলনায় অনেক বেশি। তবে দাম বেশি হলেও বিভিন্ন বিশেষ উৎসবের পায়েশ, সেমাই,
পোলাওতে পেস্তা বাদামের দেখা পাওয়া যায়। আমরা তো সবাই কমবেশি পেস্তাবাদাম
খায় কিন্তু এর উপকারিতা কি আমরা সবাই জানি? চলুন তাহলে আমরা পেস্তা বাদামের কিছু
উপকারিতা জেনে নেই।
- হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়ঃ পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ পেস্তা বাদামে এক ধরনের বিশেষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচুর ভূমিকা পালন করে।
- ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করেঃ আপনি যদি প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পেস্তা বাদাম খান তাহলে আপনার ত্বক খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে।
- প্রোটিনের সমস্যা দূর করেঃ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো পেস্তা বাদাম। তাই আমাদের শরীরে প্রোটিনের সমস্যা দূর করতে পেস্তা বাদামের ভূমিকা অপরিসীম।
- ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকেঃ পেস্তা বাদামে অন্যান্য বাদামের তুলনায় ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম থাকে। ফ্যাটের পরিবর্তে পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, কপার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
- পর্যাপ্ত ভিটামিন থাকেঃ পেস্তা বাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ৬। এছাড়াও এর পাশাপাশি পেস্তা বাদামে অন্যান্য ভিটামিনের উপাদান গুলোও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
- ইনসুলিনের নির্ভরতা কমায়ঃ আপনাদের মাঝে যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ইনসুলিনের উপর নির্ভরশীল তারা নিয়মিত পেস্তা বাদামের তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে ইন্সুলিনের নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারবেন।
- শারীরিক সমস্যা ও মাংস বেশি দুর্বলতা দূর করেঃ পেস্তা বাদামে রয়েছে নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরীরের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা ও মাংসপেশির দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ পেস্তা বাদাম চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই বাদাম চোখের ছানি পড়া রোগ প্রতিরোধ করতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।
- লিভার ও দাঁতের সমস্যা দূর করেঃ পেস্তা বাদাম আমাদের শরীরে লিভার ও দাঁতের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের নিয়মিত পেস্তা বাদাম খাওয়া উচিত।
- কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করেঃ পেস্তা বাদামে অন্যান্য বাদামের তুলনায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল নামক পদার্থের থাকে। যা আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
পেস্তা বাদামের অপকারিতা জেনে নিন
উপরে আমরা পেস্তা বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা পেস্তা বাদামের
কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জানব।
১। যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা পেস্তা বাদাম থেকে বিরত থাকবেন কারণ পেস্তা বাদাম এলার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
২। অতিরিক্ত পরিমাণে পেস্তা বাদাম খেলে আপনার রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকে সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে তাই অতিরিক্ত পেস্তা বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩। অতিরিক্ত পরিমাণে পেস্তা বাদাম খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ পেস্তা বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে যারা কিডনির সমস্যায় রয়েছেন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ কি খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে
৪। সুস্বাদু বলে বেশি পরিমাণ পেস্তা বাদাম খেলে আপনার শরীরের ওজনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই পেস্তা বাদাম বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বিন্দু এতক্ষণ আপনাদের সাথে কাজুবাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং পেস্তা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা কাজু ও পেস্তা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।
দেখুন আসলে সকল জিনিসেরই তো ভালো এবং খারাপ দিক থাকে তাই ভাল ও খারাপ দুই দিকই
বিবেচনা করে কাজুবাদাম ও পেস্তা বাদাম সেবন করবেন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। আর
এরকম আরো পোস্ট পড়তে নিয়মিত আমাদের এই ব্লগার মামুন ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.
comment url